গত কয়েকদিনে একাধিক কেন্দ্রীয় বরাদ্দের প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের শাসকদল ও বিরোধীদের মধ্যে আকচাআকচি তুঙ্গে। কেন্দ্র টাকা দেয় না, বারবার অভিযোগ তৃণমূলের।
আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়কের দলবদল রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। স্তম্ভিত বিজেপিও। আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের দলত্যাগ নিয়ে এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। ঠিক কী কারণে সুমনের ফুলবদল, তা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই যখন প্রশ্ন, তখন টিভি নাইন বাংলাকে সুমন কাঞ্জিলাল জানালেন এমন সিদ্ধান্তের কারণ। জানালেন, তৃণমূলের উন্নয়নযজ্ঞে শামিল হতেই রবিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। জানালেন, মানুষ রাজনীতির জন্য ভোট দেন না। তাঁরা পরিষেবা চান। কিন্তু রাজনীতির জাঁতাকলে পড়ে বঞ্চিত হতে হচ্ছে তাঁদের।
সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, “আমি আলিপুরদুয়ারের জনপ্রতিনিধি। আমি মানুষের রায়ে নির্বাচিত। আলিপুরদুয়ারের মানুষকে পরিষেবা দেওয়াই আমার প্রথম কাজ। রাজ্য সরকার যেভাবে প্রান্তিক এলাকার মানুষের জন্য কাজ করছেন তাতে যুক্ত হতে চাই, তাই এই প্রচেষ্টা করেছি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে মানুষ যেভাবেই সমর্থন করুক না কেন, তার থেকেও অগ্রাধিকার পায় তাদের সুখ দুঃখ।”
সুমনের কথায়, ২ বছর হয়ে গেল তিনি বিধায়ক হয়েছেন। অথচ এলাকার মানুষকে পরিষেবা দিতে গিয়ে বারবার তাঁকে হোঁচট খেতে হচ্ছে। সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, “পরিষেবা দিতে পারা যায় কি না বিশেষ করে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তার জন্য চেষ্টা করেছিলাম। সেখানে আমি ভয়ানকভাবে ব্যর্থ হয়েছি। কোনও সদর্থক ভূমিকা দেখিনি দলের অন্দরে। তাই মনে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাকে সমর্থন করা উচিত।”
গত কয়েকদিনে একাধিক কেন্দ্রীয় বরাদ্দের প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের শাসকদল ও বিরোধীদের মধ্যে আকচাআকচি তুঙ্গে। কেন্দ্র টাকা দেয় না, বারবার অভিযোগ তৃণমূলের। এতে মানুষই বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও দাবি করেছে তারা। সোমবার বিজেপির টিকিটে জেতা সুমন কাঞ্জিলালের মুখেও শোনা গেল সে কথাই।
সুমন বলেন, “আমার আলিপুরদুয়ার এলাকায় বিজেপির সাংসদ প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন, পার্শ্ববর্তী আরেকজন সাংসদও প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। ১৮ জন সাংসদ রয়েছে বিজেপির। তারপরও কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও প্রকল্প আমরা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারছি না এই এলাকায়। এমনও শুনছি কেউ বা কারা বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ফায়দা আদানপ্রদান করার জন্য জনগণের জন্য বরাদ্দ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দিচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে আমার মনে হয়েছে, মানুষ এগুলো ভালভাবে নিচ্ছেন না। তাঁরা চান যে কোনও সরকার মানুষের পাশে দাঁড়াক। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে গিয়ে সর্বশেষে যদি মানুষকেই বঞ্চনার শিকার হতে হয় তা মেনে নেওয়া যায় না।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours