আসানসোল থানায় ঢোকার আগে শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তৃণমূলের নাম না করে তাঁর অভিযোগ, স্লোগান বদলে গিয়েছে। এখন বদল নয়, বদলা চাই।


কম্বলকাণ্ডে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির গ্রেফতারি নিয়ে তপ্ত আসানসোল। শনিবার ভিন্‌রাজ্য থেকে আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রকে গ্রেফতারের পর রাতেই তাঁকে থানায় নিয়ে আসে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। রবিবার সকালে আসানসোলের বিশেষ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় জিতেন্দ্রকে। আসানসোল আদালতে তাঁর শুনানি হয়। নিজের হয়ে নিজেই সওয়াল করেন পেশায় আইনজীবী জিতেন্দ্র। ২ পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক জিতেন্দ্রকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। আদালত থেকে জিতেন্দ্র বেরনোর সময়ে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের বক্তব্য, যদি অনুব্রতকে কালো কাচের গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাহলে তাঁদের নেতাকে কেন ‘ভাঙা পিসিআর ভ্যানে’ নিয়ে যাওয়া হল? সেই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।


KEY Highlights

আসানসোলের বিশেষ আদালতে এদিন নিজের হয়ে সওয়াল করেন পেশায় আইনজীবী জিতেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টে সোমবার এই নিয়ে মামলার শুনানি রয়েছে জানিয়ে তাঁকে ২ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার আবেদন জানান। তবে বিচারক দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর জিতেন্দ্রকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এক বিজেপি কর্মী বলেন, “জিতেন্দ্র তিওয়ারি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। প্রাক্তন বিধায়ক, প্রাক্তন মহানাগরিক। তাঁর স্ত্রী বিরোধী দলনেতা আসানসোল নগনিগমের। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মানুষের সেবার জন্য কম্বল বিতরণ কর্মসূচি নিয়েছিলেন। সেবামূলক কর্মসূচিতে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারের প্রতি সমব্যথী। কিন্তু একজন গরু চোরকে যখন কালো কাচের গাড়িতে পুলিশ নিয়ে যায়, শক্তিগড়ে রেস্টুরেন্টে কচুরি খাওয়াচ্ছে, আমাদের নেতাকে কেন ভাঙা ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হবে? দ্বিচারিতার প্রতিবাদ করেছি।”

আসানসোল থানায় ঢোকার আগে শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তৃণমূলের নাম না করে তাঁর অভিযোগ, স্লোগান বদলে গিয়েছে। এখন বদল নয়, বদলা চাই। বামেদের থেকে তৃণমূল বেশি অত্যাচারী বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বছর ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে শিব চর্চা অনুষ্ঠান হয়। ধর্মীয় সেই অনুষ্ঠানে জিতেন্দ্রর স্ত্রী কাউন্সিলর চৈতালির উদ্যোগে কম্বল বিতরণ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি প্রতীকী হিসাবে কয়েকজনের হাতে কম্বল তুলে দিয়ে চলে যান। এরপরই শুরু হয় কম্বল নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি।
পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় একাধিক ব্যক্তির। জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও চৈতালির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মৃত এক ব্যক্তির পরিজন। একাধিকবার পুলিশ গিয়ে চৈতালি ও জিতেন্দ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাঁদের বাড়িতে গিয়ে একাধিকবার জেরা করা হয়।
এরপর জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। শনিবার আচমকাই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর এবং আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে নয়ডায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours