ইতিমধ্যে রাজ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে শিশুমৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এ হেন পরিস্থিতি থেকে শিশুকে সুরক্ষিত রাখার নয়া নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য ভবন।
করোনার (Corona) স্মৃতি এখনও তাজা। এরই মধ্যে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস (Adenovirus)। মূলত, নতুন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। তবে বড়দের মধ্যেও অল্প-বিস্তর ছড়িয়েছে সংক্রমণ। ইতিমধ্যে রাজ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে শিশুমৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এ হেন পরিস্থিতি থেকে শিশুকে সুরক্ষিত রাখার নয়া নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য ভবন।
স্বাস্থ্য ভবনের তরফে বলা হয়েছে এই সময় বিভিন্ন ভাইরাস থেকেই শিশুদের গলা ও বুকের সংক্রমণ হয়। বর্তমানে সেই অসুখই বেশি মাত্রায় হচ্ছে। তাই খামোকা অ্যাডিনোভাইরাসের কথা ভেবে আতঙ্কিত হতে বারণ করা হয়েছে। রোগ প্রতিরোধের জন্য কয়েকটি নিয়ম মেনে চলার কথাও বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্যভবনের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ভাইরাস মোকাবিলায় বারেবারে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। বড়দের পাশাপাশি ছোটদেরও একই অভ্যাস করাতে হবে। বাইরে থেকে এসে জামাকাপড় বদল করে সঙ্গে-সঙ্গে হাত ধুয়ে তবেই শিশুদের সংস্পর্শে আসতে হবে। ভিড় এড়িয়ে চলা ভাল। বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। কাশি-হাঁচির সময়ে রুমাল বা কনুই দিয়ে মুখ ঢাকুন। কফ বা থুতু যেখানে সেখানে না ফেলাই ভাল।যেসব শিশুদের কোনও গুরুতর জন্মগত অসুখ বা অপুষ্টির সমস্যা আছে, তাদের বিশেষ করে সাবধানে রাখুন।
শুধু সতর্কতাই নয়, পাশাপাশি অসুখ হলে কী কী পদক্ষেপ করা উচিত তাও জারি করা হয়েছে এই নির্দেশিকায়। শিশু অসুস্থ হলে তাকে স্কুলে পাঠাতে নিষেধ করা হয়েছে। শিশু, গর্ভবতী মহিলা বা বৃদ্ধদের থেকে সংক্রমিত ব্যক্তিদের দূরে থাকা উচিত। সর্দি-কাশি হলে হালকা গরম জলে নুন দিয়ে গার্গেল করতে হবে। ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে গরম পানীয় বারেবারে দেওয়া উচিত। বাসক পাতা, মধু, আদা, তুলসী, লবঙ্গ কাশি কমাতে সাহায্য করে। বুকে যদি কফ থাকলে অ্যান্টিহিস্টামিন আছে এমন কাফ সিরাপ খাওয়া উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মেডিক্যাল কলেজগুলি ছাড়াও প্রতিটি জেলা, মহকুমা ও স্টেট জেনারেল হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ রয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের কাছে নিয়ে যান।
এক নজরে
রোগের প্রতিরোধ কীভাবে করবেন?
ক) বারেবারে সাবান দিয়ে হাত ধোবেন। শিশুদেরও অভ্যাস করান। খ) বাইরে থেকে এসে জামাকাপড় বদল করে এবং হাত ধুয়ে তবেই শিশুদের কাছে যাবেন। গ) ভিড় থেকে শিশুকে দূরে রাখাই ভাল। তবু যেতে হলে সকলেই মাস্ক ব্যবহার করবেন। ঘ) কাশি বা হাঁচির সময় রুমাল বা নিজের কনুই দিয়ে মুখ ঢাকা দিন। কফ বা থুতু যেখানে-সেখানে ফেলবেন না। ঙ) যেসব শিশুদের কোনও গুরুতর জন্মগত অসুখ বা অপুষ্টির সমস্যা আছে, তাদের বিশেষ করে সাবধানে রাখুন।
অসুখ হলে কী করবেন?
ক) অসুস্থ শিশুকে স্কুলে পাঠাবেন না। খ) বড় কারও যদি সংক্রমণ হয়, তিনি শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী মহিলার থেকে দূরে থাকুন। গ) হাল্কা গরম নুন-জলে গার্গল। ছোট বাচ্চার ক্ষেত্রে হাল্কা গরম পানীয় বারেবারে দিন। ঘ) বাসক, মধু, আদা, তুলসী, লবঙ্গ – এগুলি কাশি কমায় বা কফ পাতলা হতে সাহায্য করে। ঙ) বুকে যদি কফ থাকে, তবে অ্যান্টিহিস্টামিন আছে এমন কাফ সিরাপ খাওয়া উচিত নয়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours