প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে রায় চৌধুরী বাড়িতে নানা বিষয়ে কথা বলেন রাজ্যপাল। করেন পুরোনো সময়ের স্মৃতি রোমন্থন।
জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) রয়েছেন তাঁর চাকরি জীবনের মেন্টর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর বাড়িতে এসে বিলুপ্তপ্রায় কালো ননিয়া চাল নিয়ে খোঁজ খবর নিলেন লাটসাহেব। জলপাইগুড়ি শহরে আসার কথা ছিল শুক্রবার। কিন্তু তার আগেই বৃহস্পতিবার বিকেলে সকলকে চমকে দিয়ে তাঁর চাকরি জীবনের এক ঘনিষ্ঠ সহকর্মীর বাড়িতে এসে দেখা করে গেলেন লাটসাহেব। ১৯৭৭ সালে প্রবেশনারি অফিসার পদে স্টেট ব্যাঙ্কের জলপাইগুড়ি মেইন ব্রাঞ্চে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বর্তমান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)। সেই সময় তার সঙ্গে চাকরি করতেন জলপাইগুড়ি ৪ নম্বর ঘুমটি কালু সাহেব মাজার সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা অশোক কুমার রায় চৌধুরী। ৪৪ বছর পর তার বাড়িতে এসে দেখা করে গেলেন রাজ্যপাল। রায় চৌধুরী পরিবারের সঙ্গে এদিন প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করতে দেখা গেল রাজ্যপালকে। ঘটনায় খুশির হাওয়া রায় চৌধুরী পরিবারে।
সূত্রের খবর, বাংলার রাজ্যপাল হিসাহে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই অশোকবাবুর মোবাইল ফোনের নম্বর জোগার করেছিলেন রাজ্যপাল। তাঁর সঙ্গে ফোনেও কথা বলেন। এদিন বিকালে ফের আচমকা অশোকবাবুকে ফোন করেন সিভি আনন্দ বোস। ফোনালাপ চলাকালীন সময়েই তাঁর বাড়িতে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এরপর বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে আসেন। সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো। ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালকে পুষ্পস্তবক ও মেমেন্টো দিয়ে স্বাগত জানান তপনবাবু।
প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে রায় চৌধুরী বাড়িতে নানা বিষয়ে কথা বলেন রাজ্যপাল। তাঁর কথাতেই বারবার উঠে আসে ৪৪ বছর আগে জলপাইগুড়িতে কাটানো বিভিন্ন মুহূর্তের কথা। উঠে আসে জলপাইগুড়ি জেলার অধুনা বিলুপ্তপ্রায় সুগন্ধি কালো ননিয়া চালের প্রসঙ্গও। এদিকে অশোকবাবুর বাড়িতে এদিন মজুত ছিল ওই চাল। লাটসাহেব ওই চাল দেখবার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তাঁরা প্লেটে করে সেই চালও নিয়ে আসেন। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে ফল মিষ্টি দেওয়া হয়। এরপর হয় উপহার বিনিময়য়। অশোকবাবুকে রাজ্যপাল তাঁর লেখা বই উপহার দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর সন্ধ্যা নামতেই রাজ্যপাল তাঁর কনভয় নিয়ে ফের শিলিগুড়ি চলে যান। আগামীকাল ফের তাঁর আসার কথা জলপাইগুড়িতে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours