এই হাইড্রোজেন চালিত সবুজ ট্রেনগুলির নাম দেওয়া হয়েছে 'বন্দে মেট্রো'। প্রাথমিক ভাবে ঐতিহাসিক কিছু রুটেই চলবে ধোঁয়াহীন ট্রেনগুলি, যে তালিকায় রয়েছে দার্জিলিং। ডিজ়েল ছাড়া এই ট্রেনগুলি কীভাবে চলবে, জেনে নিন।


বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পর দেশে এবার হাইড্রোজেন ট্রেন চলবে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে চলবে সেই হাইড্রোজেন চালিত সবুজ ট্রেন। এক ফোঁটাও ধোঁয়া বেরোবে না তা থেকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ঐতিহাসিক রুট কালকা-সিমলা এবং দার্জিলিংয়ের চলবে ধোঁয়াহীন হাইড্রোজেন ট্রেন। গত বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়েছেন, 2023 সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এই ট্রেনগুলি তৈরি হয়ে যাবে। যদিও হাইড্রোজেন চালিত ট্রেনেরে এহেন প্রযুক্তি বিশ্বের গুটিকয়েক দেশেই রয়েছে। ভারতের এই ধরনের সবুজায়নের উদ্যোগকে সেই কারণেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

এই হাইড্রোজেন চালিত সবুজ ট্রেনগুলির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বন্দে মেট্রো’। প্রাথমিক ভাবে ঐতিহাসিক কিছু রুটেই চলবে ধোঁয়াহীন ট্রেনগুলি। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের পাশাপাশি ন্যারো-গেজ রুটগুলির মধ্যে রয়েছে নীলগিরি পর্বত রেলওয়ে, কালকা-সিমলা রেলওয়ে, মথেরান পর্বতন রেলওয়ে, কাঙ্গরা ভ্যালি, বিলমোরা ওয়াঘাই এবং মারওয়ার-দেবগড় মাদরিয়া। পরিবেশ বান্ধব ট্রেনগুলির পিছনে কী প্রযুক্তি রয়েছে, তাই একবার দেখে নেওয়া যাক।

হাইড্রোজেন ট্রেন কী?

প্রথাগত ডিজ়েল চালিত ইঞ্জিনের পরিবর্তে হাইড্রোজেন জ্বালানির সেল ব্যবহৃত হবে এই সবুজ ট্রেনগুলিতে। হাইড্রোজেন জ্বালানি সেলগুলি হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনকে রূপান্তর করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, যা পরে ট্রেনের মোটরকে শক্তি যোগাতে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত যেমন বড় ট্রেন দেখে আমরা অভ্যস্ত, এগুলি সেরকম হবে না— বগির সংখ্যা হবে 6 থেকে 7টি। এই ধরনের ট্রেনগুলির গতিও 160 কিমি প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে। গত ডিসেম্বরে বিশ্বের প্রথম হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন চিনে সর্বাধিক 160 কিমি/ঘণ্টা বেগে ছুটতে শুরু করেছে।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours