শনিবার নওশাদ সিদ্দিকির 'জেলমুক্তি'র পরই স্নেহাশিস চক্রবর্তী মন্তব্য করেছিলেন, নওশাদ সিদ্দিকির জামিনে তিনি খুশি।
সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এবার ভাঙড়ের বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন রাজ্যের মন্ত্রী। যদিও সাক্ষাৎ হয়নি। কারণ, সে সময় ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বাড়িতে ছিলেন না। তবে পরিবহণ মন্ত্রী তথা জাঙ্গিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর নওশাদের বাড়িতে যাওয়া নিয়ে বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। অন্যদিকে নওশাদেরও বক্তব্য, সৌজন্য সৌজন্য সৌজন্যের জায়গায় সবসময় থাকবে। তবে লড়াই থেকে পিছু হঠার কোনও সম্ভাবনাই নেই। শনিবার নওশাদ সিদ্দিকির ‘জেলমুক্তি’র পরই স্নেহাশিস চক্রবর্তী মন্তব্য করেছিলেন, নওশাদ সিদ্দিকির জামিনে তিনি খুশি। রবিবার স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ” ঈসালে সওয়াবের সময় আমরা সমস্ত পীরজাদার সঙ্গে দেখা করি। এরকম একটা উৎসব আমাদের গর্বের। আর ফুরফুরা শরিফ ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম তীর্থক্ষেত্র। সেটা আমার বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। এটা আমারও গর্বের। লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন। দেশের বাইরে থেকেও আসেন।”
একইসঙ্গে স্নেহাশিস বলেছিলেন, “নওশাদ যে জামিন পেয়েছেন, তাতে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব খুশি। আমরাও যখন বিরোধী দল ছিলাম, আমরাও কেস খেয়েছি, মার খেয়েছি, জেলে আটকে থাকতে হয়েছে। রাজনৈতিক লড়াই করতে গেলে এগুলো তো লেগে থাকবে।” এরপর রবিবার নওশাদের বাড়িতে যান মন্ত্রী। যদিও সে সময় বাড়িতে ছিলেন না নওশাদ।
নওশাদের বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালের পর ফুরফুরার রাস্তাঘাট, পানীয় জল, আলোর ব্যবস্থা করেছেন। আমরা চেষ্টা করছি সরকারি সুবিধা যেন মানুষ পান। নওশাদের সঙ্গে দেখা করতে এলাম। কিন্তু ও নেই। ওর ফোনেও পাচ্ছি না। কারণ ফোনটা ওর কাছে নেই। পরে আবার আসব।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours