স্বাস্থ্য দফতরের অ্যালার্ট সিস্টেম কি ঠিক মতো কাজ করেনি? নাকি রেফারের কারণেই বেশি মৃত্যু হচ্ছে?
বুধবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Kolkata Medical College) পরিদর্শনে এসেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। কলকাতা মেডিক্যালে ৫০টি নতুন বেড বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানালেন তিনি। কলকাতা মেডিক্যালে পরিদর্শনে আসার আগে বিসি রায় শিশু হাসপাতালেও পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেও ২৪টি সিসিইউ বেড নতুন শুরু করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে করোনার দাপট কমলেও নতুন করে চিন্তা বাড়িয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস। বিশেষ করে শিশুদের উপর এই ভাইরাসের প্রভাব বেশি পড়ছে।
এর আগে যখন কোভিডের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল, তখন অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি ছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায়। কিন্তু অ্যাডিনো ভাইরাসের ক্ষেত্রে দেখা গেল, অনেকটা হঠাৎ করেই যেন দাঁত-নখ বের করে ফেলেছে ভাইরাস। সত্যিই কি তাই? কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল? স্বাস্থ্য দফতরের অ্যালার্ট সিস্টেম কি ঠিক মতো কাজ করেনি? নাকি রেফারের কারণেই বেশি মৃত্যু হচ্ছে? কলকাতা মেডিক্যালের এমএসভিপি অঞ্জন অধিকারী বলছেন, সেখানে রেফার কেস প্রচুর চলে আসছে। তিনি বলেন, ‘একটি বাচ্চা যদি জলপাইগুড়ি বা মালদা থেকে আসে, গোটা রাস্তায় অক্সিজেন সাপোর্ট থাকে না, ওষুধের ব্যবস্থা থাকে না। এর ফলে অনেক জায়গায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। যে বাচ্চারা মারা যাচ্ছে, সবই রেফারে আসা।’
কলকাতা মেডিক্যালের এমএসভিপি মনে করছেন, অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ এতটা বাড়বে কি না, তা নিয়ে দোদুল্যমানতায় ছিল চিকিৎসকমহল। চিকিৎসক দিব্যেন্দু রায়চৌধুরী আবার বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতি একদম সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে, বা হয়ত সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে একটু একটু করে নামতে শুরু করেছে। আক্রান্তের সংখ্যা এখনও অনেক রয়েছে। তবে তিনি আশা করছেন, এবার ধীরে ধীরে আক্রান্তের সংখ্যা কমবে। দিব্যেন্দুবাবুর কথায়, যে সব শিশুদের অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে উঠছে, তাঁদের সময়মতো চিকিৎসা দিতে হবে এবং কোনওভাবেই যেন কোনও শিশুকে দূরবর্তী কোনও স্থানে রেফার না করা হয়। সরকারি অ্যাডভাইজ়রির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেখানে যে সিস্টেম রয়েছে, সেটিকেই পুরোপুরি ব্যবহার করতে হবে। যদি রেফার করতে হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট হেড অব ইনস্টিটিউশনের অনুমতি লাগবে এবং যেখানে পাঠানো হচ্ছে সেখানে বেড রয়েছে কি না, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করে তবেই পাঠাতে হবে।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours