ধরনা মঞ্চ থেকে ফের একবার রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শুধু তাই নয়, তাঁর মুখে ফের শোনা গেল বিরোধী ঐক্যের বার্তাও।
Mamata Banerjee: 'চলো দিল্লি', বিরোধী দল-নাগরিক সমাজ-ধর্মগুরু সকলকে জোট বাঁধার বার্তা মমতারধরনা মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা: ধরনা মঞ্চ থেকে ফের একবার রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শুধু তাই নয়, তাঁর মুখে ফের শোনা গেল বিরোধী ঐক্যের বার্তাও। তাঁর অভিযোগ, বিরোধী দলগুলিকে বিজেপি ‘ফেলনা’ বলে মনে করে। গুরুত্ব দেয় না। তিনি জানান, বিজেপি শুধু এজেন্সির ভয় দেখায়। ইডি-সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভয় দেখায়। তিনি আরও বলেন, মহম্মদ বিন তুঘলেকর মতো আচরণ করছে বিজেপি সরকার। একবারও রাহুল গান্ধীর নাম নেননি মমতা। তবে, তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়েই তিনি সাফ বুঝিয়ে দিয়েছেন রাহুল গান্ধীর পাশে আছেন তিনি।
মমতা বলেন, “বিদেশে যখন আমি গিয়েছি, তখন বাংলায় গণহত্যা করা হয়েছে বলে ৫টা লোককে টাকা দিয়ে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। কই সেটা করলে দোষ হয় না, আর বিদেশে গিয়ে কেউ যদি বলে, আমরা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারি না, তাহলে তার জন্য শাস্তি হয়ে যায়!তার মানে কি, আমরা সব ফেলনা? আর ওনারা সব দোলনা? রাজ বাহিনী? আমি অটলজিকেও দেখেছি। এই রকম অ্যাটিটিউড আমি কখনও দেখিনি।”
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই ইংল্যান্ডের কেমব্রিজে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ‘ভারতীয় গণতন্ত্র বিপন্ন’ বলে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, “ভারতীয় গণতন্ত্র তীব্র চাপের মধ্যে রয়েছে, গণতন্ত্র আক্রান্ত। গণতন্ত্রের জন্য যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলি প্রয়োজন… সংসদ, মুক্ত সংবাদমাধ্যম, বিচার বিভাগ – সবগুলিরই অধিকার সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। আমাদের গণতন্ত্রের মৌলিক কাঠামোর উপর আক্রমণ নেমে আসছে।” এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রাহুলের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিদেশে ভারতীয় গণতন্ত্রকে অপমান করেছেন তিনি, এমন অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির।
তবে শুধু রাহুলের পাশে দাঁড়ানোই নয়, ধরনা মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোট বার্তাও দিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস নয়, বরং তাঁর মুখে এদিন বারংবার শোনা গিয়েছে ‘অপোজিশন’ বা সার্বিকভাবে বিরোধী দলগুলির কথা। মমতা বলেন, ধরনা শুরুর আগে তিনি বহুবার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বাংলার প্রাপ্য নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “আমি নিজে বাংলার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৪-৫বার দেখা করেছিল। বাংলায় হোম মিনিস্টার মিটিং করতে এসেছিলেন, তাঁর সঙ্গেও কথা বলেছি। কবার যাব? ওরা কি ভাবে আমরা বন্ডেড লেবার? নাকি অপোজিশন মানে সব চাকর-বাকর? প্লিজ বিজেপি নেতারা শুনে নিন, আমরা তোমাদের ক্রীতদাস নই, চাকরও নই।”
এদিন ফের সব বিরোধী দলগুলিকে জোট বাঁধার বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। নাগরিক সমাজকেও বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বাঁধার আবেদন জানয়েছেন তিনি। মমতা বলেন, “সংবিধান হল আমার আইন। আমাদের গণতান্ত্রিক দেশে জনতাই শেষ কথা বলবে। আপনারা নয়। আমি সব বিরোধী দলকে বলছি, নাগরিক সমাজ, ধর্মগুরুরা সবাই এক হয়ে চলুন। সবাই মিলে জোট বাঁধুন। মানুষ অধিকার ফেরত না পেলে, দিল্লি চলো। নেতাজি, গান্ধীজি, মণীষীদের ছবি হাতে নিয়ে আমরাও দিল্লি যেতে পারি। চলো দিল্লি।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours