হামিদার আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের দাবি, শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে ওই শিক্ষিকা বদলির জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, প্রধান শিক্ষিকা নিরুপমা হাজরা তাতে কর্ণপাত করেননি।
আদালতের নির্দেশ অবমাননার অভিযোগে এক স্কুল প্রধান শিক্ষিকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সাতদিনের মধ্যে জরিমানার টাকা না দিলে বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) একক বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে হাতকৃতি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রায় পাঁচ বছর ধরে কর্মরত শিক্ষিকা হামিদা খাতুন। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মগরাহাটের গোকর্ণে। হামিদার আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের দাবি, শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে ওই শিক্ষিকা বদলির জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, প্রধান শিক্ষিকা নিরুপমা হাজরা তাতে কর্ণপাত করেননি।
এমন অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হামিদা। ২০২২ সালের ১ অগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে অবিলম্বে বদলির জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু তাতেও প্রধান শিক্ষিকা কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। তাই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন হামিদা। শুক্রবার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক হাইকোর্টে জানান, সোমবার জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে পাঠানো হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী কোনও শিক্ষিকা স্বাস্থ্যের কারণে বদলির আবেদন জানালে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক একটি টিম গঠন করে সেই আবেদনের গ্রহণ যোগ্যতা যাচাই করবে। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বদলির নির্দেশিকা জারি করেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক।
কিন্তু আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও গতবছরের অগস্ট মাস থেকে এই বছরের ফেব্রুয়ারি? এত দেরি কেন? প্রশ্ন করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। উত্তরে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক জানান, প্রধান শিক্ষিকার কাছ থেকে সম্প্রতি তাঁরা নথি পেয়েছেন। বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, আদালতের নির্দেশের অবমাননা করেছেন প্রধান শিক্ষিকা। এমন অবস্থায়, প্রধান শিক্ষিকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করার নির্দেশ দেন তিনি। সাত দিনের মধ্যে ওই অর্থ দিতে হবে হামিদা খাতুনকে। জরিমানার অর্থ না দিলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ওই অর্থ বেতন থেকে কেটে হামিদাকে প্রদান করবে। উল্লেখ্য এর আগেও বিদ্যালয়ের প্রধানদের কাজের গাফিলতির জন্য সতর্ক করেছিলেন বিচারপতি মান্থা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours