জেরাতে উঠে এসেছে কুন্তল, শান্তনুরা সরাসরি চাকরির সুপারিশ পাঠাতেন মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। সেই সুপারিশ অনুসারে বেশ কয়েক জনের চাকরিও হয়েছিল বলে দাবি ইডি সূত্রে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আর্থিক লেনদেনের তদন্তে নেমে একের পর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন হয়েছেন হুগলি জেলার বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তাঁর বাড়ি থেকে গুচ্ছ গুচ্ছ চাকরির পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি ইডির। পাশাপাশি চাকরির বেশ কিছু সুপারিশ পত্রও মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। শান্তনুর সুপারিশে একাধিক জনের চাকরি হয়েছিল বলেও জানতে পেরেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শান্তনুর আগে মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তার আগে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। এদের সকলেই জেরা করছে ইডি। সেই জেরাতেই উঠে এসেছে কুন্তল, শান্তনুরা সরাসরি চাকরির সুপারিশ পাঠাতেন মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। সেই সুপারিশ অনুসারে বেশ কয়েক জনের চাকরিও হয়েছিল বলে দাবি ইডি সূত্রে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি চাকরির সুপারিশ পত্র পাঠাতো মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। কুন্তল, শান্তনুকে জেরা করে এমনিই দাবি করেছে ইডি। টাকার বিনিময়ে চাকরি পেতে আগ্রহীদের কাছ থেকে কত টাকা করে নেওয়া হত, তাও উঠে এসেছে ইডির জেরায়। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাইমারি এবং আপার প্রাইমারির জন্য মাথাপিছু পাঁচ লাখ টাকা নেওয়া হত অ্যাডভান্স হিসাবে। সংগঠক শিক্ষকদের জন্য মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা নিতো শুধুমাত্র ইন্টারভিউয়ের জন্য।
শুক্রবার গ্রেফতারির পর থেকেই শান্তনুকে জেরা করছে ইডি-র অফিসারার। কুন্তল ঘোষ ও মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করাও চলছে। সেই জেরা করেই ইডি জানতে পেরেছে, চাকরির জন্য ৩০০ জনের নামের তালিকা সুপারিশ করেছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সুপারিশ অনুযায়ী মানিক ভট্টাচার্য ১০ জনকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে ইডি সূত্রে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours