খেলা এমনই হয়। ম্যাচ থেকে হারিয়ে যাওয়া টিম মুহূর্তে ম্যাচে ফেরে। খেলা দখলে নেয়। মোহনবাগান ৪০ মিনিট পর্যন্ত খেলা নিয়ন্ত্রণেই রেখেছিল। কিন্তু শেষ ৫টা মিনিট বিএফসি ম্যাচে ফিরল।
গত কয়েক মরসুম ধরে ভালো পারফর্ম করেও শেষ পর্যন্ত এক বার ট্রফির কাছাকাছি গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল। মারগাওয়ে প্রীতম কোটাল, হুগো বোমাসরা মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছিলেন। স্বপ্নপূরণ হবে কিনা, তা শেষ বাঁশির পর বোঝা যাবে। তবে আইএসএলের ফাইনাল ম্যাচের প্রথমার্ধটা নিজেদেরই দখলে রাখল এটিকে-মোহনবাগান। শুরুতেই গোল তুলে নিতে পারলে চাপে ফেলে দেওয়া যেতে পারে বিপক্ষ টিমকে, খুব ভালো করে জানতেন বাগানের স্প্যানিশ কোচ। সেটাই করে দেখাল তাঁর টিম। ১৪ মিনিটে পেত্রাতসের কর্নার বক্সের মধ্যে হাতে লাগান রয় কৃষ্ণা। পেত্রাতসের কিক থেকেই পেনাল্টি থেকে ১-০ করে মোহনবাগান। বিস্তারিত
যে কোনও টিমই ফাইনালের শুরুতেই গোল খেয়ে গেলে চাপরে পড়ে যায়। সেটাই দেখা গেল বিএফসির ক্ষেত্রে। সুনীল ছেত্রীকে শুরুতে নামাননি বেঙ্গালুরুর কোচ সাইমন গ্রেসন। কিন্তু শিবশক্তি চোট পেয়ে বেরিয়ে গেলে সুনীলকে নামাতে দেরি করেননি তিনি। বয়স বেড়েছে কিন্তু সুনীল জানেন সামনে থেকে কী ভাবে নেতৃত্ব দিতে হয়। গোল খেয়ে খানিকটা থমকে যাওয়া টিমকে এগিয়ে দেওয়ার কাজটা শুরু করে দেন সুনীল। মাঝমাঠ, ডিফেন্স সাময়িক চাপে পড়ে গেলেও সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পাল্টা রাখার চেষ্টা করল মোহনবাগানকে।
প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে প্রায়শ্চিত্ত করলেন রয় কৃষ্ণা। তাঁর ভুলে গোল পেয়েছিল মোহনবাগান। তাঁর জন্যই ১-১ করল বিএফসি। লেফটব্যাক শুভাশিস বক্সের মধ্যে ফাউল করেন কৃষ্ণাকে। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টি দেন। সুনীল ছেত্রী ঠান্ডা মাথায় গোল করে গেলেন।
খেলা এমনই হয়। ম্যাচ থেকে হারিয়ে যাওয়া টিম মুহূর্তে ম্যাচে ফেরে। খেলা দখলে নেয়। মোহনবাগান ৪০ মিনিট পর্যন্ত খেলা নিয়ন্ত্রণেই রেখেছিল। কিন্তু শেষ ৫টা মিনিট বিএফসি ম্যাচে ফিরল। আর তাতেই বদলে গেল স্কোরলাইন। পরের ৪৫ মিনিট ঠিক করে দেবে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হবে কারা? ট্রফি বেঙ্গালুরুতে যাবে, নাকি কলকাতায় আসবে?
Post A Comment:
0 comments so far,add yours