অভিষেকের দাবি, বাংলায় জিততে পারেনি বলে প্রতিশোধ নিচ্ছে বিজেপি।

আবাস যোজনায় লাগাতার দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) খাবারের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন, দফায় দফায় উত্তাল হয়েছে বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। বিরোধীদের অভিযোগ, আবাসে সিংহভাগ ক্ষেত্রেই ঘর পাচ্ছেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠরা। তালিকা তৈরিতেও প্রভাব খাটাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। অন্যদিকে মিড ডে মিলে পড়ে রয়েছে সাপ, ব্যাঙ, টিকটিকি, পোকামাকড়, রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে লাগাতার উঠে এসেছে এই ছবি। যা নিয়ে শিক্ষামহলেও বেড়েছে চাপানউতর। আবাসে যোজনা থেকে মিড ডে মিল প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই বাংলায় পা রেখেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তাঁদের কাছে পেয়ে অভাব-অভিযোগের কথা শুনিয়েছে বাংলার মানুষ। যদিও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhisekh Banerjee) দাবি, “কোনও ভুলই ধরতে পারেনি কেন্দ্রীয় টিম।” এদিন কেশপুরের সভামঞ্চ থেকে এ কথা বলতে দেখা যায় অভিষেককে। 

লাগাতার তোপ দাগেন পদ্ম শিবিরের উদ্দেশেও। এমনকী পঞ্চায়েত ভোটের দিকনির্দেশের পাশাপাশি চব্বিশের লোকসভা নিয়েও এদিন মঞ্চ থেকে বড় বার্তা দিতে দেখা গেল তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে অভিষেকের স্পষ্ট বার্তা, “ঘাটাল লোকসভা এবং মেদিনীপুর লোকসভা দুটোতেই তিন লক্ষের ব্যবধানে তৃণমূল প্রার্থীদের জিতিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্তিশালী করতে হবে।” তাঁর দাবি, বাংলায় বিজেপির ক্ষমতা যত বেড়েছে ততই মানুষের পেটে আঘাত লেগেছে। বিজেপিকে একহাত নিয়ে অভিষেক বলেন, “২০১৪ থেকে ২০১৯, বিজেপি বাংলার মানুষকে শোষিত, নিপীড়িত, অত্যাচারিত করে রাখতে পারেননি। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত আপনারা শক্তিশালী করেছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসকে ৩৪টা আসনে জিতিয়েছিলেন। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ৩৪টা সাংসদ কমে হল ২২। বিজেপির সাংসদ সংখ্যা বাড়ল। বিজেপি যত ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়েছে বাংলার মানুষের পেটে আঘাত লেগেছে।”  


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours