ব্লুমবার্গ বিলিওনার ইনডেক্সের তালিকা অনুসারে ইলোন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৮৭.১ বিলিয়ন ডলার।
ফের বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির শিরোপা গেল টেজলা এবং টুইটার সিইও ইলোন মাস্কের ঝুলিতে। মাস দুয়েক আগে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির শিরোপা হারাতে হয়েছিল তাঁকে। ইলোন মাস্ককে টপকে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি হয়েছিলেন বার্নার্ড আর্নল্ট। ফরাসি প্রসাধনী ব্র্যান্ড লুই ভিতোর সিইও আর্নল্ট উঠেছিলেন ধনীর তালিকার এক নম্বরে। কিন্তু গত কয়েক দিনে টেজলার শেয়ার দর অনেকটাই বেড়েছে। এর জেরে মোট সম্পদের নিরিখে আর্নল্টকে ফের পিছনে ফেলেছেন মাস্ক। টেজলার স্টকের দাম বেড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। ৬ জানুয়ারির থেকে তা বেড়েছে প্রায় ১০০ শতাংশ। এর জেরেই মোট সম্পদে আর্নল্টকে পিছনে ফেলেছেন টুইটারের সর্বময় কর্তা। সোমবার ব্লুমবার্গ বিলিওনার ইনডেক্স যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতেই এক নম্বরে রয়েছে মাস্কের নাম।
ব্লুমবার্গ বিলিওনার ইনডেক্সের তালিকা অনুসারে ইলোন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৮৭.১ বিলিয়ন ডলার। সেখানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্নার্ড আর্নল্টের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৮৫.৩ বিলিয়ন ডলার। ধনকুবেরদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজোস। তার সম্পত্তি রয়েছে ১১৭ বিলিয়ন ডলারের। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বিল গেটস। পঞ্চম স্থানে রয়েছেন ওয়ারে বাফেট। ধনকুবেরদের তালিকার দশম স্থানে রয়েছেন ভারতীয় শিল্পপতি মুকেশ আম্বানী। তবে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের ধাক্কায় এই তালিকায় অনেকটা পিছনে পড়েছেন গৌতম আদানি। তিনি রয়েছেন ৩২ তম স্থানে।
টেজলার স্টকের দাম সম্প্রতি বড় অঙ্কে বৃদ্ধির জেরে মাস্কের মোট সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে। কিন্তু গত বছর টুইটার অধিগ্রহণের পর বড়সড় ধাক্কা খেয়েছিলেন তিনি। গত বছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে টেজরা প্রধানের মোট সম্পদ কমে গিয়েছিল রের্কড পরিমাণ। সেই অবস্থা থেকে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এবং প্রায় ২ মাস পর বিশ্বের ধনীতম তালিকায় এক নম্বরে উঠে এসেছেন। যদি বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির টুইটার অধিগ্রহণের পর কর্মী ছাঁটাই অব্যাহত রয়েছে। তিনি টুইটার কেনার পর ৩ হাজার ৭০০-র বেশি জনের চাকরি গিয়েছে। যা ওই টেকনোলজি সংস্থার মোট কর্মী সংখ্যার প্রায় অর্ধেক। আগামী দিনেও মাস্কের নেতৃত্বাধীন সংস্থা একাধিক কর্মীর কাজ কাড়তে পারে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours