ইডি জানায়, অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা সহ ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তারা। সেই মতো একে একে ডাক পড়ে।
: গরুপাচার (Cow smuggling Case) মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এরপর মঙ্গলবার ইডি-র হাতে গ্রেফতার হলেন তাঁর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি (Manish Kothari)। ইডি সূত্রে খবর, মণীশের বয়ানে অসঙ্গতি মিলেছে। সে কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিতে চান গোয়েন্দা আধিকারিকরা। তবে এই প্রথমবার তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হননি মণীশ। আগেও বীরভূমে কেন্দ্রীয় সংস্থার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। আর সম্প্রতি অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পর আদালতে ইডি জানায়, অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা সহ ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তারা। সেই মতো একে একে ডাক পড়ে।
কী-কী কারণে গ্রেফতার হতে হল মণীশকে?
ইডি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার জেরায় প্রবল অসহযোগিতা করেছেন মণীশ কোঠারি। মণ্ডল পরিবারের সম্পত্তি কেনার জন্য যে কোটি-কোটি টাকা ব্যবহৃত হয়েছে তাঁর ঠিকমতো হিসাব দিতে পারেননি তিনি। এমনকী ইনকাম ট্যাক্স ফাইলেও রয়েছে বিস্তর গড়মিল। ইডির গোয়েন্দাদের তদন্তে আরও উঠে এসেছে, এই মণীশ কোঠারির হাত থেকেই বিভিন্ন সংস্থায় বেনামে লগ্নি করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। বহু সম্পত্তি বাজারদরের থেকেও বেশি টাকায় কেনার নথিপত্র সরকারের কাছে জমা করেছিলেন হিসেব রক্ষক। ইডির দাবি, অথচ মণীশের নথিতে দেখানো টাকার থেকে আসল লগ্নি করা টাকার পরিমাণ অনেক কম।
ধারাবাহিক তদন্তে নেমে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন ‘নীর ডেভেলপার’ (অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের কোম্পানি) এর মত আরও বেশ কয়েকটি ভুয়ো কোম্পানি রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। যেগুলি মূলত পরিচালনা করতেন মণীশ।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, গরু পাচার চক্রের কোটি-কোটি কালো টাকা কীভাবে সাদা করা যায় তার সমস্ত সুলুক সন্ধান অনুব্রতকে দিয়েছিলেন মণীশই। মূলত তাঁরই অঙ্গুলি হেলনে কোটি কোটি টাকা সাদা করার একটি বেআইনি ‘চক্র’ চলত পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালেই মণীশ পৌঁছে যান ইডি-র সদর দফতরে। প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গতকাল মণীশ ও অনুব্রতকে এদিন মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। এর আগেও অনুব্রতকে মণীশের বয়ান রেকর্ড করে শুনিয়েছিলেন তদন্তকারীরা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours