যদিও বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী জানান, ২০১৯ সালে বিজেপির সন্ত্রাসের ভয়ে অনেককে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত পুলিশ মনে করছে এখন আর দরকার নেই।

জন তৃণমূল নেতার (TMC Leader) নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিল পুলিশ। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের ৪১ জন নেতাকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। যা এবার তুলে নিল ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বেশ কয়েকটি পুরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর, ভাইস চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যানের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে এই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি তালিকাভুক্ত জনপ্রতিনিধিদের একটা বড় অংশই। তবে কেউ কেউ আবার নিরাপত্তা ছাড়া বাইরে বেরোনা নিয়ে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন। বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী জানান, ২০১৯ সালে বিজেপির সন্ত্রাসের ভয়ে অনেককে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত পুলিশ মনে করছে এখন আর দরকার নেই।


সুবোধ অধিকারী বলেন, “এটা প্রশাসনিক বিষয়। প্রশাসনের ব্যাপার। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে আমাদের নেত্রী যেভাবে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত করেছেন, পুলিশ প্রশাসনও অনেক শক্ত হয়েছে। শান্তি ফিরে এসেছে। হতে পারে সে কারণে এমনটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” বিধায়কের বক্তব্য, “২০১৯ সালের পর বিজেপির তুমুল তাণ্ডব চলেছে। অনেক ঘরবাড়ি জ্বালিয়েছে, অনেকের বাড়িতে লুঠপাট চালিয়েছে। অনেক খুনের ঘটনাও ঘটেছে শিল্পাঞ্চলে। সে সময় মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার দরকার পড়েছিল। তবে এখন মনে হয় সেটার আর আলাদা করে দরকার নেই।”

এই নিরাপত্তা তুলে নেওয়া নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন, অর্জুন সিংয়ের ‘ঘরওয়াপসি’র পরই কি এমন সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন? যদিও এ তত্ত্ব মানতে নারাজ সুবোধ। তাঁর দাবি, এখানে দলের কোনও বিষয়ই নেই। পুরোটাই প্রশাসনিক বিষয়। দল একদিকে, প্রশাসন একদিকে। কারও নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে নয় বলেই নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেওয়া হল, মত তৃণমূল বিধায়কের।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours