দিলীপ ঘোষ বললেন, 'আমাদের কোনও জোটের দরকার নেই। গতবার হিংসার মধ্যেও আমরা মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলাম।'
সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election 2023)। তার আগে সাগরদিঘির উপনির্বাচনে তৃণমূলের হার নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী দাবি করেছেন, বিজেপির ভোটারদের একাংশ কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে। আর তারপর থেকেই তৃণমূল শিবির সরব হয়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির আঁতাতের তত্ত্ব নিয়ে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সোমবারও বিধানসভায় এই নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন। এবার পাল্টা দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বললেন, ‘আমাদের কোনও জোটের দরকার নেই। গতবার হিংসার মধ্যেও আমরা মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলাম। আমাদের পিছন পিছন সিপিএম-কংগ্রেস গিয়ে মনোনয়ন জমা করেছিল। বিজেপির একার ক্ষমতা আছে এখানে তৃণমূলকে হারানোর।’
রাজ্য সরকার ও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক অভিযোগ নিয়েও এদিন মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। রাজ্য জুড়ে পানীয় জল, রাস্তা থেকে শুরু করে স্কুলে শিক্ষক , হাসপাতালে চিকিৎসক, থানায় পুলিশ নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। মানুষের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙছে। তাই তাঁরা রাস্তায় নামছেন। দিদির কথায় তৃণমূলের নেতারা সুরক্ষা কবচ দিতে যাচ্ছেন। জনরোষে পড়ছেন। কারণ, মানুষের মনের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। তাঁরা বলতে পারতেন না। নেতারা আসতেন না শুনতে। এখন তাই দিদির দূতেদের পুলিশ নিয়ে যেতে হচ্ছে। যে বা যারা প্রতিবাদ করছে তাদের পেটানো হচ্ছে, যা আমরা টিভিতে দেখেছি। এই যে অসহিষ্ণুতা আর মানুষের প্রতি ব্যবহার এর যোগ্য জবাব পঞ্চায়েত থেকে শুরু হয়ে যাবে।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours