চলতি মাসেই প্রথম তৃণমূলের ছাত্র (TMCP) ও যুবদের(TMYC) যৌথ সম্মেলন হচ্ছে ধর্মতলায়। ২৯ মার্চ রয়েছে সেই সম্মেলন। তারই প্রস্তুতি মিটিংয়ে এদিন যোগ দিয়েছিলেন সায়নী।
র হাতে গ্রেফতারির পরই দল থেকে বহিষ্কৃত কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়রা। দীর্ঘদিন থেকেই তাঁরা তৃণমূলের যুব নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন। নাম জড়িয়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam)। অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদলের। এদিকে এদিনই আবার শনিবার সকাল থেকে হুগলির (Hooghly) তিন জায়গায় একযোগে হানা দেয় ইডি (ED)। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শান্তনু ঘনিষ্ঠ সুপ্রতিম ঘোষ ওরফে আকাশ নামে এক যুবককে। যদিও যুব তৃণমূলের সভাপতি সায়নী ঘোষের (Sayoni Ghosh) দাবি, “আমার কমিটি থেকে শুরু করে ব্লকে, অঞ্চলে লক্ষ লক্ষ যুব আছে। এক-দুইজন কোনও কারণে কালিমালিপ্ত হয় বা দুর্নীতিগ্রস্ত হয় তাহলে গোটা যুবকে সামগ্রিকভাবে দাগিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। আমাদের ছেলেপুলেরা মানুষের পাশে আছে। মাঠে নেমে কাজ করছে। সেটার প্রতিফলন ভোটের বাক্সে দেখা যাচ্ছে। আলাদা করে মানুষকে আর বোঝাতে হয় না।”
অন্যদিকে এদিন আকাশ প্রসঙ্গ উঠতেই সায়নীর স্পষ্ট উত্তর, “তদন্ত তদন্তের মত চলবে আমাদের সেখানে কিছু বলার নেই। দলীয় জায়গা থেকে জিরো টলারেন্স পলিসি রয়েছে। যদি কেউ নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাঁর ব্যাপার। আইন আইনের মতো চলবে। দল দলের মতো চলবে।”
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই প্রথম তৃণমূলের ছাত্র (TMCP) ও যুবদের(TMYC) যৌথ সম্মেলন হচ্ছে ধর্মতলায়। ২৯ মার্চ রয়েছে সেই সম্মেলন। যেখানে প্রধান অতিথি তথা বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই সম্মেলনের প্রস্তুতি বৈঠক ছিল তৃণমূল ভবনে। সেখানেই এসেছিলেন সায়নী। সায়নীর কথায় উনত্রিশের সম্মেলন থেকে কেন্দ্রের একাধিক ইস্যুর কড়া সমালোচনা করা হবে। তিনি বলেন, “এটা শুধু শক্তি প্রদর্শনের জায়গা নয়। কারণ তৃণমূলের যা শক্তি আছে তা আলাদা করে প্রদর্শন করার প্রয়োজন নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি মানুষের যে আস্থা রয়েছে সেটা আমরা ব্যালট বক্সে দেখতে পাই।” এখানেই না থেমে তিনি বলেন, “কেন্দ্রের যে জনবিরোধী নীতি রয়েছে তাঁর প্রতিবাদ, কেন্দ্রের এজেন্সিগুলির অপব্যহার করে যেভাবে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠবে এই সভা থেকে। পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদেও আমরা সরব হব।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours