দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল হিসেবে কাজ করবে দল, সাফ জানাল তৃণমূল।
আমরা আমাদের মতো করে চলব। ২০২৪-এর রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে এটাই তৃণমূলের (TMC) সোজাসাপ্টা উত্তর। আর কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগের কোনও প্রশ্ন নেই বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের তরফে। সম্প্রতি দিল্লিতে বিরোধীদের নিয়ে কংগ্রেস বিভিন্ন কর্মসূচি করলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনুপস্থিত থেকেছে তৃণমূল। শুক্রবার কালীঘাটের বৈঠকেও তৃণমূলের সেই নীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন, কংগ্রেসকে বিরোধীদের ‘বিগ বস’ হিসেবে মানতে নারাজ দল।
কেন কংগ্রেসের সঙ্গে নয়? সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দাবি, কেন্দ্রে কংগ্রেস বিরোধিতা করলেও এ রাজ্যে তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে বিজেপির সঙ্গে আঁতাত তৈরি করেছে কংগ্রেস। তাই বিজেপি এবং কংগ্রেস, কোনও দলের সঙ্গে যোগাযোগ করার কোনও প্রশ্ন নেই বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি।
সাংসদ আরও জানান, গত ১৩ মার্চ কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলন তিনি। আর সেখানে নাকি তিনি বুঝিয়ে দিয়ে এসেছেন যে তৃণমূল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল হিসেবে কাজ করবে। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘কংগ্রেসের এটা ভাবা উচিত নয় যে তারা বিরোধী জোটের বিগ বস।’
তবে কংগ্রেসের বৈঠকে যোগ না দিলেও তৃণমূল যে প্রতিটি ইস্যুতে আলাদাভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, বিরোধিতা করছে, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন সুদীপ। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ইস্যুতে দিল্লিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। গান্ধীমূর্তির নীচে সে সব কর্মসূচি চলছে।’
আর বিরোধী জোট? এখনই তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের কথা বলছে না তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি হল, বিজেপি বিরোধী যে দল যে রাজ্যে শক্তিশালী, সেই দল সেখানে লড়বে। ভোটোর পর জোটের হিসেব নিকেশ হবে। জোটের প্রধানমন্ত্রী মুখ কে হবেন? সেটাও ভোটের পরই ঠিক হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours