এদিন মঞ্চে প্রবীর পালের গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দেন ব্রাত্য বসু। প্রবীরের মুখে তখন শুধুই হাসি।
একুশের বিধানসভা ভোটের আবহে যখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক চলছে, সে সময় উঠে এসেছিল দক্ষিণ দমদমের নেতা প্রবীর পালের (Prabir Paul KT) কথা। যিনি এলাকার লোকের কাছে কেটি নামেই অধিক পরিচিত। বিজেপির সঙ্গে কেটির ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে, এরকম একটা কথা সে সময় শোনা গিয়েছিল। এরপর জল গড়ায় বহুদূর। তৃণমূল থেকে প্রথমে তাঁকে সাসপেন্ড ও পরে বহিষ্কার করা হয়। এবার সেই কেটিকে মঞ্চে দাঁড় করিয়ে গালভরা প্রশংসা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। যা নিয়ে ইতিমধ্যে দলের কর্মীদের একাংশই প্রশ্ন তুলছেন। বৃহস্পতিবার দমদমে এক অনুষ্ঠান মঞ্চে একসঙ্গে দেখা গেল ব্রাত্য বসু ও প্রবীর পালকে। দক্ষিণ দমদমের প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রবীর পালের ভূয়সী প্রশংসা করেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর পাশে থাকার বার্তাও দেন মন্ত্রী। বলেন, কেটির সঙ্গে তাঁর কোনওদিনই দূরত্ব ছিল না। তবে কেটিকে অনেকে ব্যবহার করেছেন।
এদিন মঞ্চে প্রবীর পালের গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দেন ব্রাত্য বসু। প্রবীরের মুখে তখন শুধুই হাসি। এরপর ফুলের তোড়াও তুলে দেওয়া হয় এলাকার এক সময়ের দাপুটে কাউন্সিলর কেটির হাতে। চলে গ্রুপ ফটোসেশনও। এরপরই বক্তব্য রাখতে গিয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, “ওকে কে কে ব্যবহার করতে চায়, কে কে ওর খারাপ সময়ে ছিল আর ছিল না, সেটা ওর বুঝে নেওয়ার দরকার আছে। আমি আবার বলছি, এই ১০ জনের মধ্যে ৮ জন ফেক। এরা কেটির যে পরিমাণ সর্বনাশ করেছে আর কেউ করেনি। আমি চাইব, কেটি এদের চিনুক, এদের শনাক্ত করুক। ও আগামিদিনে রাজনীতির দিকে এগিয়ে যাক। আমাদের দমদমের রাজনীতির জন্য কেটি অপরিহার্য নাম। আগামিদিনে কেটিকে বুঝতে হবে, কে ওর সঙ্গে সত্যি ছিল, কে ওর হিতাকাঙ্খী। আমাদের রাজনৈতিক যে সমীকরণ, আমাদের রাজনৈতিক যে বেঁচে থাকা, সেখানে আমার আর কেটির মধ্যে কোনও দূরত্ব ছিল না, হয়নি এবং হবেও না। এটা জেনে নিন।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours