কলকাতার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে শিশু ওয়ার্ডে প্রায় সমস্ত বেড ভর্তি। পরিস্থিতি সামাল দিতে নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।


অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adino Virus) দাপটে দিশেহারা শিশুদের অভিভাবকরা। এই অবস্থায় কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ স্থির করে দিল নিয়ম-বিধি। কলকাতা পুরনিগমের চিকিৎসক থেকে নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের কী কী দায়িত্ব পালন করতে হবে, তার নির্দেশিকা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে বুধবার।



মেডিক্যাল অফিসারদের যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, একনজরে
১. শিশুদের অভিভাবকের কথা শুনে পরীক্ষা করতে হবে।

২. বাড়িতেই চিকিৎসা সম্ভব নাকি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, তা জানাতে হবে।



৩. শিশুর শারীরিক অবস্থা কেমন থাকছে সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে।

৪. বাড়িতে রাখলে অভিভাবকদের বুঝিয়ে দিতে হবে, কী দেখে তাঁরা সতর্ক হবেন।

নার্সদের কী করতে হবে
কোনও শিশুকে নিয়ে আসা হলে, তার অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে হবে শিশুর শারীরিক অবস্থা কতটা খারাপ। জানতে হবে, জ্বর কেমন থাকছে, খেতে অনীহা দেখা যাচ্ছে কি না, প্রস্রাবে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না। বিপদ বুঝলেই দেরি না করে মেডিক্যাল অফিসারের কাছে পাঠাতে হবে।

ফার্মাসিস্ট
মেডিক্যাল অফিসারদের দেওয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ দিতে হবে। কোন ওষুধ কখন খেতে হবে, তা অভিভাবকদের ভাল ভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে। এছাড়া আশাকর্মী ও ল্যাবরেটরির কর্মীদেরও কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

করোনার ভয় কাটতে না কাটতেই শহরে হানা দিয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস। বিসি রায় শিশু হাসপাতাল সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ভাইরাসের হানায় বি সি রায় হাসপাতালে পাঁচের বেশি শিশুর প্রাণ গিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য ভবনের কাছে আর্জি জানিয়েছে এই হাসপাতালে রেফার রোগীর সংখ্যা কমানোর জন্য। কলকাতার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে শিশু ওয়ার্ডে প্রায় সমস্ত বেড ভর্তি। পরিস্থিতি সামাল দিতে নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তিনদিনের বেশি জ্বর, কাশি, নাক থেকে জল পড়া অথবা গলা খুশখুশ, জোরে-জোরে নিশ্বাস নিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours