March 2023

মমতার আগমনের খবরে জোর তৎপরতা পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনিক মহলে। যে জায়গাগুলিতে মমতার সভা করার কথা রয়েছে সেখানে দফায় দফায় যাচ্ছেন জেলার প্রশাসনিক কর্তারা।

CM Mamata Banerjee : বদলে গেল মুখ্যমন্ত্রীর দিঘার সফরসূচি, পরিবর্তন কোন কোন জায়গায় ?
দিঘা : এপ্রিলের শুরুতেই পূর্ব মেদিনীপুরে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)। রয়েছে একগুচ্ছ কর্মসূচি। আগামী ৩ এপ্রিল বিকালে কপ্টারে কলকাতা (Kolkata) থেকে দিঘায় পৌঁছানোর কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী। ফেরার কথা ছিল ৬ তারিখ। সেই সফরসূচিতেই খানিক পরিবর্তন হয়ে গেল। সূত্রের খবর, আগামী ৩ এপ্রিল জেলায় প্রবেশ করেই সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দেবেন মমতা। সেই কর্মসূতি রয়েছে খেঁজুরির ঠাকুরনগরে। ৪ তারিখ দিঘায় রয়েছে রাজনৈতিক কর্মীসভা। ওইদিন দিঘায় রাত্রি যাপনও করবেন। ৫ তারিখ কলকাতা ফিরবেন বলে এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে।

এদিকে মমতার আগমনের খবরে জোর তৎপরতা পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনিক মহলে। যে জায়গাগুলিতে মমতার সভা করার কথা রয়েছে সেখানে দফায় দফায় যাচ্ছেন জেলার প্রশাসনিক কর্তারা। চলছে নজরদারি। আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এদিকে আগের পাওয়া খবরে ডাবা গিয়েছিল ৩ এপ্রিল বিকালে কপ্টারে কলকাতা থেকে দিঘায় পৌঁছানোর কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী। এরপর ৪ এপ্রিল দিঘার হেলিপ্যাড ময়দানে বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্বেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তৃণমূল সুপ্রিমোর।


Weather Update : নিম্নচাপের প্রভাবে চলতি সপ্তাহের শেষে শীতের আকাশে ঘনাবে মেঘ, বৃষ্টি কি হবে?
৫ এপ্রিল ছিল জনসংযোগ কর্মসূচি। কথা বলার কথা ছিল বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে উপকৃতদের সঙ্গে। তাছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় দুয়ারে সরকার শিবির পরিদর্শনেও যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী, খবর ছিল এমনটাই। এখন নতুন সফরসূচিতে দেখা যাচ্ছে ৫ তারিখ জনসংযোগ কর্মসূচির কোনও উল্লেখ নেই। ৪ তারিখ দিঘায় রয়েছে রাজনৈতিক কর্মীসভা সেরে পরের দিন কলকাতা ফিরছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে কারা মন্ত্রী অখিল গিরি জানান, “ওনার প্রোগ্রামটা একটু বদলে গিয়েছে। ৪ তারিখ এসে খেঁজুরির ঠাকুরনগরে একটি ডিস্ট্রিবিউশন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। তারপর রাতে দিঘায় থাকবেন। পরেরদিন দলীয় কর্মীসভায় যোগ দেবেন। সেখানে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি জনসমাগম হওয়ার কথা রয়েছে।”

ভোটমুখী কর্ণাটকের এই ভাইরাল ভিডিয়োটি, দক্ষিণী রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

Video: কাঁদতে কাঁদতে মোদীর ছবিকে চুম্বন কৃষকের, বললেন...আবেগের চুম্বন
বেঙ্গালুরু: ১০ মে কর্নাটকের নির্বাচন। নির্বাচনের মুখে রাজ্যে একাধিক সমস্যায় গেরুয়া শিবির। ইয়েদুরাপ্পাকে নিয়ে অসন্তোষ, বিভিন্ন এলাকায় দুর্নীতির অভিযোগ, একাংশের মানুষের মধ্যে ক্ষমতা-বিরোধী মেজাজ। কিন্তু, সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করতে পারে মোদী ম্যাজিক। অন্তত, ভোটমুখী কর্ণাটকের একটি ভাইরাল ভিডিয়ো দক্ষিণী রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে একটি বাসে প্রধানমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে কথা বলতে বলতে আবেগাপ্লুত হয়ে ছবিটিকে চুম্বন করছেন এক ব্যক্তি। সূত্রের খবর ওই ব্যক্তি একজন কৃষক। ভিডিয়োতে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির আওতায় পাওয়া অর্থের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ দিতেও দেখা গিয়েছে।


ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে কর্নাটক রাজ্য পরিবহণ বিভাগের একটি বাসে জি২০ সম্মেলনের একটি বিজ্ঞাপন রয়েছে। সেই বিজ্ঞাপনের অংশ হিসেবে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর একটি ছবি রাখা হয়েছে। তার সামনে সাদা জামা নীল হাফ প্যান্ট পরে দাঁড়িয়ে ওই কৃষক। পায়ে হাওয়াই চটি, হাতে লাঠি ও প্লাস্টিকের ব্যাগ। প্রধানমন্ত্রীকে হাতের কাছে না পেয়ে তাঁর ছবির সঙ্গেই কথা বলতে দেখা যায় ওই কৃষককে। আবেগে কাঁদতে কাঁদতে কন্নড় ভাষায় তিনি যা বলেছেন, তার বঙ্গানুবাদ করলে দাঁড়ায়: “আগে আমি ১,০০০ টাকা করে পাচ্ছিলাম। আপনি আরও ৫০০ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আপনি বলেছেন, আপনি আমাদের বাড়ি করে দেবেন। আপনি বলেছেন আমাদের স্বাস্থ্যবীমার জন্য ৫ লক্ষ টাকা দেবেন। আপনাকে আমি প্রণাম জানাই, আপনি বিশ্ব জয় করবেন।” এরপরই তাঁকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবিটিতে চুম্বন করতে দেখা যায়।



জনপ্রিয়তার দিক থেকে বর্তমানে ভারতের তো বটেই, বিশ্বের কোনও নেতাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ধারেকাছে নেই। গত ফেব্রুয়ারিতেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কনসাল্টিং ফার্ম, ‘মর্নিং কনসাল্ট’-এর সমীক্ষায় নরেন্দ্র মোদীর ‘অ্যাপ্রুভাল রেটিং’ ছিল ৭৮ শতাংশ। রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট, ‘অ্যাপ্রুভাল রেটিং’ ছিল ৬৮ শতাংশ। তার থেকেও বিস্ময়কর হল, কোভিড-১৯ মহামারির আগে যে সকল জনপ্রিয় রাষ্ট্রনেতারা ছিলেন, মহামারি চলাকালীন সকলেই জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন। অধিকাংশকেই সর্বোচ্চ পদ থেকে সরে যেতে হয়েছে। একমাত্র নিজ স্থানে অটল রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি, ভারতে তার প্রথম সফরে এসে, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিও স্বীকার করে নিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীই ‘বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় নেতা’।

 দেশের ৬ হাজার ১০৮টি স্টেশনে উচ্চ গতি সম্পন্ন ওয়াইফাই পরিষেবা রয়েছে। যে সব এলাকায় যে রকম ইন্টারনেট পরিষেবা উপলব্ধ রয়েছে তার উপর ভিত্তি করেই সেই ওয়াইফাই পরিষেবা চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Wifi in Rail station: দেশের ৬ হাজারেরও বেশি স্টেশনে রয়েছে ওয়াইফাই, পশ্চিমবঙ্গের কত স্টেশনে রয়েছে?
নয়াদিল্লি: ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী হওয়ার বার্তা দিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বুধবার লোকসভার এক প্রশ্নোত্তর পর্বে এ বিষয়ে জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, ডিজিটাল ইন্ডিয়ার উদ্যোগকে শক্তিশালী করতে ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্টেশনে ওয়াইফাই পরিষেবা চালু করেছে রেল। তিনি জানিয়েছেন দেশের ৬ হাজার ১০৮টি স্টেশনে উচ্চ গতি সম্পন্ন ওয়াইফাই পরিষেবা রয়েছে। যে সব এলাকায় যে রকম ইন্টারনেট পরিষেবা উপলব্ধ রয়েছে তার উপর ভিত্তি করেই সেই ওয়াইফাই পরিষেবা চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

দেশের কোন রাজ্যে কত স্টেশনে ওয়াইফাই রয়েছে?

দেশে রেলস্টেশনে প্রথম ওয়াইফাই বসানো হয়েছিল উত্তর প্রদেশে। পিপিপি মডেলের অধীনে এই ওয়াইফাই বসানো হয়েছিল। এর পর পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান ও অন্ধ্র প্রদেশের বেশ কয়েকটি স্টেশনে বসে ওয়াইফাই। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের ৭৬৮ স্টেশনে ফ্রি ওয়াইফাই বসিয়েছে রেল। মহারাষ্ট্রের ৫৬৬টি স্টেশনে রয়েছে এই ওয়াইফাই পরিষেবা। পশ্চিমবঙ্গের ৫১০টি স্টেশনে ওয়াইফাই রয়েছে। অন্ধ্র প্রদেশের ৫০৯ স্টেশন এবং রাজস্থানের ৪৬৩ স্টেশনে ওয়াইফাই পরিষেবা রয়েছে।


ভারতীয় রেলে এই মুহূর্তে কত কর্মী রয়েছে সে কথাও জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানিয়েছেন, ১ ফেব্রুয়ারি অবধি রেলে ১১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯২৫ জন কর্মী রয়েছেন। রেলের বেসরকারিকরণের কোনও পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

জনসচেতনতা থাকলেই সাইবার অপরাধীরা তাদের সহজে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট খালি করতে পারবে না।

Cyber Crime: একটি ফোনেই আপনার অ্যাকাউন্ট খালি হয়ে যেতে পারে, ভুলেও করবেন না এই কাজগুলিপ্রতীকী ছবি।
নয়া দিল্লি: বর্তমানে সাইবার অপরাধের (Cyber Crime) ঘটনা বেড়ে চলেছে। সাইবার অপরাধীরা (Cyber Fraud) প্রতিদিন নতুন-নতুন কৌশল অবলম্বন করে করে গ্রাহকদের জালে ফাঁসাচ্ছে এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি করে দিচ্ছে। কখনও লটারি জেতা বা অন্য কোনও প্রলোভন দিয়ে গ্রাহককে ফাঁসাচ্ছে তো কখনও ব্যাঙ্ক থেকে ফোন করার নাম নিয়ে বিশেষ কোনও লিঙ্ক দিয়ে অ্যাকাউন্ট খালি করে নিচ্ছে। সাইবার অপরাধ রুখতে পুলিশ যেমন তৎপর, তেমনই জনগণের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলাও বিশেষ জরুরি। জনসচেতনতা থাকলেই সাইবার অপরাধীরা তাদের সহজে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট খালি করতে পারবে না। কী ভাবে সাইবার অপরাধ ঠেকানো যায় জানুন…


কী ভাবে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি হয়ে যেতে পারে? ১) কোনও অচেনা বা অজানা নম্বর থেকে কেউ ফোন করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে কোনও তথ্য জানতে চাইতে পারে। ২) ব্যাঙ্ক থেকে ফোন করছে জানিয়ে কেউ আপনার অ্যাকাউন্ট নম্বর বা আধার কিংবা প্যান নম্বর চায় অথবা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট আপডেট করতে হবে বলে বিশেষ কোনও লিঙ্কে ক্লিক করতে বলে তাহলে জানতে হবে সেটি সাইবার অপরাধ হতে পারে। ৩)লটারি জিতেছেন বা অন্য কোনও প্রলোভন দেখিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর চাইতে পারে অথবা বিশেষ কোনও লিঙ্কে ক্লিক করতে বলতে পারে। ৪) বর্তমানে টুইটারের উপরেও নজর রাখছে সাইবার অপরাধীরা। তাই অনলাইনে কেনাকাটার সময়ও গ্রাহককে প্রথমে সমস্যায় ফেলে, তারপর সমাধানের নাম নিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়।



Vande Bharat Express: বিশ্বের প্রথম দ্রুততম ‘হাই রাইজ’ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, কোন রুটে চলবে এটি?
কী ভাবে সাইবার অপরাধ ঠেকাবেন? ১) কোনও অচেনা বা অজানা নম্বর থেকে কেউ ফোন করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে কোনও তথ্য জানতে চাইলে ভুলেও সেটি দেবেন না। ২) ব্যাঙ্ক থেকে ফোন করছে জানিয়ে কেউ আপনার অ্যাকাউন্ট নম্বর বা আধার কিংবা প্যান নম্বর চাইলে অথবা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট আপডেট করতে হবে বলে বিশেষ কোনও লিঙ্কে ক্লিক করতে বলে ভুলেও সেটা করবেন না। বরং সরাসরি ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করবেন। ৩)লটারি জিতেছেন বা অন্য কোনও প্রলোভন দেখিয়ে ফোন করে কেউ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর চাইলে অথবা বিশেষ কোনও লিঙ্কে ক্লিক করতে বললে ভুলেও সেই ফাঁদে পা দেবেন না। বরং পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ৪) অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রেও পেমেন্ট ব্যর্থ হওয়ার পর সমাধান করার নাম করে কোনও লিঙ্ক এলে ভুলেও সেটিতে ক্লিক করবেন না। সোশ্যাল মিডিয়াতেই নিজের তথ্য শেয়ার করবন না এবং ওটিপি, পাসওয়ার্ড কাউকে দেবেনা না। সরাসরি ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করুন।

১৬তম আইপিএল শুরুর আগের দিন ক্যাপ্টেন্স মিটে ছিলেন না মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। খোঁজ খোঁজ রব পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Rohit Sharma: 'অসুস্থ' থাকায় ক্যাপ্টেন্স মিটে অনুপস্থিত রোহিত, প্রথম ম্যাচে খেলবেন?
Image Credit Source: Twitter
আমেদাবাদ: কোথায় গেলেন রোহিত শর্মা? সোশ্যাল মিডিয়ায় খোঁজ খোঁজ রব পড়ে গিয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে (IPL 2023)। আইপিএল শুরুর আগের দিন নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে প্রি-আইপিএল ক্যাপ্টেন্স মিটে পাওয়া যায়নি রোহিতকে (Rohit Sharma)। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ককে ছাড়াই ক্যাপ্টেনদের ফটোসেশন হয়েছে। আইপিএল ট্রফিকে মাঝখানে রেখে মহেন্দ্র সিং ধোনি, হার্দিক পান্ডিয়া, লোকেশ রাহুলরা পোজ দিলেও ছবি থেকে উধাও রোহিত শর্মা। কী এমন ঘটল যে পাঁচ বারের আইপিএল জয়ী অধিনায়ক ক্যাপ্টেন্স মিটে এলেন না। তাহলে কী চোট নাকি অসুস্থতা? ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের ১৬তম সংস্করণ শুরুর ঠিক আগে রোহিতকে নিয়ে বেজায় দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন অনুরাগীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই টুইটারে ট্রেন্ডিং Where is Rohit? টুইটারে মিমের ছড়াছড়ি।


রোহিতের অনুপস্থিতির কারণ চমকে দিতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ফ্যানদের। টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, রোহিত নাকি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যে কারণে প্রি-আইপিএল ক্যাপ্টেন্স মিটে তাঁকে পাওয়া যায়নি। অসুস্থতা নিয়ে মুম্বই থেকে আমেদাবাদ ট্রাভেল করতে চাননি রোহিত। ২ এপ্রিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রথম ম্যাচ বিরাট কোহলিদের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে। তারকাখচিত আরসিবির বিরুদ্ধে নামার আগে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চান না রোহিত। তাই আমেদাবাদে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বুধবার মুম্বইয়ে এমআইয়ের প্রি-টুর্নামেন্ট সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হিটম্যান।



রোহিতের অসুস্থতার খবর ছড়াতেই আরও দুশ্চিন্তা এমআই ফ্যানদের ঘিরে ধরেছে। তাঁদের প্রশ্ন, প্রথম ম্যাচে আরসিবির বিরুদ্ধে রোহিতকে আদৌ পাওয়া যাবে তো? চিন্তাটা স্বাভাবিক। সাময়িক অসুস্থ হলেও প্রথম ম্যাচে রোহিতের খেলা নিয়ে সংশয় নেই। এদিকে বৃহস্পতিবারের ফটোশুটে রোহিতের পাশাপাশি ছিলেন না সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার প্রথম ম্যাচে খেলবেন না। তাঁর পরিবর্তে নেতৃত্ব দেবেন ভুবনেশ্বর কুমার। বাকি আটটি দলের অধিনায়ক এদিন উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে।

প্রসঙ্গত, ২২০তম দিনে ধরে চলছে ২০১৪ সালের টেট চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা। সেখানেই এবার দেখা গেল এই চমকপ্রদ ঘটনা।

TET Protest : টেটের ধরনা মঞ্চে নকল মমতা, ‘আসল চাই’, ডামি মুখ্যমন্ত্রীর সামনে লাগাতার চলল স্লোগানটেট ধরনা মঞ্চে ডামি মুখ্যমন্ত্রী
কলকাতা : ধরনা মঞ্চে বসে আছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। অন্যদিকে সেখান থেকে খানিক দূরেই টেট প্রার্থীদের (TET Protest) ধরনা মঞ্চে নীল শাড়ি, সাদা হাওয়াই চটি পরে তিনি এলেন। চুলটা টেনে আঁচড়ে খোপা করা, বাঁ হাতের কব্জিতে চৌকো ডায়ালের স্মার্ট ওয়াচ। যেভাবে মমতা শাড়ির আঁচল টানেন, হাত জড়ো করে চেয়ারে বসেন, অবিকল সেইসব অভিব্যক্তিও নকল করছেন। তাঁর সামনেই চলল স্লোগান। তাঁকে দেখে প্রথমে মমতা ভেবে ভুল হতে পারে। কিন্তু, ভালভাবে দেখলেই ভাঙবে ভুল। তাই বলে, যেমন খুশি তেমন সাজো নয়, একেবারে মমতার সাজেই সাজলেন এক চাকরি প্রার্থী। সেই নকল মমতাকে বসানো হল ধরনা মঞ্চে।টেট চাকরি প্রার্থীদের সাফ বক্তব্য, আসল মুখ্যমন্ত্রীর কানে তাঁদের দাবি-দাওয়া পৌঁছে দিতেই এই অভিনব প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন তাঁরা। আনা হয়েছে নকল মুখ্যমন্ত্রীকে। স্লোগানের সুরেই তাঁরা বলছেন, ‘নকল নয়, নকল নয়, আসল চাই, মুখ্যমন্ত্রী তোমায় চাই।’


প্রসঙ্গত, ২২০তম দিনে ধরে চলছে ২০১৪ সালের টেট চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা। সেখানেই এবার দেখা গেল এই চমকপ্রদ ঘটনা। অথচ সেখান থেকে মাত্র ৬০০ মিটার দূরে রেড রোডের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দ্বিতীয়দিনের ধরনা মঞ্চে বসে আছেন আসল মমতা। তখনই একাবের প্রতীকী রূপে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাজে চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা মঞ্চে হাজির ডামি মুখ্যমন্ত্রী।

এদিকে এদিন আবার মুখ্যমন্ত্রীর ধরনাকে কটাক্ষও করেছেন আন্দোলনকারীরা। এক আন্দোলনকারী বলেন, “২ বড় না ২২০ বড়? আজ ২২০ দিনের পড়েছে আমাদের ধরনা। অথচ নবান্নের ১৪ তলা থেকে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দেখতে পেলেন না। সে কারণেই আমাদের বার্তা নকল নয়, আসল চাই। এখন থেকে মাত্র ৬০০ মিটার দূরে উনি ধরনা দিচ্ছেন। আজ যিনি আমাদের বঞ্চিত করেছেন তিনি আজকে বঞ্চিত হয়ে ধরনা দিচ্ছেন। তাই আমাদের দুর্দশা দেখে যাওয়ার জন্য আমরা অনুরোধ করছি।”



Weather Update : নিম্নচাপের প্রভাবে চলতি সপ্তাহের শেষে শীতের আকাশে ঘনাবে মেঘ, বৃষ্টি কি হবে?
যিনি ডামি মুখ্যমন্ত্রী সেজেছেন তিনি বলছেন, “আপনি এত কাছে রয়েছেন। তাও আমাদের কাছে এলেন না। আজ ৯ বছর ধরে বঞ্চনার শিকার তবু আমাদের কথা শুনছেন না। আমরা আর কোনও নকল প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাসী নই। প্রতিকারে বিশ্বাসী।” 
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে লোকজন মোবাইলে আবিষ্ট বলেও মনে করেন তিনি।

Martin Cooper: ‘আজ যা দেখছি, আমি বিধ্বস্ত’, কেন এমন কথা বললেন ৫০ বছর আগে প্রথম মোবাইল আবিষ্কর্তামার্কিন ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন কুপার
ক্যালিফোর্নিয়া: বর্তমান যুগে মোবাইল ফোনের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। অত্যাধুনিক মোবাইল ফোন এবং তার ব্যবহারের গভীর প্রভাব পড়েছে সমাজ জীবনেও। এই প্রজন্মের মোবাইল ব্যবহার দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছেন মোবাইল ফোনের অন্যতম জনক। তাঁর নাতি-নাতনির বয়সীদের মোবাইল আসক্তি রীতিমতো চমকে দিয়েছে আমেরিকার এই ইঞ্জিনিয়ারকে। প্রায় ৫০ বছর আগের কথা। প্রথম মোবাইল ফোন তৈরি করেন মার্কিন ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন কুপার। সেই ফোনের সঙ্গে আজকের মোবাইলের আকাশ-পাতাল তফাত। সে সময়ের প্রযুক্তির কথা ভাবলে সেই আবিষ্কারের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে লোকজন মোবাইলে আবিষ্ট বলেও মনে করেন তিনি।

মোবাইল ব্যাপারে আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন কুপার, যিনি ‘ফাদার অব দ্য সেল ফোন’ হিসাবে জনপ্রিয় জানিয়েছেন, মোবাইল একটি ছোট্ট ডিভাইস। যা আমাদের সকলের পকেটেই জায়গা করে নিয়েছে। যার ক্ষমতা অসীম। এক দিন রোগকে জয় করতেও ভূমিকা নেবে এই ডিভাইস। কিন্তু লোকে এখন তা নিয়ে বেশি অবসেসড। ক্যালিফোর্নিয়ার ডেল মারে নিজের অফিসে বসে ৯৪ বছরের কুপার বলেছেন, “যখন দেখি কেউ রাস্তা পার হচ্ছেন। কিন্তু তাঁর হাতে রয়েছে মোবাইল এবং মোবাইলের স্ক্রিনে তাকিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে। তখন আমি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এর জেরে অনেকে গাড়ির তলায় চাপা পড়ছে। তা দেখেও বাকিরা নির্বিকার।”

‘ফাদার অব দ্য সেল ফোন’ এখন ব্যবহার করেন অ্যাপলের তৈরি আইফোন। আইফোনের সাম্প্রতিক তম ভার্সনই থাকে তাঁর হাতে। সঙ্গে থাকে অ্যাপল ওয়াচও। এই সব ফোনে লক্ষ লক্ষ অ্যাপ রয়েছে। তার খুব কমই ব্যবহার করেন বলে জানিয়েছেন তিনি। মোবাইল ব্যবহারের ব্যাপারে তিনি বলেছেন, “আমার নাতি ও তাঁর কনিষ্ঠরা যে ভাবে মোবাইল ব্যবহার করে আমি তা কোনও দিনই বুঝি না।”


কুপার যে ফোন বানিয়েছিলেন তার সঙ্গে আজকের ফোনের প্রযুক্তিগত বিস্তর ফারাক রয়েছে। ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল তিনি যে মোবাইল দেখিয়েছিলেন গোটা বিশ্বকে তা ছিল অনেক ভারী, শক্ত এবং তার ভিতর ছিল জটিল সার্কিটে ভর্তি। আজকের হালকা, পাতলা মোবাইল দেখে নিজের আবিষ্কারের জয়যাত্রা প্রত্যক্ষ করছেন তিনি। যদিও এর ব্যবহারের ধরন খুশি করতে পারেনি তাঁকে।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, তিনি দলকে প্রমাণ করে দেবেন যে তিনি কোনও অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

Partha Chatterjee: দলকে প্রমাণ করে দেব, কোনও অন্যায় করিনি: পার্থপার্থ চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) গ্রেফতারির পর কড়া পদক্ষেপ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দলীয় সব পদ থেকে। মন্ত্রিসভার দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে পার্থকে। দলগত তরফেও বার বার স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, দুর্নীতি প্রমাণিত হলে, কাউকে রেয়াত করা হবে না। শুরু থেকেই পার্থর ইস্যুতে সাবধানী দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বকে। গতকাল শহিদ মিনার ময়দানে তৃণমূলের ছাত্র-যুব সমাবেশ থেকেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় দলের অবস্থানের কথা আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, তিনি দলকে প্রমাণ করে দেবেন যে তিনি কোনও অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।


পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বৃহস্পতিবার ফের আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছিল। এদিন আরও একবার খারিজ হয়ে যায়, পার্থর জামিনের আবেদন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সহ ১৪ জনকে ১৩ এপেরিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই বিশেষ আদালত। আদালত চত্বর থেকে বেরোনোর সময় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল অভিষেকের শহিদ মিনারের বার্তা প্রসঙ্গে। তবে পার্থবাবু অভিষেকের মন্তব্য প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাননি। শুধু বললেন, ‘দল যা ভাল মনে করে করুক। আমি দলকে প্রমাণিত করব, আমি কোনও অন্যায়ের সঙ্গে ছিলাম না, থাকিওনি।’


উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রায় আট মাস হয়ে গেল জেলবন্দি। এখনও জামিন পাননি। কবে মিলবে জামিন, তাও জানেন না। পার্থবাবুর বক্তব্য, তাঁকে বিনা বিচারে আট মাস আটকে রাখা হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর যে তাঁর এখনও আস্থা রয়েছে, সেই কথা নিজেই জানিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। বললেন, ‘একশো শতাংশ বিশ্বাস রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর উপর।’ তবে তৃণমূল নেতৃত্ব শুরু থেকেই সাবধানী দূরত্ব বজায় রেখে আসছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্যুতে। একাধিকবার দলের নেতারা বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেউই দলের ঊর্ধ্বে নন এবং তৃণমূল দলগতভাবে কখনও দুর্নীতি বা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ), এক ঐতিহাসিক রায় দিল লাহোর হাইকোর্ট। বাতিল হল পাকিস্তানি দণ্ডবিধির ১২৪-এর ক ধারা বা রাষ্ট্রদ্রোহ আইন।

Pakistan: বাতিল ঔপনিবেশিক যুগের 'রাষ্ট্রদ্রোহ আইন', ভারতকে পিছনে ফেলল পাকিস্তানলাহোর হাই কোর্ট (ফাইল ছবি)
লাহোর: পাকিস্তানে আর কাউকে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। ভারত এখনও পর্যন্ত ব্রিটিশ আমলের এই আইন বাতিল করতে না পারলেও, পাকিস্তান তা করে দেখাল। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ), এক ঐতিহাসিক রায় দিল লাহোর হাইকোর্ট। বাতিল হল পাকিস্তানি দণ্ডবিধির ১২৪-এর ক ধারা। এই ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহিতাকে অপরাধ বলে গণ্য করা হত। বিচারপতি শাহিদ করিমের একক-বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, ১২৪-এর ক ধারা পাকিস্তানের সংবিধানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। এই আইন পাকিস্তানি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৯-এ যে বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, তা লঙ্ঘন করে।


কী এই রাষ্ট্রদ্রোহ আইন?

বস্তুত, পাকিস্তান এবং ভারতের রাষ্ট্রদ্রোহিতার আইনে কোনও ফারাক নেই। আসলে এটি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকদের তৈরি আইন, যা দুই দেশই স্বাধীনতার পর থেকে এতদিন পর্যন্ত বহাল রেখেছিল। এই আইনে বলা হয়েছে, কেউ যদি কথিত বা লিখিত শব্দ বা চিহ্ন দ্বারা বা দৃশ্যমান উপস্থাপনা দ্বারা কিংবা অন্য কোনও উপায়ে, বিধি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রীয় বা প্রাদেশিক সরকারের বিরুদ্ধে ঘৃণা বা অবমাননা সৃষ্টি করে বা সৃষ্টির চেষ্টা করে, অথবা অসন্তোষ তৈরির চেষ্টা করে, তাহলে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে। তার সঙ্গে জরিমানাও যোগ করা যেতে পারে। জরিমানা না দিতে পারলে কারাদণ্ড আরও তিন বছর পর্যন্ত বাড়তে পারে।


কেন বাতিল রাষ্ট্রদ্রোহ আইন?

লাহোর হাইকোর্টে এই রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বাতিল করার জন্য একগুচ্ছ আবেদন জমা পড়েছিল। সেই আবেদনগুলিতে বলা হয়েছিল, পাকিস্তানে এই আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল তাদের বিরোধীদের শায়েস্তা করতে অন্যায্যভাবে এই আইনকে ব্যবহার করছে। আবেদনে আরও বলা হয়েছিল, এই আইন পাকিস্তানি সংবিধানের অনেকগুলি অনুচ্ছেদ লঙ্ঘনকারী। এর মধ্যে রয়েছে অনুচ্ছেদ ১৪ (মর্যাদার অধিকার), ১৫ (চলাচলের স্বাধীনতা), ১৬ (সমাবেশের স্বাধীনতা), ১৭ (সংগঠনের স্বাধীনতা), ১৯ (বাক স্বাধীনতা), ১৯-এর ক (তথ্যের অধিকার)।

ভারতে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের কী অবস্থা?

ভারতেও গত কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বাতিল করা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪-এর ক ধারা বা রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের সমতুল্য বিধানটি অবিকল এক। ভারতে এখনও আইনটি বাতিল না হলেও সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী রায়ে আপাতত নিষ্ক্রিয় রয়েছে। ২০২২-এর মে মাসে, কেন্দ্রীয় সরকার, শীর্ষ আদাল হলফনামা দাখিল করে জানিয়েছিল, এই আইনটি সরকার ফের যাচাই ও পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট তার অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে বলেছিল, সরকারের আইনটি পর্যালোচনা করা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪-এর ক ধারা স্থগিত রাখা হবে। একইসঙ্গে এই আইনের অধীনস্ত সমস্ত মুলতুবি থাকা মামলার তদন্ত বা কোনও কঠোর পদক্ষেপ না করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এই ধরনের মামলা আছে যাদের নামে, তাদের আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার অধিকারও দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে বলেছে মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। ভারতের আগেই এই ঔপনিবেশিক চিহ্ন মুছে ফেলল পাকিস্তান।

পিঠের চোট সারাতে বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে যোগ দিলেন শ্রেয়স আইয়ার।

KKR, IPL 2023: এনসিএতে রিহ্যাব শুরু, কেকেআরের আরও কাছে শ্রেয়সএনসিএতে রিহ্যাব শুরু, কেকেআরের আরও কাছে শ্রেয়স
Image Credit Source: Twitter
কলকাতা: শুক্রবার থেকে শুরু আইপিএল (IPL)। ভারতের জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি লিগে নজর ক্রীড়াপ্রেমীদের। প্রথম ম্যাচেই মাঠে নামছে গত আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স। হার্দিকদের সামনে ধোনিদের চেন্নাই সুপার কিংস। শনিবার আইপিএল অভিযান শুরু করবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম ম্যাচে কেকেআরের (KKR) সামনে পঞ্জাব কিংস। পিঠের চোটের কারণে বেশ কিছু ম্যাচেই অনিশ্চিত শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer)। স্টপগ্যাপ অধিনায়ক হয়েছেন নীতীশ রানা। আইপিএল যাত্রা শুরুর আগে নাইট শিবিরে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরল। পিঠের চোট সারাতে বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে যোগ দিলেন শ্রেয়স আইয়ার। শুরু করলেন রিহ্যাব। দীর্ঘদিন ধরেই পিঠের চোট ভোগাচ্ছে শ্রেয়সকে। চিকিৎসক অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিলেও, এখনও তা করাতে রাজি নন নাইট অধিনায়ক। চোট সারাতে তাই রিহ্যাবের পথেই হাঁটলেন তিনি। বিস্তারিত রইল TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।


৭ জুন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। সেটাকে পাখির চোখ করেই রিহ্যাব শুরু করেছেন শ্রেয়স আইয়ার। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আগে নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএলে শেষ কয়েকটা ম্যাচ খেলতে চান শ্রেয়স। তাই এখনই অস্ত্রোপচারের পথে হাঁটতে নারাজ তিনি। অস্ত্রোপচার করলে ৬ মাস মাঠের বাইরে থাকতে হত শ্রেয়সকে।

ভারত-অস্ট্রেলিয়া আমদাবাদ টেস্টের আগেই চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। এরপর মুম্বইয়ে এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। শ্রেয়সকে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন সেই চিকিৎসক। সেই পথে না হেঁটে এনসিএ-তে বোর্ডের চিকিৎসকদের পরামর্শ নেন তিনি। ওই বিশেষজ্ঞরাও তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচারের পথে হাঁটতে নারাজ। পরামর্শ মেনেই রিহ্যাব শুরু করলেন শ্রেয়স।



সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি লিটন দাসকেও আইপিএলে খেলার এনওসি দিয়েছে বিসিবি।

অবশেষে হাসি ফুটতে চলেছে নাইট প্রেমীদের মুখে। আইপিএল (IPL) শুরু হওয়ার আগে ওপার বাংলা থেকে এসেছে খুশির খবর। এ বারের আইপিএলে প্রথম থেকেই কেকেআর (KKR) পাবে বাংলাদেশের দুই তারকাকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে অবশেষে এনওসি দেওয়া হয়েছে সাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan) ও লিটন দাসকে (Litton Das)। এ ছাড়া দিল্লি ক্যাপিটালসে এ বারের আইপিএলে খেলার কথা আর এক বাংলাদেশি ক্রিকেটারের। তিনি হলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তাঁকেও এনওসি দিয়েছে বিসিবি। বিস্তারিত জেনে নিন প্রতিবেদনে।


বর্তমানে আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের সিরিজ চলছে সাকিবদের। যার ফলে সাকিব-লিটনদের আইপিএলে খেলার ছাড়পত্র দিতে নারাজ ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বাংলাদেশের জাতীয় দলের কোচ হাথুরুসিংহে জানিয়েছিলেন, নিলামে নাম তোলার আগে থেকেই ক্রিকেটারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল আগে দেশের হয়ে খেলতে হবে। দেশের ক্রিকেটারদের জাতীয় দলের ডিউটি পালন করতে হবে। এই মর্মে সাকিব-লিটনদের শুরুতে আইপিএল খেলার এনওসি দেয়নি বিসিবি। এই বিষয়ে বিসিবির কর্তাদের একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। অবশেষে সিদ্ধান্ত বদল করল বিসিবি।

আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ জয়ের পর ২৭ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। ৩১ মার্চ অর্থাৎ আইপিএল-২০২৩ এর উদ্বোধনের দিন রয়েছে বাংলাদেশ বনাম আয়ার্ল্যান্ডের তৃতীয় টি-২০ ম্যাচ। এরপর দুই দেশ খেলবে একটি টেস্ট ম্যাচ। সেটি শুরু হবে ৪ এপ্রিল। তারপর ফের আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশের। এই ওডিআই সিরিজ রয়েছে যথাক্রমে ৯, ১২ ও ১৪ মে।



KKR, IPL 2023 : দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি, পাওয়ার প্লে-তেই পাঁচ উইকেট! কেকেআর জুটির রেকর্ড

KKR, IPL 2023: নীতীশ কি কয়েক ম্যাচের ক্যাপ্টেন, কী বললেন কেকেআর কোচ?
একইসঙ্গে জানা দিয়েছে, আইপিএলের শুরুতে সাকিব-লিটনদের খেলার অনুমতি দেওয়া হলেও, তাঁদের আবার আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরবর্তী তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজে খেলার জন্য জাতীয় দলে যোগ দিতে হবে। যদিও সাকিব অবশ্য পুরো আইপিএলেই খেলতে চাইছেন। এ ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়নি বিসিবি।

উল্লেখ্য, ১ এপ্রিল এ বারের আইপিএল যাত্রা শুরু করবে কেকেআর। প্রথম ম্যাচে নাইটদের প্রতিপক্ষ পঞ্জাব কিংস। আগামী কাল আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে যদি শেষ টি-২০ ম্যাচে খেলেন সাকিব-লিটন, তা হলে তাঁদের হয়তো প্রথম ম্যাচে পাবে না নাইটরা। সেক্ষেত্রে পরবর্তী ম্যাচগুলিতে এই দুই বাংলাদেশি ক্রিকেটারকে খেলানোর সুযোগ পাবে নাইটরা।

 
DA Protest: ডিএ মঞ্চে উপস্থিত এক আন্দোলনকারী বলেন, "দিদি যদি ১২ বছর চোর-ডাকাতদের সঙ্গে কাজ করে বিশ্বশ্রী নিয়ে আসেন আমি সেই চোর-ডাকাতদের দলেই। আমরা যোগ্যতা নিয়ে চাকরি করছি। উনি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কীভাবে রাজ কর্মচারিদের চোর-ডাকাত বলতে পারেন? কাদেরকে কী বলতে হয় জিভে আটকালো না?"

DA Protest: পথই পথ দেখাবে, পথ আপনারা ছাড়বেন না, ডিএ মঞ্চে বললেন শুভেন্দুশুভেন্দু অধিকারী মঞ্চে।
কলকাতা: বুধবার ধরনা মঞ্চ থেকে ডিএ (DA) আন্দোলনকারী তথা রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ‘চোর-ডাকাত’ বলে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যের পরই তাঁর তীব্র সমালোচনা করেন বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সকলেই একযোগে আক্রমণ করেন মমতাকে। এ দিকে, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরোধিতা করে বৃহস্পতিবার পথে নামবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন থেকে শুরু হবে মিছিল। প্রত্যেকে কালো ব্যাজ ধারণ করে প্রতিবাদ করবেন।


ডিএ মঞ্চে উপস্থিত এক আন্দোলনকারী বলেন, “দিদি যদি ১২ বছর চোর-ডাকাতদের সঙ্গে কাজ করে বিশ্বশ্রী নিয়ে আসেন আমি সেই চোর-ডাকাতদের দলেই। আমরা যোগ্যতা নিয়ে চাকরি করছি। উনি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কীভাবে রাজ কর্মচারিদের চোর-ডাকাত বলতে পারেন? কাদেরকে কী বলতে হয় জিভে আটকালো না?” ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারী বলেন, “আমাদের চোর-ডাকাত বলার যোগ্য জবাব পাবেন আজ। উনি আমাদের প্রতি অশালীন মন্তব্য করেছেন। ওনার রাজ্যের কর্মচারিরা চোর-ডাকাত হলে উনি তো পুলিশ মন্ত্রী। আমাদের গ্রেফতার করছেন না কেন? কারা চিরকূটে চাকরি পেয়েছে এক্ষুনি প্রকাশ করুন।” সরকারি আরও এক কর্মী বললেন, “উনি শিক্ষকদের, সরকারি কর্মীদের চোর-ডাকাত বলে আখ্যা দিয়েছেন। ভারতে তো এত মুখ্যমন্ত্রী আছে কেউ কখনও এমন মন্তব্য করে? আমাদের রুচিতে বাধছে এর উত্তর দিতে।”

মুখ্যমন্ত্রীর চোর-ডাকাত মন্তব্যের পর রীতমত ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে ধরনা মঞ্চ। প্রতিবাদে হাওড়া-শিয়ালদহ থেকে আজ মিছিলে নামবেন সরকারি কর্মীরা। এছাড়াও শহিদ মিনারে সমাবেশ হবে। এই সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি থেকে শুরু করে সিপিএম-এর অন্যান্য নেতৃত্ব আসবেন। প্রসঙ্গত, গতকাল ধরনা মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিএ আন্দোলনকারীদের আক্রমণ করে বলেন, “যে চোর ডাকাতগুলো চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল সব গিয়ে ডিএ-র ওখানে বসে রয়েছে। তাঁদের কাছে আমায় জ্ঞান শুনতে হবে? সব চোর-ডাকাত।”


সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, আমাদের আন্দোলন নিয়ে প্রচার করতে হবে।
পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে মামলা করবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তাদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয়বাহিনী দিয়ে ভোট না করালে আমরা ভোট করতে বাধ্য ন‌ই। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া এ রাজ্যের শিক্ষক-কর্মচারীরা ভোটের ডিউটিতে যাবে না।
‘চোর-ডাকাত’ মন্তব্যে ধিক্কার দিবসের ডাক সংগ্রামী যৌথমঞ্চের। ৬ এপ্রিল কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে তারা। এরপর ফের ধর্মঘটের ডাক।
শুভেন্দুর কথায়, এই সরকার দেউলিয়া। ৬ লক্ষ কোটি টাকার দেনা আছে। সরকার আপনাদের ডিএ আটকানোর জন্য আইনজীবীদের পিছনে খরচ করেছে। এই লড়াইয়ে বিকাশবাবুরা যেমন আছেন, তেমন আমরাও আছি। পথ‌ই পথ দেখাবে। পথ আপনারা ছাড়বেন না। আপনারা পরিবর্তনের অভিমুখ।”
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রেড রোডের আওয়াজ বেড়ে গিয়েছে। দিন শেষ হয়ে এসেছে। আপনাদের মেরুদণ্ড যে বিক্রি নেই তা প্রমাণ করে দিয়েছেন। আমার সামনে ক্যাবিনেটে ৬ লক্ষ স্থায়ী পদের অবলুপ্তি ঘটানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এ কাজ করেছেন। এস‌এসসি পাঁচটা জোনে ভাগ ছিল। সেটাকে কালীঘাট কেন্দ্রিক ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
অশোক লাহিড়ি বলেন, এটা ঘোষণার সরকার। “মুখ্যমন্ত্রী যে বলছেন আমরা সবাই চোর। আমি সরকারি স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। দেখলাম সিভিক দিয়ে স্কুলে পড়াবেন। এবার দেখব পিজি হাসপাতালে সিভিক ডাক্তার।”
বাম নেতারা মঞ্চ ছাড়ার পর মঞ্চে আসেন শুভেন্দু অধিকারী, অশোক লাহিড়িরা।
মহম্মদ সেলিম বলেন, রেড রোডে যে তামাশা চলছে তার প্রতি ধিক্কার জানাতে এসেছি।
জয়ললিতা এরকম একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। জয়ললিতা নেই। সরকারি কর্মচারীরা আছেন। এটাই ইতিহাস, বলেন বিকাশরঞ্জন।
তদন্তকে বিভ্রান্ত করতে পরিকল্পিতভাবে বিচারপতি, আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কুৎসা করা হচ্ছে, বলেন বিকাশরঞ্জন। তিনি বলেন, ‘দেখব সরকারের কত ক্ষমতা’।
ডিএ আন্দোলনকে কৃষক আন্দোলনের মতো তীব্র করার আহ্বান বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আমার চোর-ডাকাতদের বলব সংগঠিত হন। বোঝান ঘেউ ঘেউ করা সরকারি কর্মচারীরা দাবি আদায়ে প্রয়োজনে কামড়ে দিতে পারে।’
দু’টো মিছিল একইসময়ে ধর্মতলায় চলে আসায় কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।
হাওড়া এবং শিয়ালদহ দুই জায়গা থেকে আসা সরকারি চাকুরীজীবীদের মহামিছিল বেলা দেড়টা নাগাদ ডরিনা ক্রসিংয়ে পৌঁছয়। একইসঙ্গে এসে পড়ে দু’টি মিছিল। এরপরই শিয়ালদহের দিকের মিছিলের আন্দোলনকারীরা রাস্তায় বসে পড়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন।
শিয়ালদহ ও হাওড়ায় শুরু সরকারিদের জমায়েত।
ওড়াতেও বিপুল জমায়েত হয়েছেন। যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “পাগলের কথায় উত্তর দিতে চাই না। ওনার মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন।”
শিয়ালদহে উপস্থিত এক আন্দোলনকারী বলেন, “আমাদের মতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পথে নেমে আন্দোলন করছেন। উনি যে ভাষায় আমাদের আক্রমণ করেছেন আমরা বলতে পারি যাঁরা যে মতাদর্শে বিশ্বাসী তাঁরা সেই ভাষায় কথা বলবেন।”
বিভিন্ন জেলা থেকে প্রচুর সরকারি কর্মচারি এসে উপস্থিত হয়েছেন শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে

উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি পৌরসভার ষষ্ঠীতলা এলাকার ঘটনা। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর নাম রিন্টু। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি মদন মিত্র ঘনিষ্ঠ।

Bomb Recover: মদন মিত্র ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বোমাবোমা উদ্ধার (নিজস্ব চিত্র)
কামারহাটি: মদন মিত্র ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার তাজা বোমা। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তৃণমূল কর্মীর নির্মীয়মাণ আবাসন থেকে বোমাগুলি উদ্ধার করেছে কামারহাটি থানার পুলিশ। এ দিকে, বোমা উদ্ধারের ঘটনায় জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর দাবি তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে।


উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি পৌরসভার ষষ্ঠীতলা এলাকার ঘটনা। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর নাম রিন্টু। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি মদন মিত্র ঘনিষ্ঠ। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। তাঁরা ওই আবাসন থেকে তাজা বোমাগুলি উদ্ধার করে। এলাকার স্থানীয় কাউন্সিলর এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতা কমল দাস বলেন, “বোমা যথন উদ্ধার হয়েছে পুলিশ নিশ্চিত ভাবে তার কাজ করবে। আর মদন মিত্র আমাদের তৃণমূলের বলিষ্ঠ নেত্রিত্ব। বহুদিন ধরে তিনি রাজনীতি করছেন। আর তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতারা যেখানেই যান সেখানে তাঁর পিছন-পিছন অনেকেই ঘোরেন। এর অর্থ এই নয়, যার বাড়িতে বোমা পাওয়া গিয়েছে তিনি মদন মিত্রর সঙ্গে ঘোরেন বলে তাঁর মদতে এই কাজ করবেন। তবে যেই করুক না কেন, উপযুক্ত শাস্তি অবশ্যই পাবেন।”

মদন মিত্র ঘনিষ্ঠ দুষ্কৃতীর ফ্ল্যাট থেকে তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। আমরা গত কয়েকদিন ধরে খবর পাচ্ছিলাম এলাকায় দুষ্কৃতীদের কার্যকলাপ বাড়ছিল। এই দুষ্কৃতীদের নিয়েই মদন মিত্র কামারহাটিতে ঘুরে বেড়ান। সারা রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতা মন্ত্রীরা দুষ্কৃতীদের মদত দিচ্ছে।


অপরদিকে, এই বিষয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী রিন্টু জানিয়েছেন তাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।তবে রিন্টু ক্যামেরার সামনে আসতে নারাজ।

বুধবার থেকে আজ, দু'দিনের ধরনায় রেড রোডে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধরনায় বসেছেন তিনি।

Abhishek Banerjee: হঠাৎ মমতার ধরনা মঞ্চে অভিষেক, বসলেন পিসির পায়ের কাছে, উপস্থিতি কি পূর্ব নির্ধারিত?ধরনা মঞ্চে মমতা-অভিষেক (নিজস্ব চিত্র)
কলকাতা: রেড রোডে তখন ধরনায় বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অরূপ বিশ্বাস ও ফিরহাদ হাকিম। আচমকাই বিকেল নাগাদ ধরনা মঞ্চে হাজির হন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোজা চলে যান ধরনা মঞ্চে। সেখানে গিয়ে মঞ্চের মেঝেতে বসেন তিনি। তাহলে কি ধরা মঞ্চে অভিষেকের উপস্থিতি পূর্ব নির্ধারিত ছিল?


বুধবার থেকে আজ, দু’দিনের ধরনায় রেড রোডে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধরনায় বসেছেন তিনি। গতকাল আবার তৃণমূল ছাত্র-যুবদের নিয়ে শহিদ মিনারে সভা ছিল অভিষেকের। তবে, সেই সভা শেষের পর আদৌ অভিষেক ধরনা মঞ্চে যাবেন কি না তা নিয়ে জল্পনা ক্রমেই বাড়ছিল।

তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রেড রোডের ধরনা মঞ্চে আসার জন্য আগেই বার্তা গিয়েছিল অভিষেকের কাছে। শহিদ মিনারের সভায় বক্তৃতা শেষ করার প্রায় ঘণ্টা দেড়েক পর হঠাৎই রেড রোডের ধরনা মঞ্চে হাজির হন তৃণমূল নেতা। অথচ বিকেল চারটে নাগাদ শহিদ মিনারের মঞ্চে তাঁর বক্তৃতা শেষ হয়ে যায়। সেখান থেকে সরাসরি রেড রোডের মঞ্চে আসতেই পারতেন। কিন্তু নিজের মঞ্চ থেকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে না এসে, পরে সেখানে হাজির হন তিনি।

সূত্রের খবর, শহিদ মিনারের সভার কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার খানিক পরেই ময়দান চত্বর ছেড়ে চলে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেক পরে রেড রোড এর ধরনা মঞ্চে তিনি আসেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর বাম দিকে মঞ্চের মেঝেতে বসে পড়েন তিনি। এদিন ধরনা শুরু হওয়া ইস্তক মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের কাছে দুপাশে বসে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম এবং অরূপ বিশ্বাস।

হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে দু'টি মিছিলের কথা আগেই ঘোষণা করেছিল সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পর তার মেজাজ আরও চড়া।

DA Protest: 'চোর ডাকাত' মন্তব্যের প্রতিবাদে কাল রাজ্যজুড়ে ধিক্কার মিছিল, ৬ এপ্রিল কর্মবিরতির ডাক আন্দোলনকারীদেরধরনায় দেখা গেল এমন পোস্টারও।
কলকাতা: বৃহস্পতিবার ডিএ (DA Protest) আন্দোলনকারীদের মহাসমাবেশ যেন আর কিছুটা অক্সিজেন জোগাল সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলিকে। বুধবার ধরনামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “যে চোর ডাকাতগুলো চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল সব গিয়ে ডিএ-র ওখানে বসে আছে। তাদের কাছে আমায় জ্ঞান শুনতে হবে। চোরেরা, ডাকাতরা, জ্ঞানদাতারা।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরই সংগ্রামী যৌথমঞ্চের তরফে মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। সেই সমাবেশে বৃহস্পতিবার গিয়ে একে একে হাজির হন সিপিএমের বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, মহম্মদ সেলিমরা। যান বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীরাও। বিরোধী দলগুলির দাপুটে মুখ সমাবেশে হাজির হতে আন্দোলনকারীরা যেন আরও ‘শক্তিমান’। ফের কর্মবিরতির ডাক দিল সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। ৬ এপ্রিল কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে তারা। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ‘চোর-ডাকাত’ মন্তব্যকে সামনে রেখে শুক্রবার ধিক্কার মিছিল করবে তারা।


সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “শুক্রবার রাজ্যজুড়ে ধিক্কার মিছিল হবে। আমাদের চোর ডাকাত এবং ডাকাত সর্দার বলার প্রতিবাদে এই মিছিল হবে সারা রাজ্যে। আগামী ৬ তারিখ এই রাজ্যের কর্মচারীরা ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন। শুধুমাত্র এই কারণের জন্য। ১০ তারিখ ও ১১ তারিখ আমাদের দিল্লিতে যন্তরমন্তরে ধরনা কর্মসূচি আছে। ১০ তারিখের পর আমরা মিছিল করব। কালীঘাট থেকে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিট হয়ে শহিদ মিনারে আসবে। আগামিদিনে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটও ডাকা হবে।”

এদিন সরকারি কর্মচারীরা মহামিছিল করেন। সেই মিছিল থেকে চোর, চোর স্লোগান ওঠে। হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে দু’টি মিছিলের কথা আগেই ঘোষণা করেছিল সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পর তার মেজাজ আরও চড়া। দুই মিছিলই এসে মিলে যায় শহিদ মিনারে। বুধবার যেখানে সভা করেছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।



গোটা সিজন থেকেই ছিটকে গেলেন চেন্নাই সুপার কিংসের তারকা পেসার। আইপিএলে প্রথম ম্যাচে নামার আগে সিএসকে শিবিরে দুঃসংবাদ

CSK, IPL 2023: ধোনির কপালে বড় ভাঁজ, আইপিএল থেকে ছিটকে গেলেন সিএসকে ক্রিকেটার!
Image Credit Source: Twitter
কলকাতা: গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে শুক্রবার ১৬তম আইপিএলের (IPL 2023) উদ্বোধনী ম্যাচ। তার আগে দুঃসংবাদ সিএসকে শিবিরে। গোটা মরসুম থেকেই ছিটকে গেলেন চেন্নাই সুপার কিংসের তারকা পেসার। এমনিতেই চোটের কারণে কাইল জেমিসনকে পাচ্ছে না চেন্নাই (CSK)। চার বারের চ্যাম্পিয়নদের চিন্তা রয়েছে ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়েও। অনুশীলনে ধোনিকে সামান্য খোঁড়াতে দেখা গিয়েছে। চোটের আতঙ্ক গ্রাস করা দলটি আরও এক খারাপ খবর পেল আইপিএল শুরুর ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে। চোট পেয়েছিলেন দলের জোরে বোলার মুকেশ চৌধুরী (Mukesh Chaudhary)। ২০২৩ আইপিএলে তাঁকে নিয়ে শঙ্কায় ছিল চেন্নাই শিবির। আশঙ্কাই সত্যি হল। ক্রিকবাজের রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা সিজনেই মুকেশকে পাচ্ছে না সিএসকে। গত মরসুমে হলুদ জার্সি গায়ে অনবদ্য পারফর্ম্যান্স দেখা গিয়েছিল মুকেশের। দল ব্যর্থ হলেও হিট ছিলেন মুকেশ। তাই মুকেশকে না পাওয়া ধোনির আর্মির জন্য বড় ধাক্কা। বিস্তারিত 


বাঁ হাতি বোলার মুকেশ চৌধুরীকে আইপিএলের মেগা নিলামে ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে দলে নিয়েছিল সিএসকে। আইপিএলের ১৫তম মরসুমে সিএসকের হয়ে দারুণ পারফর্ম করেন মুকেশ। ১৩টি ম্যাচে ১৬টি উইকেট নেন তিনি। মুকেশ ধারাবাহিক পারফর্ম করলেও ১৫তম আইপিএল সিএসকের জন্য মোটেও সুখের ছিল না। দল প্লে অফে পৌঁছতেই পারেনি। গতবছর বিজয় হাজারে ট্রফিতে চোট পেয়েছিলেন মুকেশ। ফাইনালের ম্যাচের পর আর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে পারেননি। চোট তাঁকে আইপিএল থেকেও ছিটকে দিল।

২০২৩ আইপিএল শুরুর আগে সিএসকে দ্বিতীয় বার ধাক্কা খেল ক্রিকেটারদের চোটের কারণে। নিউজিল্যান্ডের পেসার কাইল জেমিসন আগেই চোট পেয়ে পুরো মরসুম থেকে ছিটকে গিয়েছেন। জেমিসনের পরিবর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার জোরে বোলার সিসান্ডা মগালাকে দলে নিয়েছে সিএসকে।


সিএসকে স্কোয়াড: মহেন্দ্র সিং ধোনি (ক্যাপ্টেন), ডেভন কনওয়ে, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, অম্বাতি রায়াডু, মইন আলি, বেন স্টোকস, অজিঙ্ক রাহানে, সিসন্ডা মগালা, রবীন্দ্র জাডেজা, শিবম দুবে, ডেভন প্রিটোরিয়াস, অহয় মণ্ডল, নিশআন্ত সিন্ধু, রাজবর্ধন হ্যাঙ্গারকর, মিশেল স্যান্টনার, শুভ্রাংশু সেনাপতি, সিমরজিত সিং, মথিসা পথিরানা, মহেশ থিকশানা, ভগৎ বর্মা, প্রশান্ত সোলাঙ্কি, শেখ রশিদ ও তুষার দেশপাণ্ডে।

৫৩ বছর বয়সি এক ব্যক্তির শরীরে বার্ড ফ্লু-র ভাইরাস H3N8 ধরা পড়েছে।

Bird Flu: করোনার বাড়বাড়বন্তের মধ্যেই বাড়ছে আতঙ্ক, ফের মানবশরীরে বার্ড ফ্লু-র হদিশমানবদেহে বার্ড ফ্লু-র হদিশ।
সান্টিয়াগো: ফের মানবশরীরে হদিশ মিলল বার্ড ফ্লু (Bird Flu)-র। এবার চিলিতে (Chile) মাঝবয়সী এক ব্যক্তির দেহে বার্ড ফ্লু-র H3N8 প্রজাতির হদিশ মিলেছে। চিলির স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে খবরটি জানানো হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলেই চিলির স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে। এই প্রথম চিলিতে কোনও মানব শরীরে বার্ড ফ্লু-র হদিশ মিলল।


চিলি স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, চিলির নাগরিক ৫৩ বছর বয়সি এক ব্যক্তির শরীরে বার্ড ফ্লু-র ভাইরাস H3N8 ধরা পড়েছে। তাঁর গত কয়েকদিন ধরে ইনফ্লুয়েঞ্জার গুরুতর উপসর্গগুলি দেখা দিয়েছিল। তারপর নমুনা পরীক্ষা করাতেই হদিস মেলে বার্ড ফ্লু-র। বর্তমানে ওই ব্যক্তিকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা অন্যান্য ব্যক্তিরাও সংক্রমিত হয়েছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে চিলির স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চিলিতে গত বছরের শেষের দিকে বন্যপ্রাণীদের মধ্যে বার্ড ফ্লুর সংক্রমণ দেখা দেয়। এরপর পোল্ট্রি ফার্মের প্রাণীদের মধ্যে বার্ড ফ্লু দেখা দিলে চিলি সরকার সেগুলির রফতানি বন্ধ করে দেয়। সম্প্রতি আর্জেন্টিনা সহ লাতিন আমেরিকারা ১৪টি দেশে পোল্ট্রি শিল্পেও বার্ড ফ্লুর সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তবে পোল্ট্রি শিল্পের সবচেয়ে বড় রফতানিকারক দেশ ব্রাজিলে এখনও পর্যন্ত বার্ড ফ্লু সংক্রমণের খবর নেই।



১৪ এপ্রিল এনজেপি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত চালু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) এই ট্রেন যাত্রার সূচনা করবে বলে খবর।

Vande Bharat Express : কেন দাঁড়াবে না বন্দে ভারত? আলিপুরদুয়ারে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি তৃণমূলেরবন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
আলিপুরদুয়ার : শীঘ্রই চালু হচ্ছে এনজেপি-গুয়াহাটি (NJP-Guwahati) বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। পয়লা বৈশাখের আগেই, ১৪ এপ্রিল এনজেপি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত চালু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) এই ট্রেন যাত্রার সূচনা করবে বলে খবর। এবার তা নিয়ে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) তরজায় তৃণমূল-বিজেপি (Trinamool-BJP)। এই ট্রেনের নিউ আলিপুরদুয়ারে স্টপেজ না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক। তিনি বলেন, “শুনতে পাচ্ছি বন্দে ভারত চালু হচ্ছে। এটা অসমে যাবে। কিন্তু নিউ আলিপুরদুয়ারে এই ট্রেনের কোন স্টপেজ রাখা হয়নি। ট্রেনটি এখনও চালু হয়নি। কিন্তু তার আগে স্টপেজের চার্ট সোস্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। সেখানে নিউ আলিপুরদুয়ারের নাম নেই। আমরা এটা মানতে পারব না। এই নিয়ে আন্দোলন হবে।”


এদিন বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল, জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইকের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের ডিআরএম-এর সঙ্গে দেখা করে নিউ আলিপুরদুয়ারে বন্দে ভারতের স্টপেজের দাবি করেছেন। যদি স্টপেজ না দেওয়া তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারিও দিয়েছে আলিপুরদুয়ারের জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে এই ট্রেনের স্টপেজকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়ে পোস্ট করছে জেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিও। 



Weather Update : নিম্নচাপের প্রভাবে চলতি সপ্তাহের শেষে শীতের আকাশে ঘনাবে মেঘ, বৃষ্টি কি হবে?
আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক আরও বলেন, “বন্দেভারত ট্রেনের স্টপেজ আলিপুরদুয়ারে নেই। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস খুব শীঘ্রই এই ট্রেনের স্টপেজ নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবে।” একইসঙ্গে বিজেপি সাংসদ জন বার্লার উদ্দেশেও তোপ দেগেছেন। তিনি বলেন, জন বার্লা এই ট্রেনের স্টপেজ নিয়ে কোনও ভূমিকা গ্রহণ করেননি। তিনি সাংসদ হওয়ার পর আলিপুরদুয়ারের সাধারণ মানুষের জন্য তিনি কোনও কাজই করে দেখতে পারেননি।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে বন্দেভারতের স্টপেজ নিয়ে তৃণমূলের এই আন্দোলন রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলবে আলিপুরদুয়ারের গেরুয়া শিবিরকে। এখন দেখার এ নিয়ে রেল নতুন কোনও সিদ্ধান্ত নেয় কিনা। 

ধরনা মঞ্চ থেকে ফের একবার রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শুধু তাই নয়, তাঁর মুখে ফের শোনা গেল বিরোধী ঐক্যের বার্তাও।


Mamata Banerjee: 'চলো দিল্লি', বিরোধী দল-নাগরিক সমাজ-ধর্মগুরু সকলকে জোট বাঁধার বার্তা মমতারধরনা মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা: ধরনা মঞ্চ থেকে ফের একবার রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শুধু তাই নয়, তাঁর মুখে ফের শোনা গেল বিরোধী ঐক্যের বার্তাও। তাঁর অভিযোগ, বিরোধী দলগুলিকে বিজেপি ‘ফেলনা’ বলে মনে করে। গুরুত্ব দেয় না। তিনি জানান, বিজেপি শুধু এজেন্সির ভয় দেখায়। ইডি-সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভয় দেখায়। তিনি আরও বলেন, মহম্মদ বিন তুঘলেকর মতো আচরণ করছে বিজেপি সরকার। একবারও রাহুল গান্ধীর নাম নেননি মমতা। তবে, তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়েই তিনি সাফ বুঝিয়ে দিয়েছেন রাহুল গান্ধীর পাশে আছেন তিনি।


মমতা বলেন, “বিদেশে যখন আমি গিয়েছি, তখন বাংলায় গণহত্যা করা হয়েছে বলে ৫টা লোককে টাকা দিয়ে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। কই সেটা করলে দোষ হয় না, আর বিদেশে গিয়ে কেউ যদি বলে, আমরা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারি না, তাহলে তার জন্য শাস্তি হয়ে যায়!তার মানে কি, আমরা সব ফেলনা? আর ওনারা সব দোলনা? রাজ বাহিনী? আমি অটলজিকেও দেখেছি। এই রকম অ্যাটিটিউড আমি কখনও দেখিনি।”

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই ইংল্যান্ডের কেমব্রিজে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ‘ভারতীয় গণতন্ত্র বিপন্ন’ বলে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, “ভারতীয় গণতন্ত্র তীব্র চাপের মধ্যে রয়েছে, গণতন্ত্র আক্রান্ত। গণতন্ত্রের জন্য যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলি প্রয়োজন… সংসদ, মুক্ত সংবাদমাধ্যম, বিচার বিভাগ – সবগুলিরই অধিকার সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। আমাদের গণতন্ত্রের মৌলিক কাঠামোর উপর আক্রমণ নেমে আসছে।” এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রাহুলের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিদেশে ভারতীয় গণতন্ত্রকে অপমান করেছেন তিনি, এমন অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির।


তবে শুধু রাহুলের পাশে দাঁড়ানোই নয়, ধরনা মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোট বার্তাও দিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস নয়, বরং তাঁর মুখে এদিন বারংবার শোনা গিয়েছে ‘অপোজিশন’ বা সার্বিকভাবে বিরোধী দলগুলির কথা। মমতা বলেন, ধরনা শুরুর আগে তিনি বহুবার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বাংলার প্রাপ্য নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “আমি নিজে বাংলার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৪-৫বার দেখা করেছিল। বাংলায় হোম মিনিস্টার মিটিং করতে এসেছিলেন, তাঁর সঙ্গেও কথা বলেছি। কবার যাব? ওরা কি ভাবে আমরা বন্ডেড লেবার? নাকি অপোজিশন মানে সব চাকর-বাকর? প্লিজ বিজেপি নেতারা শুনে নিন, আমরা তোমাদের ক্রীতদাস নই, চাকরও নই।”

এদিন ফের সব বিরোধী দলগুলিকে জোট বাঁধার বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। নাগরিক সমাজকেও বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বাঁধার আবেদন জানয়েছেন তিনি। মমতা বলেন, “সংবিধান হল আমার আইন। আমাদের গণতান্ত্রিক দেশে জনতাই শেষ কথা বলবে। আপনারা নয়। আমি সব বিরোধী দলকে বলছি, নাগরিক সমাজ, ধর্মগুরুরা সবাই এক হয়ে চলুন। সবাই মিলে জোট বাঁধুন। মানুষ অধিকার ফেরত না পেলে, দিল্লি চলো। নেতাজি, গান্ধীজি, মণীষীদের ছবি হাতে নিয়ে আমরাও দিল্লি যেতে পারি। চলো দিল্লি।”

জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম. কে স্ট্যালিন।


Dahi: দইয়ের প্যাকেটে লিখতে হবে 'দহি', কেন্দ্রের নির্দেশিকায় ক্ষোভ দক্ষিণী-রাজ্যেদইয়ের প্যাকেটে নাম বদলের নির্দেশিকা।
চেন্নাই: দইয়ের প্যাকেটে আর স্থানীয় ভাষা ব্যবহার নয়, হিন্দিতে ব্যবহৃত ‘দহি’ (Dahi) লিখতে হবে। সম্প্রতি এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় খাদ্য সুরক্ষা সংস্থা, ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’ (FSSAI)। আর এর তীব্র প্রতিবাদে সরব হয়েছে দক্ষিণী-রাজ্য তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) ও কর্নাটক (Karnataka)। জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম. কে স্ট্যালিন (M.K Stalin)।


তামিল ভাষায় দই-কে বলে ‘তাহির’। ফলে তামিলনাড়ুতে দইয়ের প্যাকেটে স্থানীয় ভাষায় ‘তাহির’ লেখা থাকে। ইংরেজিতে ‘কার্ড’। কিন্তু, এটা আর চলবে না, ‘কার্ড’ ও ‘তাহির’-এর বদলে হিন্দি ভাষা ‘দহি’ লিখতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’ (FSSAI)। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম. কে স্ট্যালিন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরব হয়েছে তামিলনাড়ুর দুগ্ধ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিও। তাদের কথায়, ‘নেহি দহি’।

কেবল তামিলনাড়ু নয়, সরব হয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য কর্নাটকের দুগ্ধ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিও। ইতিমধ্যে দুই রাজ্যের দুগ্ধ উৎপাদনকারীরা FSSAI-তে চিঠি লিখেছেন। হিন্দি নয়, দইয়ের প্যাকেটে রাজ্যে বহুল প্রচলিত আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহারের দাবি তুলেছেন তাঁরা। গ্রাহকদের অধিকাংশই আঞ্চলিক ভাষা পছন্দ করেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তাঁরা।



CM Mamata Banerjee: ‘দল যাকে দায়িত্ব দিয়েছিল, সেই লোক পাঠাচ্ছে’, জাকিরের বাড়িতে আয়কর হানা নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মমতার
অন্যদিকে, জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে অভিযোগ তুলে টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম. কে স্ট্যালিন। টুইটারে কড়া বার্তা দিয়ে তিনি লিখেছেন, “হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অবাঞ্ছিত চেষ্টা চলছে। আমাদের রাজ্যে তামিল এবং কন্নড় ভাষা ছেড়ে দিয়ে হিন্দিতে দইয়ের প্যাকেটকেও লেবেল করার নির্দেশ দিয়েছে। আমাদের মাতৃভাষার প্রতি এমন নির্লজ্জ অবহেলা করবে যে, তাকে নিশ্চিতভাবেই দক্ষিণ থেকে চিরতরে নির্বাসিত করা হবে।”
DA: আন্দোলনকারীদের মহাসমাবেশে দেখা যায় সেলিম, সুজন, বিকাশ ভট্টাচার্য, কৌস্তভ বাগচী থেকে শুভেন্দু অধিকারী, অশোক লাহিড়িদের।

DA: 'বিকাশবাবুরা যেমন আছেন, তেমন আমরাও আছি', ডিএ মঞ্চ থেকে বার্তা বিরোধী দলনেতার
কলকাতা: ডিএ (DA) আন্দোলনকারীরা নিজেদের মতো করেই আন্দোলন করছিলেন। কর্মবিরতি, ধর্মঘট ডেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছিল সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। কিন্তু বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘চোর-ডাকাত’ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বাম-কংগ্রেস-বিজেপি একজোট হয়ে ময়দানে। আন্দোলনকারীদের মহাসমাবেশে দেখা যায় সেলিম, সুজন, বিকাশ ভট্টাচার্য, কৌস্তভ বাগচী থেকে শুভেন্দু অধিকারী, অশোক লাহিড়িদের। অন্যদিকে এদিন ডিএ মঞ্চ থেকে আগামী সপ্তাহে ফের কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। ৬ এপ্রিল ফের ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি। সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “ওনার ভুলভাল কথা শোনার জন্য রাজ্যের কর্মচারী শিক্ষকরা আর প্রস্তুত নন। যেদিন মিউ মিউ ঘেউ ঘেউ করবেন না বলেছিলেন, সেদিন থেকে যদি আমরা কর্মবিরতি পালন করতাম, এতটা আমাদের দেখতে হতো না। তবে আমরা এখন জেগেছি। উনি একটা কথা বললে, পাঁচটা কথা শোনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।” শনিবার রাজ্যজুড়ে ধিক্কার মিছিল হবে বলেও জানান তিনি।


এদিন ডিএ মঞ্চে গিয়ে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন এই আন্দোলনকারীরা হয় চোর ডাকাত, নাহলে চিরকুটে চাকরি পাওয়া। বাংলার সরকারি কর্মীরা, তাঁরা ঘেউ ঘেউ শুধু করেন না, প্রয়োজনে কামড়ে দিতে জানেন।”

এই ডিএ আন্দোলন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “বিজেপি আর সিপিএমের লোক কোঅর্ডিনেশন কমিটির সঙ্গে মিলে আছে। তারাই তো কাগজগুলো সরায়। আর তাদের আমলে আপনি একটা কাগজ খুঁজে পাবেন না। আমি সব ডিপার্টমেন্টকে নির্দেশ দিয়েছি, সব ফাইল খুঁজে বের করুন।” একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বুধবার ধরনামঞ্চ থেকে বলেছিলেন, “যে চোর ডাকাতগুলো চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল সব গিয়ে ডিএ-র ওখানে বসে আছে। তাদের কাছে আমায় জ্ঞান শুনতে হবে। চোরেরা, ডাকাতরা, জ্ঞানদাতারা।”



DA Protest: পথই পথ দেখাবে, পথ আপনারা ছাড়বেন না, ডিএ মঞ্চে বললেন শুভেন্দু
এ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, “এই সরকার দেউলিয়া। ৬ লক্ষ কোটি টাকার দেনা আছে। সরকার আপনাদের ডিএ আটকানোর জন্য আইনজীবীদের পিছনে খরচ করেছে। এই লড়াইয়ে বিকাশবাবুরা যেমন আছেন, তেমন আমরাও আছি। কথা এক, লক্ষ্য এক, উদ্দেশ্য হক, হকের অধিকার ছিনিয়ে নিতে হবে। পথ‌ই পথ দেখাবে। পথ আপনারা ছাড়বেন না। আপনারা পরিবর্তনের অভিমুখ।” কর্মচারী সমাবেশে ডিএ

বিজেপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের 'ম্যাচ ফিক্সিং' অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। এবার তার জবাব দিলেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার রাজীব কুমার।

Election Comimission: কংগ্রেসের 'ম্যাচ ফিক্সিং' অভিযোগ বাউন্ডারির বাইরে ফেলে পাল্টা জবাব মুখ্য নির্বাচন কমিশনারেরগুয়াহাটিতে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার।
গুয়াহাটি: বিজেপির সঙ্গে আঁতাত করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Comimission)। অসমের (Assam) বিধানসভা ও সংসদীয় নির্বাচনী এলাকার সীমা নির্ধারণ (Delimitation) নিয়ে এমনই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের ডাকা বৈঠক বয়কট করেছে কংগ্রেস। এবার কংগ্রেসের অভিযোগের পাল্টা জবাব দিল নির্বাচন কমিশন।


বিজেপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ অভিযোগের জবাব দিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেই বৈঠক থেকে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন কারও আদেশ শোনে না। কমিশন হিসাবে, আমাদের প্রক্রিয়া দুটি ভিত্তির উপর নির্ভর করে- উন্মোচন এবং অংশগ্রহণ।” রাজ্যের প্রতিটি সম্প্রদায়কে ন্যায্যভাবে বিবেচনা করা, আইনি কাঠামোর মধ্য দিয়ে সাম্যতার নীতিগুলি মেনে নির্বাচন কমিশন চলে বলেও এদিন আশ্বস্ত করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, অসম কংগ্রেসের প্রধান ভূপেন বোরাহ বলেছিলেন যে, তাঁরা দিল্লিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। সেখানে তাঁরা অসম নির্বাচনী এলাকার সীমা পুনর্নির্মাণের বিষয়ে বেশ কিছু সন্দেহ উত্থাপন করেছেন। কিন্তু, নির্বাচনী সংস্থা সে বিষয়ে এখনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তিনি বলেন, “আমরা ইসি-র সঙ্গে দেখা করতে এবং আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে প্রথমে আমাদের প্রশ্নের উত্তর পেতে হবে।” তারপর সোমবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক বয়কট করে অসমের বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস বিধায়ক দেবব্রত সাইকিয়া আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, “নির্বাচন কমিশন মাত্র ১০-১৫ মিনিট সময় দিয়েছে এবং আমাদের মনে হয় তাদের সঙ্গে এরকম বৈঠক করার দরকার নেই।”



Covid-19: ‘গৃহবন্দি’ জীবন ফিরে আসার আশঙ্কা, আগামী তিনমাসে শীর্ষে পৌঁছতে পারে করোনা সংক্রমণ
এদিন কংগ্রেস বিধায়কের এই অভিযোগ অস্বীকার করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানান, তাঁরা সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গেই পরামর্শ করতে চান। জানুয়ারিতে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে অন্য কোনও দলের আগে দেখা করার জন্য সময় দিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ১৪ বছর আগে ১৯৭৬ সালে শেষবার অসমের নির্বাচনী এলাকার সীমা নির্ধারণ হয়েছিল। এবার পুনরায় সীমা নির্দেশ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই গোটা বিষয়টি সরেজমিনে দেখতে সোমবার তিনদিনের সফরে গুয়াহাটি গিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার রাজীব কুমার। অসমের সীমা নির্ধারণের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের পাশাপাশি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গেও পরামর্শ করতে চান তিনি। এছাড়া অসমের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মোট ৬০টি সিভিল সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তিনি আলোচনা করবেন বলে রাজীব কুমার জানিয়েছেন।

গত বছরের ২৭ জুলাই বেঙ্গালুরুর ভারথুর থানার পুলিশ কায়েন খাঁর ডেরায় হানা দেয়। সেখানে যাঁরা যাঁরা বাংলাভাষী ছিল তারা সবাই নাকি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, এমন সন্দেহে ভারথুর থানার পুলিশ পলাশের পরিবার-সহ আরও পাঁচ জনকে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে যায়।

Purba Bardhaman: বেঙ্গালুরুর জেলে বন্দি ছেলে-বউমা-নাতি, বাংলায় ফিরল বৃদ্ধের নিথর দেহ
জামালপুর : শ্রমিকের কাজ করতে বেঙ্গালুরু গিয়ে পড়েছিলেন বিপাকে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী (Bangladeshi Infiltrators) সন্দেহে ছেলে,বৌমা ও নাতিকে জেলে বন্দি করেছিল সে রাজ্যের পুলিশ। জেল থেকে তাঁদের মুক্ত করে করে বাংলার বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য আট মাস ধরে অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বাবা পঙ্কজ অধিকারী। আইনি লড়াই চালাতে গিয়ে হয়েছিলেন নিঃস্ব। শেষ পর্যন্ত আর নিতে পারেননি মানসিক চাপ। বেঙ্গালুরুতে গুরুতর অসুস্থও হয়ে পড়েন। ছেলে,বৌমা ও প্রিয় নাতিকে বেঙ্গালুরুর জেলে ফেলে রেখেই পঙ্কজ বাবু মঙ্গলবার বাংলায় নিজের বাড়িতে ফিরলেন ঠিকই। কিন্তু, জীবিত নয়, ফিরল তাঁর নিথর দেহ। 


এখনও বেঙ্গালুরুর জেলে বন্দি রয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের পলাশ অধিকারী ও শুক্লা অধিকারী। জেলার জামালপুর থানার জৌগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তেলে গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা তাঁরা।সেখানে রয়েছে তাঁদের টিনের চালার দু’কুঠুরি ভাঙাচোরা বাড়ি। কাজের খোঁজেই পলাশ স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে গত বছরের জুন মাসে গিয়েছিলেন বেঙ্গালুরু। সঙ্গে যান বাবা পঙ্কজ অধিকারী এবং মা সবিতাদেবীও। দৈনিক ৩০০-৪০০ টাকা মজুরির বিনিময়ে বেঙ্গালুরুর কায়েন খানের অধীনে কাজ করা শুরু করেন তাঁরা। হোটেল, সিনেমা হল সহ বিভিন্ন জয়গা থেকে বোতল, প্লাস্টিক সরঞ্জাম এইসব বাছাই করাই ছিল তাঁদের প্রধান কাজ। এভাবেই কাটছিল দিন। কিন্তু, কিছুদিন সেখানে তাঁদের পরিণতি হয় ভয়ঙ্কর। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে তাঁদের জেলবন্দি করে পুলিশ।

গত বছরের ২৭ জুলাই বেঙ্গালুরুর ভারথুর থানার পুলিশ কায়েন খাঁর ডেরায় হানা দেয়। সেখানে যাঁরা যাঁরা বাংলাভাষী ছিল তারা সবাই নাকি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, এমন সন্দেহে ভারথুর থানার পুলিশ পলাশের পরিবার-সহ আরও পাঁচ জনকে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে যায়। ছেলে, বউমা ও নাতিকে ছাড়তে ছুটে যান বাবা পঙ্কজ অধিকারী। সঙ্গে যান তাঁর স্ত্রী সবিতাদেবীও। ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি করেন। জানান তাঁদের আসল পরিচয়। চলতে থাকে আইনি লড়াই।



Weather Update : নিম্নচাপের প্রভাবে চলতি সপ্তাহের শেষে শীতের আকাশে ঘনাবে মেঘ, বৃষ্টি কি হবে?
এরপর কিছুদিন আগে ভারথুর থানার পুলিশের তিন জন আধিকারিক জামালপুরে আসে। পলাশ অধিকারী ও তাঁর স্ত্রী প্রকৃতই ভারতীয় নাগরিক কিনা এবং তাদের ভোটার ও আধার কার্ডটি সঠিক কিনা সেইসব বিষয়ে বেঙ্গালুরু পুলিশ জামালপুরের বিডিওর কাছে জানতেও চান। এছাড়াও পলাশদের পারিবারিক পরিচিতি, কতদিন তাঁরা তেলে গ্রামে বসবাস করছেন সহ নানা বিষয়ে খোঁজখবর নেন।

দম্পতির ভারতীয় নাগরিকত্ত্ব সংক্রান্ত সব তথ্য ভারথুর থানার মেইল আইডিতেও চলে যায়। তবে ভারথুর থানার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা শুধু জামালপুরের বিডিও অফিস ও থানায় তথ্য যাচাই করে ফিরে যান, এমনটা নয়। বেশ কয়েকদিন ধরে ওই পুলিশ আধিকারিকদের দল জামালপুরের দলিল রেজিস্ট্রি অফিস, ভূমি দফতরের অফিস, জৌগ্রাম পঞ্চায়েত এমনকি বর্ধমান দক্ষিন মহকুমা শাসকের অফিসে গিয়েও ওই দম্পতির নাগরিকত্ত্ব সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য যাচাই করে নিয়ে যান। পলাশ অধিকারীর আত্মীয় পিন্টু হাওলাদারের দাবি, এত সব কিছু মধ্যেও ছাড়া হয়নি পলাশদের। তাতেই আর মানসিক চাপ নিতে পারেননি বৃদ্ধ পঙ্কজ অধিকারী। অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত হল এই পরিণতি। 



প্রসঙ্গত, আসানসোলে কম্বলদান অনুষ্ঠানে পদপিষ্টের ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। অভিযোগ দায়ের হয়েছিল জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও চৈতালি তিওয়ারিদের বিরুদ্ধে।

Jitendra Tewari : বুকে ব্যথা নিয়ে জেল থেকে সোজা হাসপাতালে জিতেন্দ্র তিওয়ারি, ভর্তি সিসিইউতেজিতেন্দ্র তিওয়ারি
আসানসোল : আসানসোল কম্বলকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন কিছুদিন আগেই। বর্তমানে রয়েছে পুলিশ হেফাজতে। ঠাঁই হয়েছে আসানসোল সংশোধনাগার। সেখানেই এদিন আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি (BJP Leader Jitendra Tewari)। এদিন সন্ধ্যায় পেটে ও বুকে ব্যথা নিয়ে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। বেশ কিছুক্ষণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর তাঁকে জেলা হাসপাতালের (Hospital) সিসিইউতে ভর্তি করা হয়।


গ্রেফতার হওয়ার পরে ৯ দিন পুলিশ হেফাজতের পরে মঙ্গলবার বিকেলে ১৪ দিনের জন্য আসানসোল জেলে গিয়েছিলেন আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর ঠিক ২৪ ঘণ্টা পরে বুধবার রাতে আসানসোল জেলা হাসপাতালের সিসিইউ বা ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হল তাঁকে। সূত্রের খবর, জেলে থাকা অবস্থায় সন্ধ্যা নাগাদ বুকে আচমকা ব্যথা অনুভব করেন তিনি। জেল কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়। জেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে, ঝুঁকি না নিয়ে জেল কর্তৃপক্ষ তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতো এদিন সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগে আনা হয়। প্রথমে তাঁকে দেখেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা। পরে তাঁকে পরীক্ষা করে দেখেন অন কল ফিজিশিয়ান। এরপর রাত আটটা নাগাদ চিকিৎসকের পরামর্শ মতো তাঁকে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন জিতেন্দ্র স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি ও মেয়ে পল্লবী তিওয়ারি।

প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে কম্বলদান অনুষ্ঠানে পদপিষ্টের ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। অভিযোগ দায়ের হয়েছিল জিতেন্দ্র তেওয়ারি ও চৈতালি তিওয়ারিদের বিরুদ্ধে। যদিও জল গড়িয়েছিল হাইকোর্টে। পরবর্তীতে সেখানে তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজও হয়ে যায়। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ চৈতালির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। তারপরই তাঁদের ধরতে বেড়েছিল পুলিশি তৎপরতা। গত ফেব্রুয়ারিতে জিতেন চৈতালি বাড়িতে দফায় দফায় হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু, তাঁদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় এর আগে মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ছয়জন শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়ে যান।



Weather Update : নিম্নচাপের প্রভাবে চলতি সপ্তাহের শেষে শীতের আকাশে ঘনাবে মেঘ, বৃষ্টি কি হবে?
অবশেষে কদিন আগে দিল্লির যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেফতার করে আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। নয়ডা থেকে স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারিকে নিয়ে আগ্রা যাচ্ছিলেন জিতেন্দ্র। সেই সময়েই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর এবং আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে।
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলায় ২০০৫ সালের জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইনের ২৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করেছে। তার জন্যই আটকে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ। কী এই জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইনের ২৭ নম্বর ধারা?

Rural Employment Guarantee Act: ধারা ২৭-এই আটকে গিয়েছে কেন্দ্রের বরাদ্দ, কোন বিধানে 'বঞ্চিত' বাংলা?প্রতীকী ছবি
নয়া দিল্লি: দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পাওয়া টাকা দেওয়া হচ্ছে না বলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই প্রাপ্য পাওনার দাবিতে বুধবারই দুদিনের ধরনায় বসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, বিভিন্ন প্রকল্পে সীমাহীন দুর্নীতির জন্যই বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেছেন, “বাংলায়, কেন্দ্রীয় সরকার ২০০৫ সালের জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইনের ২৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করেছে।” ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনা, শৌচাগার নির্মাণ, সড়ক যোজনার কোনও প্রকল্পেরই টাকা পাবে না রাজ্য সরকার। কী এই জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইনের ২৭ নম্বর ধারা? এই ধারা প্রয়োগ করে সত্যিই কি রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার? আসুন জেনে নেওয়া যাক –


কী এই ধারা ২৭?

২০০৫ সালে ইউপিএ সরকারের আমলে জারি করা হয়েছিল জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইন বা মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইন। এই আইনের লক্ষ্য, দেশের গ্রামীণ এলাকায় জীবিকার নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং তার মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যদের এক আর্থিক বছরে অন্তত একশো দিনের মজুরি প্রাপ্তি নিশ্চিত করা। এই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে এই আইনের ২৭ নম্বর ধারায় কেন্দ্রীয় সরকারকে কিছু বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই ধারার দুটি ভাগ রয়েছে। প্রথম উপধারায় বলা হয়েছে, “কেন্দ্রীয় সরকার মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইনের বিধানগুলির কার্যকর প্রয়োগের জন্য রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারে।


দ্বিতীয় উপধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে কোনও প্রকল্পের ক্ষেত্রে প্রদত্ত তহবিলের অনুপযুক্ত ব্যবহার সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ পেলে কেন্দ্রের মনোনীত কোনও সংস্থাকে দিয়ে সেই অভিযোগের তদন্ত করতে হবে। তদন্তে যদি দেখা যায় অভিযোগটি সঠিক, সেই ক্ষেত্রে প্রয়োজনে কিছু সময়ের জন্য ওই প্রকল্পের তহবিল দেওয়া বন্ধ করার নির্দেশ দিতে পারবে কেন্দ্র এবং প্রকল্পটির যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এমন অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখবো না?

এর আগে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার সময়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আবাস যোজনার টাকা যারা পেয়েছে, তাদের প্রাসাদের মতো বাড়ি। এমন অভিযোগ এলে সেগুলি খতিয়ে দেখবো না?” নির্মলা সীতারামন আরও জানান, অনিয়মের পাশাপাশি, বাংলায় আবাস যোজনার নাম, লোগো – সবই বদলে দেওয়া হয়েছে। ব্র্যান্ডিং পাল্টে দেওয়া হয়েছে। ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের কাছ থেকে বাংলার বকেয়া অর্থ না পাওয়ার দায়, রাজ্য সরকারের কোর্টেই ঠেলেছিলেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ দলের রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে মনরেগা প্রকল্পের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনেক ঘাটতি রয়েছে। এই প্রকল্পে কত অর্থ খরচ করা যায়নি, কত অর্থ পাওনা আছে, সেই সব বিষয়ে বারবার রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্র। দীর্ঘদিন ধরে সেই রিপোর্ট পাঠায়নি রাজ্য। ২০২২ সালের নভেম্বরের শেষে এই হিসেব পাঠিয়েছে বাংলার সরকার। সেই হিসেব অনুযায়ী মনরেগা প্রকল্পে ৫,৪৭৩ কোটি টাকা বকেয়া আছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই সেই হিসেব খতিয়ে দেখে বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়া হবে।

মমতার দাবি বিরোধী জোটের নেতা কে হবে সেটা বড় কথা নয়। তিনি বলেন, “লড়াইটা শুধু দেশ বাঁচানোর লড়াই। বিজেপি বনাম জনতার লড়াই হবে। দেশের সমস্ত নাগরিকই এ ক্ষেত্রে নেতা। বিজেপিকে কুর্সি ছাড়তেই হবে।”

Mamata Banerjee : কে নেতা হবেন সেটা বড় কথা নয়, বিজেপিকে কুর্সি ছাড়তেই হবে : মমতামমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা : খেলা হবে। আমরাও খেলব। অখিলেশ সঙ্গে হাত ধরে উত্তরপ্রদেশে খেলব। ছাত্র-যুব-কিষাণ হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, পারসি, জৈন সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দেশের গরিব মানুষের স্বার্থে এই বিজেপিকে (BJP) সরাতেই হবে কুর্সি থেকে। রেড রোডের ধরনা মঞ্চ থেকে ফের পদ্ম শিবিরকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার (Mamata Banerjee)। একইসঙ্গে চব্বিশের লোকসভা ভোটে বিজেপিকে সরাতে দেশের সমস্ত বিরোধী দলের কাছে জোট বেঁধে লড়াইয়ের ডাক দিয়ে দিলেন। বাংলার প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। তারই প্রতিবাদে রেড রোডে দুদিনের ধরনায় বসেছেন মমতা। সেখান থেকেই এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দাগতে দেখা গেল তাঁকে। তাঁর সাফ দাবি, পায়ের তলার মাটি সরছে বিজেপি। স্বাস্থ্য ভাল নেই এনডিএ জোটের। মানুষের কথা ভেবে, বিজেপির বঞ্চনার শিকার হয়ে হাত ছাড়ছে শরিক দলগুলি। আর সে কারণেই ইডি-সিবিআই দিয়ে বিরোধী দলগুলিকে ভয় দেখাচ্ছে। এদিকে ওদের এনডিএ জোটের স্বাস্থ্যই ভাল নেই। 


বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মমতা বলেন, “১৭টা রাজনৈতিক দলকে নিয়ে এনডিএ ছিল। আজকে ১৬টা দল চলে গিয়েছে। ওরা একা কী করবে? উত্তরপ্রদেশেও সব পাবে না। ওখানে যোগী রাজ কী করবে আমি জানি না। যোগীবাবুর সঙ্গে আবার কারও কারও সম্পর্ক ভাল নয় শুনেছি। মধ্যপ্রদেশে টিমটিম করে জ্বলছে। উত্তরপ্রদেশে অবস্থা ভাল। ওখানে তো কাউকে খেলতে দেয় না। তবে ওখানেও আমরা এবার অখিলেশের সঙ্গে হাত ধরে খেলব। আমরা খেলতে যাব। কিন্তু, বিহারে কোথায় ভোট পাবে? রাজস্থনে, পঞ্জাবে, বাংলায়, কর্নাটকে, অন্ধ্রপ্রদেশে, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গনায় কী করে ভোট পাবে? দিল্লি, ঝাড়খণ্ডে কোথায় ভোট পাবে?” 


নিম্নচাপের প্রভাবে চলতি সপ্তাহের শেষে শীতের আকাশে ঘনাবে মেঘ, বৃষ্টি কি হবে?
এখানেই না থেমে রীতিমতো হুঙ্কারের সুরে মমতা বলেন, “ওরা জানে না দিল্লি যখন টলমল হবে তখন দিল্লিতে কী ঝড় আসবে। তাই আমি মনে করি প্রতিটা বিরোধী দলকে একসঙ্গে লড়তে হবে। বিজেপিকে দেশ থেকে সরাতে হবে, কুর্সি থেকে সরাতে হবে। দেশের দুঃশাসন ওরা। এই দুঃশাসনকে হটাতে হবে। দুর্যোধনকে সরান, দেশকে বাঁচান। বিজেপিকে হটান লোকতন্ত্রকে বাঁচান, দেশের 

প্রাথমিক সহ একাধিক নিয়োগ মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তভার দিয়েছে হাইকোর্ট।

Supreme Court: তদন্ত করতে পারবে না ED-CBI, প্রাথমিকের একটি মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টেরসুপ্রিম কোর্ট।
নয়া দিল্লি: প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি ও সিবিআইকে যৌথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে একটি মামলা হয় শীর্ষ আদালতে। সেই মামলাতেই বুধবার অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর বেঞ্চ। জানা গিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে এই মামলা হয়েছিল।


মানিক ভট্টাচার্য বনাম টিনা মন্ডল এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বনাম টিনা মন্ডল মামলার শুনানি ছিল বুধবার। গত ২ মার্চ এই মামলায় দুই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে এর ফলে সম্পূর্ণ তদন্তে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ নিয়োগ দুর্নীতির মামলা বৃহত্তর। একটি মাত্র মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হলেও তেমন কোনও প্রভাব পড়ার কথা নয়।

২০১৪ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়, তার ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ম মেনে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতেই দুই তদন্তকারী সংস্থাকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।


এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে কেন পর্ষদের তরফে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তা তদন্ত করে দেখার কথা বলা হয়েছিল ইডি এবং সিবিআই-কে। সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পর্ষদ। তার ভিত্তিতেই এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
এই দুটি স্কুটারই এখন থেকে মোট আটটি কালার অপশনে পাওয়া যাবে— ইলেকট্রিক গ্রিন, ওশিয়ান ব্লু, মউভ পার্পল, লিকুইড মেটাল, মিলিটারি গ্রিন, মোচা ব্রাউন, সিফোম গ্রিন এবং সান অরেঞ্জ।

Okinawa-র এই দুই ইলেকট্রিক স্কুটার এখন নতুন 8 রঙে পাওয়া যাবেএকাধিক নতুন রঙে Okinawa-র এই দুই ইলেকট্রিক স্কুটার।
Okinawa তার জনপ্রিয় দুই ইলেকট্রিক স্কুটারের নতুন কিছু কালার অপশন। সেই স্কুটার দুটি হল Okinawa PraisePro এবং Okinawa iPraise Plus। এই দুটি স্কুটারই এখন থেকে মোট আটটি কালার অপশনে পাওয়া যাবে— ইলেকট্রিক গ্রিন, ওশিয়ান ব্লু, মউভ পার্পল, লিকুইড মেটাল, মিলিটারি গ্রিন, মোচা ব্রাউন, সিফোম গ্রিন এবং সান অরেঞ্জ।


এদের মধ্যে Okinawa Praise Pro ইলেকট্রিক স্কুটারে যে ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণভাবে চার্জ হতে সময় নেয় মাত্র 3-4 ঘণ্টা। এই স্কুটারটির সর্বোচ্চ গতিবেগ 56 kmph। আপনি যদি স্কুটারটি চালান, তাহলে প্রতি কিলোমিটারে আপনার খরচ হবে মাত্র 14 পয়সা। এছাড়া স্কুটারটিতে রয়েছে অল LED লাইটস এবং E-ABS (ইলেকট্রনিক অ্যাসিস্টেড ব্রেকিং সিস্টেম) ও তার সঙ্গে রিজেনারেটিভ এনার্জি।

সেন্ট্রাল লকিং সিস্টেম রয়েছে এই স্কুটারে। পাশাপাশি অ্যান্টি-থেফট অ্যালার্মও রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিচারের মধ্যে রয়েছে লোকেট মাই স্কুটার ফাংশন, মোবাইল ডিভাইসের জন্য একটি USB চার্জিং পোর্ট এবং ওয়াক অ্যাসিস্ট্যান্স। অন্য দিকে Okinawa iPraise Plus স্কুটারটি এক চার্জে 137 কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ দিতে পারে। দুটি স্কুটারই ইন্টিগ্রেট করা রয়েছে Okinawa Eco App-এর সঙ্গে।



Honda Activa 125 হাজির হল Smart Key ফিচার নিয়ে, 78920 টাকার নতুন স্কুটার এখন OBD কমপ্লায়েন্টও
2015 সালে Okinawa ভারতে তাদের অপারেশন শুরু করে। তারপর 2017 সালে কোম্পানি তাদের প্রথম মডেল Ridge লঞ্চ করে। এই মুহূর্তে Okinawa-র ঝুলিতে রয়েছে বিস্তৃত প্রডাক্ট পোর্টফোলিও, যার টাচপয়েন্ট 540 3S।



Abhishek Banerjee: রাহুল গান্ধী মামলার রায়কে হাতিয়ার করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আদালতে দ্বারস্থ হবে তৃণমূল: অভিষেকশহিদ মিনারে অভিষেক
কলকাতা: মাঝে কেবল একটা টিনের ব্যারিকেড। 

শহিদ মিনারে ডিএ-র দাবিতে অবস্থানরত সরকারি কর্মীদের মঞ্চের পাশেই তৃণমূলের ছাত্র-যুব সমাবেশ। পাশাপাশি দুই কর্মসূচি যাতে সংঘাতের পরিবেশ না তৈরি হয় সকাল থেকে কড়া নজরদারি রয়েছে পুলিশের। অভিষেকের সভার জন্য ডিএ আন্দোলনকারীদের ধর্না বন্ধ রাখার আর্জি জানানো হয়েছিল। আন্দোলনকারীরা প্রতিবাদে আদালতের দ্বারস্থ হন। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা অভিষেকের সভার অনুমতি দিলেও বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেন। এই আবহে অভিষেকের সভা। সভামঞ্চে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যরা। নেতৃত্বের বক্তব্য রইল এক নজরে:


KEY HIGHLIGHTS

বিরোধীরা আছে আদালতে, বিরোধীরা আছে গণমাধ্যমে, আর বাংলার মানুষের মধ্যে একটাই সুনামি বইছে, তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ব্রাত্য
আমাদের দলের সুপ্রিমো, কাজের নিরিখে সবথেকে উল্লেখ্যযোগ্য রাজনীতিবিদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনায় বসেছে। একই দিনে দুটো মহাসভা। তৃণমূলই এই হিম্মত দেখাতে পারে: ব্রাত্য

কেন্দ্র বাংলাকে হাতে ও ভাতে মারার পরিকল্পনা করছে। বিজেপি দুটোতেই মারতে চায়। স্বাভাবিকভাবেই সব রাজনৈতিক দল একসঙ্গে প্রতিবাদ করছে। সিপিএম বারবার কেন্দ্র ও রাজ্যের সম্পর্কের পুনর্বিন্যাসের কথা বলছে। আমরা কেরলেও দেখতে পারছি, কংগ্রেস ও সিপিএম রাজ্যে লড়ছে, কিন্তু সংসদে তারা যখন যাচ্ছে, তখন একসঙ্গে লড়ছে। কেরলও বঞ্চিত। তামিলনাড়ুতেও তাই। : ব্রাত্য
কিন্তু বঙ্গ সিপিএমের একমাত্র প্রতিনিধি রাজ্যসভায়, তিনি কোনও কথা বলেন না। তিনি নীরব থাকে, কংগ্রেসও কোনও কথা বলে না, নীরব থাকে। একমাত্র কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কাছেই সকলের প্রত্যাশা। এই আত্মঘাতী রাজনীতি সিপিএম বারবার বাংলায় করেছে, এখনও করছে : ব্রাত্য
আপনারা দেখেছেন যে সম্প্রতি পার্টির অভ্যন্তরে দলের সুপ্রিমো শিক্ষা সেলের চেয়ারম্যানকে বলেছিলেন, সিপিএম আমলে কাদের কাদের দু নম্বরী নিয়োগ হয়েছে, সেগুলি খুঁজে বার করুন। সিপিএম ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে যে মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রীকে বলেছেন, কিন্তু কথাটা হয়েছে দলের অভ্যন্তরে। পার্টির সুপ্রিমো বলেছেন শিক্ষাসেলের চেয়ারম্যানকে। সিপিএম নেতারা বারবার তাড়া দিচ্ছেন, কই লিস্ট বেরোচ্ছে না কেন? আমরা কি ওতই বোকা? সব বেরোবে। ইউ আর ইন দ্য সেম বোর্ড ব্রাদার। সব একসঙ্গে আছেন। আমাদের তাড়া দিতে হবে না। আপাতত যে কটা কড়াইতে ফুটছে, তাদের বেসন দেব, তেল দেব, ছ্যাকা দেব, সব করব। সেমি ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে শোধ দেব।: ব্রাত্য
সিপিএম বিজেপিতে কোনও তফান নেই। সব এক, শুধু কালর হয়ে গিয়েছে গেরুয়া, আপনার এলাকায় যে ইনকিলাব জিন্দাবাদ বলত, সেই ব্যাটাই এখন জয় শ্রী রাম বলছে। বিজেপির কেন এত সমস্যা? ব্রাত্য বসু কয়েটা চিরকুট বার করার কথা বলছে, যত না বিজেপি লাফাচ্ছে, তার থেকে বেশি লাফাচ্ছে সিপিএম। কারণ যাদের চিরকুট এখন বেরোবে, তার পুটকি লাগিয়ে এখন রাম হয়ে গিয়েছে।: দেবাংশু
যত দিন গিয়েছে, তৃণমূল তত শক্তিশালী হয়েছে। আজকের সভা ছোট্ট একটা ট্রেলর দেখালাম, আগামী দিনে প্রয়োজন হলে দিল্লির বুকে এই আন্দোলন সংগঠিত করব, তৈরি থাকুন। গণতন্ত্রের শেষ কথা মানুষ বলে, আদালত বলে না। আজ এখানে পবিত্র মাটিতে সাক্ষী রেখে বলছি, যে বিষয়গুলো নিয়ে সভা করছি, তা আগামী দিনে দিল্লির বুক থেকে ছিনিয়ে আনব: অভিষেক
২০২১ সালে হেরে যাওয়ার পর কেন্দ্র একশো দিনের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। গ্রামীণ সড়ক যোজনা, আবাস যোজনা সব টাকা বন্ধ। পরিষেবা মূলক কাজের টাকা সব বন্ধ করে দিয়েছে।: অভিষেক
২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি নরেন্দ্র মোদী সভা করে বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হলে বাংলার মানুষের হাতে দুটো লাড্ডু তুলে দেব। আজ সত্যিই বাংলার মানুষের হাতে কেন্দ্রের সরকার লাড্ডু তুলে দিয়েছে।: অভিষেক
বাংলায় রাস্তা হলে, কার নামে হওয়া উচিত, বাংলা আবাস যোজনা, বাংলা সড়ক যোজনা, কার নামে হওয়া উচিত? এই মিনারের নাম অক্টর লোনি মনুমেন্ট হওয়া উচিত নাকি শহিদ মিনার হওয়া উচিত? শহিদ মিনার হওয়া উচিত। ইংরেজরা আসলে ভেেবেছিল, আমরাই রাজত্ব করব। তাই তাঁদেরই নামে মিনার। বাংলা থেকে আন্দোলন হয়। ভারতকে পথ দেখিয়েছে বাংলাকে। ক্রিকেট স্টেডিয়াম, রাস্তা যারা নিজের নামে করে, বাংলা তা করে না।: অভিষেক
দিল্লির দানবদের কাছে বাংলা মাথানত করবে না। বাংলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি, সংহতি যেন অক্ষুণ্ণ থাকে। ২০১৯ সালে বিজেপি ১৮ টা সাংসদ বাংলা জিতিয়েছিল, তাতে কী লাভ, বাংলায় পরিষেবা মূলক সব কাজের টাকা বন্ধ। আর এক লক্ষ কোটি টাকা আদানি সাধারণ মানুষের টাকা এলআইসি, ও এসবিআই-এর মাধ্যমে আত্মসাৎ করে ফূর্তি করছে। বিজেপি বাবুদের চোখে কাপড় বাঁধা। এই টাকা তো আদানির নয়। বিজেপি টাকা ভোগ করছে।: অভিষেক
বাংলার বকেয়া পাওনা ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা। বাংলার কটা প্রকল্পের টাকা বন্ধ জানেন? ২০২১-২০২২, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১০৬ টা প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে। সব রাজ্যের টাকা ছেড়ে দিয়েছে, একমাত্র বাংলার টাকা গা জোয়ারি করে আটকে রেখেছে।: অভিষেক
বিচারব্যবস্থার এক বিচারপতি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলছেন, আমি রুল জারি করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠাতাম। আর সেই বিচার ব্যবস্থাই সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু বলছেন, তাঁরা অ্যান্টি ইন্ডিয়ান গ্যাঙের সদস্য, আর সেই বিচারপতিদের মুখে কুলুপ। বিজেপি করলে আইন এক, তৃণমূল কিংবা অন্য দল করলে আইন আরেক? দুর্নীতি করলে শাস্তি হোক, কিন্তু পিক অ্যান্ড চুস হবে না। প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের বাড়ির ফাইল উদ্ধার হলে কেন কাস্টডিতে নিয়ে জেরা হবে না? কে কী বলল, সংবাদমাধ্যম কী বলল, তাতে কান দেবেন না। আমরা একাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। মানুষের কাছে যখন যাবেন মাথা উঁচু করে বুক ঠুকে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হিসাবে যাবেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ৬ দিনের মাথায় সাসপেন্ড করেছি, মন্ত্রিসভা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। : অভিষেক
ভাইপো এই করেছি, ভাইপো ওই করেছি, তিন বছর হয়ে গেল, এখনও মুখ দিয়ে অভিষেক নামটা বের হয়নি। মদন মিত্রদের বলা হয়েছিল, অভিষেকের নাম নাও ছেড়ে দেব। আমার যদি কোথাও যোগসাজশ থাকে, যদি প্রমাণ করতে পারে, তাতে আমি বলে দিলাম, এখানেই মৃত্যু বরণ করব।: অভিষেক
 মোদী পদবীর লোকেরা চোর বলে যে সাংসদের সাংসদ পদ খারিজ হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রচারে এসে বলেছেন, ‘দিদি ও দিদি…’ মহিলাদের সম্মানে যিনি আঘাত করেছেন, তাঁর প্রধানমন্ত্রী পদ খারিজ হবে না কেন? এখানে বীরবাহা হাঁসদাদের এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, এঁরা আমার জুতার তলে থাকে। তাহলে বিরোধী দলনেতার দু’বছরের জেল হবে না কেন?: অভিষেক
যখন মানুষের কাছে যাবেন তৃণমূলের ব্যাজ়টা পরে যাবেন। কারণ এই দলই দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে ব্যবস্থা নেয়।: অভিষেক
এক লক্ষ কোটি টাকা এলআইসি-এসবিআই- এ মানুষের গচ্ছিত টাকা আত্মসাৎ করেছে। কখনও ভেবেছেন এক লক্ষ কোটি টাকায় কী হবে? একের পাশে বারোটা শূন্য রয়েছে। কেন্দ্র রাজ্যে এক লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা গায়ের জোরে আটকে রেখেছে। এই টাকা এলে ৫০ লক্ষ পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে বাড়ি বানিয়ে দেওয়া যেত, নদী ভাঙনের সমস্যা মেটানো যেত। প্রত্যেক বিধানসভায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে চারটে করে ব্রিজ হত। প্রায় ১ লক্ষ কিমি পাকা রাস্তা হত। কৃষক, মৎস্যজীবীদের বাড়তি সহায়তা করতে সফল হত। গায়ের জোরে আটকে রেখেছে। বাংলা একমাত্র রাজ্য, যেখানে একশো দিনের টাকা আটকে। বাংলাকে এখন বাংলাদেশের চোখে কে দেখছে?: অভিষেক
আমি বুক ঠুকে বলে যাচ্ছি, ২১ টা কেসে সিবিআই হয়েছে। গত ২১ মাসে। প্রতি মাসে একটা করে সিবিআই। আপনার ক্ষমতা থাকলে ১০০ দিনেও সিবিআই করুন, কিন্তু ১৭ লক্ষ মানুষের টাকা ফেরত দিন। তৃণমূলের কেউ জড়িত থাকলে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেব। ওপেন চ্যালেঞ্জ করছি। আমি জেদি ছেলে। একা হলেও যাব, দিল্লি অচল করে দেখাব। : অভিষেক

তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'এটা ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছি। আর কিছুই নয়। বাংলাকে শুকিয়ে মারার ষড়যন্ত্র।'

Awas Yojana west bengal: আবাস যোজনার টাকা থেকে 'বঞ্চিত' শুধুমাত্র বাংলা, দেবের করা প্রশ্নের জবাবে জানাল কেন্দ্রফাইল ছবি
কলকাতা: আবাস যোজনা নিয়ে বাংলায় বিতর্ক কম হয়নি। একের পর এক অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বাংলায় এসেছিল কেন্দ্রের টিমও। এবার তৃণমূল সাংসদ দেব-এর করা প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্র জানাল, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেশের মধ্যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্য আবাস যোজনায় কোনও টাকা বরাদ্দ করা হয়নি। লোকসভায় দেব লিখিত প্রশ্ন রেখেছিলেন। সেই প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি টাকা না দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। পুরো বিষয়টাকে কেন্দ্রের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।


এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘এটা ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছি। আর কিছুই নয়। বাংলাকে শুকিয়ে মারার ষড়যন্ত্র। দু-তিনবার কেন্দ্র টিম পাঠিয়েছিল। তারা কোনও অভিযোগ পায়নি। বরং তারা ক্লিনচিট দিয়েছিল বাংলাকে।’ তারপরও কেন টাকা দেওয়া হল না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন জয়প্রকাশ। তাঁর দাবি, টাকাটা জমিদারের নয়। এই জমিদারি মনোভাব ছাড়তে হবে। এটা জনগণের প্রাপ্য টাকা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

অন্যদিকে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, টাকাটা কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টাকাও নয়। এটা জনগণের টাকা। সেই টাকা দেখভাল করা ও সঠিক খরচ করার দায়িত্ব কেন্দ্রের। টাকা তৃণমূলের ফান্ডে যাবে, তাদের বাড়ি গাড়ি হবে এটা কোনওভাবেই মানা যায় না।


তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রাপ্য বাংলার। কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা বারবার বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও। উল্লেখ্য,কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেই বুধবার ধরনায় বসতে চলেছেন মমতা। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, আদতে রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

ভালো দল গড়তে ইনভেস্টরদের সাহায্য করতে চায় ক্লাব। কো-স্পনসর এনে আর্থিক ভাবে শক্তিশালী হতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। একই সঙ্গে ভালো দল গড়ার কাজেও হাত দিতে চায় লাল-হলুদ। নতুন কোচের পরামর্শ মতোই দল গড়া হবে। সামনের সপ্তাহের মধ্যেই হয়তো ছবিটা আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে।

East Bengal: 'সফল' কোচই আনছে ইস্টবেঙ্গল, দৌড়ে নতুন নামও
Image Credit Source: WIKIPEDIA
কলকাতা: স্টিফেন বিদায় অনেক আগেই নিশ্চিত। নতুন মরসুমে ইস্টবেঙ্গেলের কোচ কে হবেন? বাজারে ভাসছে বেশ কয়েকজন কোচের নাম। মঙ্গলবার বিনিয়োগকারী সংস্থার অফিসে ফের একবার বৈঠকে বসে ইস্টবেঙ্গল। ইমামি কর্তা দেবব্রত মুখোপাধ্যায় ও সন্দীপ আগরওয়াল ছিলেন বৈঠকে। ইস্টবেঙ্গলের কর্তা দেবব্রত সরকার, সদানন্দ মুখোপাধ্যায়, রজত গুহ ছিলেন বৈঠকে। আর ছিলেন ফুটবল সচিব সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবারই পিতৃবিয়োগ হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল সচিবের। মঙ্গলবারই মেগা মিটিংয়ে যোগ সৈকতের। পেশাদারিত্ব এবং ক্লাবের প্রতি ভালোবাসার জন্য এগিয়ে এলেন ইস্টবেঙ্গলের কর্পোরেট কর্তা। প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠকেও চূড়ান্ত কিছু হল না। তবে কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে জোরকদমে। লিস্টে থাকা কোচেদের কাউকেই এখনও ফাইনাল করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। 


মঙ্গলবার বৈঠকের পর একটা বিষয়ে আশ্বস্ত হতে পারেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। আইএসএলের সফল কোচই আসছে লাল-হলুদে। মঙ্গলবারের বৈঠকের পর ইমামি কর্তা দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘অনেক কোচের সঙ্গেই কথা চলছে। ভালো কোচ আনার চেষ্টা চলছে। সফল কোচই আনতে চাই। চেষ্টা করছি আইএসএলে কোচিং করানো কাউকেই আনতে।’ সের্জিও লোবেরা, অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাসের নাম আগেই ছিল ক্লাবের পছন্দের তালিকায়। সেই তালিকা নিয়েই নাড়াচাড়া চলছে। তবে শোনা যাচ্ছে ওই লিস্টে যোগ হয়েছে কার্লোস কুয়াদ্রাতের নাম।

বেঙ্গালুরু এফসিতে আইএসএল জিতেছেন কুয়াদ্রাত। ২০১৬-১৭ মরসুমে বেঙ্গালুরু এফসিতে সহকারি কোচ ছিলেন। ২০১৮-২০২১ পর্যন্ত তিন বছর বেঙ্গালুরুর হেড কোচের দায়িত্ব সামলেছেন কুয়াদ্রাত। এখন ডেনমার্কের একটি ক্লাবের অ্যাসিস্ট্যান্ট কোচ। তাঁর নামও রয়েছে আলোচনায়।


ইমামি কর্তা দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘কথাবার্তা চলছে। প্রক্রিয়া মজবুত করতে আলোচনা প্রয়োজন। ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলতে থাকবে। সামনাসামনি না হলেও, ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক চলবে।’

এ দিকে ভালো দল গড়তে ইনভেস্টরদের সাহায্য করতে চায় ক্লাব। কো-স্পনসর এনে আর্থিক ভাবে শক্তিশালী হতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। একই সঙ্গে ভালো দল গড়ার কাজেও হাত দিতে চায় লাল-হলুদ। নতুন কোচের পরামর্শ মতোই দল গড়া হবে। সামনের সপ্তাহের মধ্যেই হয়তো ছবিটা আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে।

বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশিদের কটাক্ষের জবাবে আত্মহত্যার হুমকি দিলেন হিরো আলম।

Bangladesh: 'আপনারা কেন রুচি নষ্ট করেন?' ফেসবুকে আত্মহত্যার হুমকি হিরো আলমেরবাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া তারকা হিরো আলম (ছবি সৌজন্য - ফেসবুক)

ঢাকা: বাংলাদেশে এই সময়ের অন্যতম আলোচিত ব্যক্তিত্ব হিরো আলম। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শুধু ১৮ কোটি বাংলাদেশি নয়, এপাড় বাংলার মানুষের আলোচনায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। প্রথমে মিউজিক ভিডিয়ো, তারপর কখনও গান, কখনও সিনেমা, কখনও আবৃত্তি করে দনপ্রিয়তার শিখরে উঠেছে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। এমনকি উপ-নির্বাচনে প্রপতিদ্বন্দ্বিতাও করেন তিনি। প্রাথমিকভাবে তাঁকে জয়ী ঘোষণা করা হলেও, পরে জানানো হয়েছিল সামান্য ভোটে পরাজিত হয়েছেন তিনি। এহেন হিরো আলম এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আত্মহত্যার হুমকি দিলেন। সোমবারই হিরো আলমকে কটাক্ষ করেছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাট্যকার, অভিনেতা তথা নাট্য পরিচালক মামুনুর রশিদ। একদিন পরই আত্মহত্যার হুমকি দিলেন এই বাংলাদেশি সোশ্যাল মিডিয়া তারকা।


সোমবার, এক অনুষ্ঠানে মামুনুর রশিদ মন্তব্য করেছিলেন, “আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়েছি। যেই কারণে হিরো আলমের মতো মানুষের উত্থান হয়েছে।” মামুনুর রশিদের এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাতেই এদিন এক ফেসবুক লাইভ করেন হিরো আলম। মামুনুর রশিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনাদের মতো রুচিসম্পন্ন মানুষের কারণে যদি আমি আত্মহত্যা করি, তবে এর দায় আপনাদেরই নিতে হবে।” মামুনুর রশিদদের মতো বড় মাপের মানুষ তাঁকে নিয়ে কথা বলছেন, এটা তাঁর সৌভাগ্য বলে জানান হিরো আলম। নিজের ভক্তদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা কেন আমাকে সাপোর্ট করেন, রুচি নষ্ট করেন?”


মামুনুর রশিদের উদ্দেশ্যে হিরো আলম বলেন, “স্যার আপনি ইচ্ছে করলেই কিন্তু আমাকে তৈরি করতে পারতেন। কিন্তু করেন নাই। বাংলাদেশ নাকি আমার কারণে নষ্ট হচ্ছে। যখন নাটকে গালিগালাজ করা হয়, তখন কি আপনাদের রুচি নষ্ট হয় না। তখন তো চুপ করে থাকেন। সমাজের নানা অনিয়ম, অনাচার, অবিচার ও অণ্যায় দেখার পরও তো চুপ করে থাকেন। প্রতিবাদ করেন না। সেই সময় আপনাদের রুচিবোধ কোথায় থাকে? আমার লেখাপড়া নাই, চেহারা নাই, আমার কী অপরাধ? যদি আমি আপনার ছেলে হতাম, এভাবে বলতে পারতেন? অনেক শিক্ষিত-অশিক্ষিত এমপি দেখেছি। তারা কেউ সমাজের কথা দেশের কথা, মানুষের কথা বলে না। টাকা আর দখলদারি নিয়ে ব্যস্ত। তখন আপনারা চুপ করে থাকেন।”

এরপরই ফেসবুক লাইভে নিজেকে মেরে ফেলার হুমকি দেন হিরো আলম। তিনি বলেন, “মানুষের রুচি কেন নষ্ট হবে। কয়টা লোকের রুচি আছে? ১৮ কোটি লোক থাকতে আমাকে নিয়ে কেন রুচিতে বাধে আপনাদের? হিরো আলমকে মেরে ফেলে দেন। মেরে না ফেললে কেউ থামাতে পারবেন না। আমি নিজ যোগ্যতায় আলম থেকে হিরো আলম হয়েছি। আপনারা আমাকে নিয়ে কথা কেন বলেন? কেন ভাই? একদিন এমন লাইভ করে পৃথিবী থেকে চলে যাব। আপনারা রুচি নিয়ে থাকেন। আমি যদি আত্মহত্যা করি, এর জন্য দায়ী থাকবেন আপনারা। মানুষ আত্মহত্যা করে কখন? সবকিছুতে টর্চারিং করছেন। টিকটক দেখেন তো? কেন তাদের বন্ধ করতে পারছেন না? অন্যদের নিয়ে কথাবার্তা বলেন না। এসবের জন্য আমি যদি আত্মহত্যা করি। এর জন্য দায়ী থাকবেন রুচিসম্পন্ন মানুষেরা। অন্যদের মতো আমি তো এই রুচি নিয়ে আসি নাই।