আন্দুল রোডে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন পিয়ালী বসাক নামে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার
মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের। হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে আন্দুল রোড ধরে হেঁটে বাড়ি ফেরার সময়ই পিষে দিল একটি গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। শনিবার সন্ধ্যায় হাওড়ার আন্দুল রোডে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে পিষে দেওয়ার পর গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লাইটপোস্টেও ধাক্কা মারে এবং পোস্টটি বেঁকে যায়। এই ঘটনার পর অবশ্য ঘাতক গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম পিয়ালী বসাক (৩০)। মধ্য হাওড়ার চিন্তামণি দে রোডের বাসিন্দা পিয়ালী হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সেন্ট্রালের অফিসে কর্মরত ছিলেন। তাঁর দুটি ছোট সন্তান রয়েছে। হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় পিষে মৃত্যু হল পিয়ালীর। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি বলেন, ‘‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমরা ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিবারের পাশে আছি। পুলিশের তরফে যেভাবে সাহায্য করা প্রয়োজন, সব করা হবে ওঁর পরিবারকে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকালে আন্দুল রোডে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন পিয়ালী বসাক নামে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। সেই সময় ওই বেসরকারি হাসপাতালের সামনেই একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিয়ালিকে ধাক্কা মারে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁকে পিষে দিয়ে এগিয়ে যায় গাড়িটি। এরপর গাড়িটি রাস্তার পাশে থাকা একটি লাইটপোস্টে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে। গাড়ির গতি এতটাই ছিল যে, লাইটপোস্টটিও বেঁকে যায়। এরপর পথলতি লোকজনই পিয়ালীকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি আন্দুলের ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। তারপর ওই হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীনই তাঁর মৃত্যু হয়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours