বাবা দিল্লিতে আর বীরভূমের বোলপুরের বাড়িতে বাবার আদরের 'রুবাই', মানে সুকন্যা। এতদিন তাও রাজ্যেই ছিলেন বাবা, এবার একেবারে দিল্লি।
দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তিনদিনের ইডি (ED) হেফাজতে আছেন তিনি। দোলের দিন মঙ্গলবার তাঁকে ইডি দিল্লি নিয়ে যায়। প্রায় সাত মাস হতে চলল বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়িছাড়া তিনি। গত বছর অগস্টে এই বাড়ির ঠাকুরঘর থেকেই ‘কেষ্ট’কে তুলে নিয়ে গিয়েছিল সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। মাঝের এতগুলো মাস আর ফেরেননি। যে নিচুপট্টির বাড়ি একসময় দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের দাপটে গমগম করত, তার ছবি গত কয়েকমাসে অনেকটাই বদলে গিয়েছে। আর গত তিনদিনে আরও শান্ত। খাঁ খাঁ করছে বাড়ির চৌহদ্দি। সেখানে পিন পতনের নিস্তব্ধতা। অনুব্রত দিল্লি যাওয়ার পর টিভি নাইন বাংলা পৌঁছে গিয়েছিল এই বাড়ির সামনে। দেখা মেলে এক নিরাপত্তা রক্ষীর। ভিতরে কেষ্ট কন্যা সুকন্যা ছিলেন বটে। তবে ভিতর থেকে খবর পাঠান, শরীর ভাল নেই। বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাবাকে নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ তিনি। নিচুপট্টি এলাকার লোকজনেরও বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, এখনই কোনও কথা বলতে চান না তাঁরা। কেষ্ট-কথা উঠতেই নিজেদের মতো করে এড়িয়ে গিয়েছেন প্রসঙ্গ।
গরু পাচারের তদন্তে নেমে গত অগস্টে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সিবিআই হেফাজত থেকে সংশোধনাগার হয়ে আপাতত দিল্লিতে আছেন তিনি। ইডি তাঁকে রাজধানীতে নিয়ে গিয়েছে। ইডির দাবি, গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা সম্পর্কে একাধিক তথ্য রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের কাছে। গরু পাচারের টাকা ঘুরপথে কোথায় পৌঁছেছে, সেই তথ্য জানতে মরিয়া ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দুঁদে অফিসারদের জেরার মুখে অনুব্রত।
বাবা দিল্লিতে আর বীরভূমের বোলপুরের বাড়িতে বাবার আদরের ‘রুবাই’, মানে সুকন্যা। এতদিন তাও রাজ্যেই ছিলেন বাবা, এবার একেবারে দিল্লি। কেমন আছেন সুকন্যা? নিচুপট্টির নেতাজি রোডের বাড়ির সামনে এখনও উড্ডীন তৃণমূলের ঝান্ডা। বাড়ির সামনেটা খাঁ খাঁ করছে। একটা দুধসাদা গাড়ি দাঁড়িয়ে। দরজায় কড়া নাড়তেই ঘরের ভিতর থেকে উঁকি নিরাপত্তারক্ষীর।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours