তবে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ইচ্ছা তাঁর ছোট থেকেই। কিন্তু, নিজে হাতে রোজগার করতে গেলে করতে হবে পড়াশোনা। টপকাতে হবে স্কুলের গণ্ডি। এ কথা বুঝে গিয়েছিলেন সখিনা।
৩০ বছর বয়সে মাধ্যমিক (Madhyamik Exam 2023)? শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই করে দেখালেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হরিহরপাড়ার চোয়া এলাকার বাসিন্দা সখিনা খাতুন। অদম্য মনোবলকে ভর করে ৩০ বছর বয়সেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি। প্রায় চার বছর ধরে দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে হরিহরপাড়ার চোয়া এলাকায় এক ব্রাহ্মণ পরিবারে থাকছেন তিনি। চোঁয়া গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলার বাড়ি জলঙ্গিতে। প্রায় চার বছর আগে পারিবারিক অশান্তির জেরে দুই সন্তানকে নিয়ে স্বামীর ঘর ছাড়েন সখিনা। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বান্ধবী কাকলি রায় চৌধুরী। জায়গা দিয়েছিলেন নিজের বাড়িতে। নিজের মেয়ের মতোই সখিনাকে আপন করে নিয়েছিলেন ব্রাহ্মণ দম্পতি সুভাষ রায় চৌধুরী ও ইলা রায়চৌধুরী। তাঁদের বাড়িতে থেকেই রোজা, ইদ, শবেবরাত পালন করেন সখিনা। প্রায় ১৫ বছর বই খাতার সঙ্গেও তার সম্পর্ক ছিল না।
তবে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ইচ্ছা তাঁর ছোট থেকেই। কিন্তু, নিজে হাতে রোজগার করতে গেলে করতে হবে পড়াশোনা। টপকাতে হবে স্কুলের গণ্ডি। এ কথা বুঝে গিয়েছিলেন সখিনা। আর সে কারণেই নতুন করে পড়াশোনার ইচ্ছা জাগে তাঁর। মাথায় আসে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা। তারপর থেকেই জোরকদমে শুরু করে দেন প্রস্তুতি। হাতে তুলে নেন বই খাতা। অবশেষে বৃহস্পতিবার সাহাজাদপুর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেন সখিনা। তাঁর এই অদম্য জেদ দেখে খুশি এলাকার বাসিন্দারাও। বয়স বাড়লেও শেষ পর্যন্ত মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পেরে খুশি সখিনাও।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours