অধিবেশনে এদিন আদানি ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন মহুয়া মৈত্র। এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি।
ফের বিতর্কে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। মঙ্গলবার সংসদ কক্ষে অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার করার অভিযোগ উঠল কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে। মহুয়ার এই ব্যবহারে সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদেরা। বিজেপির দাবি, অবিলম্বে ওই শব্দ প্রয়োগের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে মহুয়াকে। যদিও এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল সাংসদ। মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশন চলাকালীন বক্তব্য পেশ করেন মহুয়া মৈত্র। তিনি বক্তব্য শেষ করার পর বক্তব্য রাখছিলেন টিডিপি নেতা কে রামমোহন নাইডু। সেই সময়ই উঠে দাঁড়িয়ে মহুয়া একটি মন্তব্য করেন। আর তা থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। বিজেপি সাংসদেরা সংসদ কক্ষেই প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। অধ্যক্ষের আসনে সেই সময় ছিলেন সাংসদ ভর্তৃুহারি মাহতাব। তিনিও সাংসদের ওই মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন।
ভর্তৃুহারি মাহতাব বলেন, ‘অত্যন্ত অপমানজনক শব্দ ব্যবহার করেছেন সাংসদ। আমি সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীকে বলব তৃণমূলের সঙ্গে কথা বলতে।’ কেন্দ্রের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, ‘মহুয়া মৈত্রের ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমি ক্ষমা চাইতে বলব। তারপরও যদি তিনি ক্ষমা না চান, তাহলে বুঝব, এটা ওই দলের সংস্কৃতি।’
অধিবেশনে এদিন আদানি ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন মহুয়া মৈত্র। এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি। আদানি গ্রুপের শেয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি, মহুয়ারর প্রশ্ন, এই ব্যাপারে সেবি চুপ করে আছে কেন? বলেন, ‘সব সময় প্রশ্ন তোলা হয় মহুয়ার পিছনে কে আছে? আসলে মহুয়ার পিছনে কেউ নেই, মহুয়া সত্যের পিছনে আছে।’ সংসদ ভবন থেকে বেরনোর সময় মহুয়াকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি বক্তব্য রেখেছি। এর থেকে বেশি আমার কিছু জানা নেই। কে, কী বলছে, তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই।’
গত ১ ফেব্রুয়ারি সাধারণ বাজেট পেশ হওয়ার পর থেকে গত কয়েকদিন ধরে আদানি ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে সংসদ কক্ষ। মঙ্গলবার আলোচনা শুরু হয়। আর মহুয়ার বক্তব্যে সরব হন বিজেপি সাংসদেরা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours