অন্তত ১৩ জন বিধায়ক ও ৬ জন সাংসদ তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে দাবি কুণালের। বললেন, 'যাঁরা যাঁরা এখন বিজেপির হয়ে বিবৃতি দেবেন, জেনে রাখুন তাঁদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।'
আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের দলবদল ঘিরে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আর এরই মধ্যে কার্যত বোমা ফাটালেন তৃণমূল (TMC) মুখপাত্র তথা শাসক দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। দলবদলের জল্পনা আরও উস্কে দিয়ে কুণালের দাবি, বিজেপির (BJP) একাধিক নেতা তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। অন্তত ১৩ জন বিধায়ক ও ৬ জন সাংসদ তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে দাবি কুণালের। বললেন, ‘যাঁরা যাঁরা এখন বিজেপির হয়ে বিবৃতি দেবেন, জেনে রাখুন তাঁদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। যতক্ষণ ওখানে (বিজেপি) থাকবেন, ততক্ষণ তাদের মতো করেই থাকতে হবে। সংখ্যাটি ১৩-র নীচে নয়। সর্বোচ্চ কত, তা সঠিকভাবে বলতে পারবেন অভিষেক।’ পাশাপাশি সেই তালিকায় ৬ জন সাংসদ রয়েছেন বলেও দাবি কুণালের।
কেন এতজন নেতা বিজেপি ছাড়তে চাইছেন? সেই ব্যাখ্যাও আছে তৃণমূল মুখপাত্রও কাছে। বলছেন, ‘এলাকাতে তাঁরা সেই স্পন্দনটি অনুভব করছেন। এলাকার মানুষ চাইছেন না বিজেপিকে। ফলে সেই জনপ্রতিনিধিরাও বুঝতে পারছেন, মানুষের সঙ্গে থাকাটাই ভাল।’ কোন কোন নেতা-বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ থাকছে, সেই বিষয়টি খোলসা না করলেও কুণালের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনাক্রমে শীর্ষ নেতৃত্ব এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। ততক্ষণ যেন ওই নেতারা বিজেপিতে যে নেতার ঘনিষ্ঠ, সেই মতোই থাকেন। বললেন, ‘কেউ দিলীপবাবুর সঙ্গে থাকুন, কেউ সুকান্তর সঙ্গে থাকুন, কেউ শুভেন্দুর সঙ্গে থাকুন… বৈঠকগুলিতে থাকুন, যা যা ঘটবে, আমাদের জানাতে থাকুন।’
যদিও এই বিষয়ে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এই বিষয়ে বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে একটি নতুন ট্রেন্ড হয়েছে। অনেকের পকেটে পকেটে এত বিধায়ক ঘুরছে শুনে জনগণ আঁতকে উঠছে। এর বদলে জনগণ যে কাজের দায়িত্ব রাজনীতিক ও জনপ্রতিনিধিদের দিয়েছে, সেই দিকে নজর দেওয়া হলে পকেটে ঘোরার বিষয়টি বন্ধ হয়ে যাবে।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours