বৃষ্টির (Rain) জেরে তাপমাত্রারও বড় পারাপতন দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এদিন কলকাতার (Kolkata) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


বৃহস্পতিবার রাতেই মরসুমের প্রথম কালবৈশাখী (Kalbaisakhi) দেখেছে কলকাতা (Kolkata)। বাকি জেলাগুলিতেও সন্ধ্যা থেকে চলেছে তুমুল ঝড়-বৃষ্টি। যদিও শুক্রবার সকাল থেকেও আকাশের মুখভার। গোটা বাংলাতেই মূলত মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। আবহাওয়া দফতররের (Weather Forecast) তথ্য বলছে ২০ তারিখ পর্যন্ত বাংলায় চলবে ঝড়-বৃষ্টির দাপট। দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) সব জায়গাতেই বিক্ষিপ্তভাবে চলবে কালবৈশাখী। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে বাংলাদেশে এবং সেই ঘূর্ণাবর্ত থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা রয়েছে। যেটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপর দিয়ে গিয়েছে। আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু থেকে কঙ্কন পর্যন্ত, যেটি কর্ণাটক ও গোয়ার উপর দিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সঙ্গে একটি ঘুর্ণাবর্ত রয়েছে রাজস্থানের কাছে। একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা পশ্চিম-পূর্ব রাজস্থান থেকে ঝাড়খণ্ড এবং বাংলার উপর দিয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প বঙ্গোপসাগরের উপর থেকে বাংলাতে ঢুকছে। সে কারণেই বাড়ছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। 

বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রারও বড় পারাপতন দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৯ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৪৭ থেকে ৮৭ শতাংশ। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ এবং শিলাবৃষ্টি চলবে। ভিজবে উত্তরবঙ্গও। উত্তরবঙ্গের মালদা এবং দুই দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টি সম্ভাবনা থাকছে। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে শুধুমাত্র বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়ার দাপট থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। ১৮ তারিখ ঝড়-বৃষ্টির দাপট সবথেকে বেশি থাকবে। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া-সহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। ১৯ তারিখে মালদা এবং দুই দিনাজপুর উপরের জলপাইগুড়ি বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। 


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours