শিয়ালদহ মেইন শাখার অনেক ট্রেন এই চাকদহ স্টেশনের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। গেঁদে, কল্যাণী সীমান্ত, রানাঘাট, শান্তিপুর, লালগোলা লোকাল এই লাইন দিয়েই চলাচল করে।
শনিবার বিকেল থেকে রেল অবরোধ (Rail Blockade) চাকদহ স্টেশনের সামনে। চরম ভোগান্তিতে নিত্যযাত্রীরা। চাকদহ স্টেশনের (Chakdaha Rail Station) সামনে রেলগেটের উপর অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষরা। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুল করে মতুয়া ধর্মগুরু হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের বদলে অন্য নাম বলেছিলেন। তা নিয়েই বিতর্ক দানা বেঁধেছিল রাজ্য রাজনীতিতে। রাজ্যের একাধিক প্রান্তে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। যদিও তৃণমূলের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছিল, দল ও রাজ্য সরকার মতুয়াদের উন্নয়নের জন্য সবসময় কাজ করছে এবং হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরকে ভীষণ সম্মান করে তৃণমূল। কিন্তু তারপরও অসন্তোষ কমছে না মতুয়া ধর্মাবলম্বী মানুষদের একাংশের। এবার চাকদহ স্টেশনের কাছে রেল অবরোধ করে প্রতিবাদে সামিল মতুয়ারা। আর এই অবরোধের জেরে নাকাল অবস্থা শিয়ালদহ মেইন (Sealdah Main) শাখার নিত্যযাত্রীদের।
শিয়ালদহ মেইন শাখার অনেক ট্রেন এই চাকদহ স্টেশনের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। গেঁদে, কল্যাণী সীমান্ত, রানাঘাট, শান্তিপুর, লালগোলা লোকাল এই লাইন দিয়েই চলাচল করে। রেল অবরোধের ফলে ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল। আপ ও ডাউন উভয় লাইনেই ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে এই অবরোধের ফলে। বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন আটকে পড়েছে। নাজেহাল অবস্থা নিত্যযাত্রীদের। শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সন্ধে ৭টা পর্যন্তও অবরোধ ওঠেনি।
প্রসঙ্গত, মতুয়া ধর্মাবলম্বী মানুষজন এদিন রেল অবরোধের আগে দুপুরে সড়ক অবরোধ করেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন চাকদহে। চাকদহের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। মতুয়াদের সেই বিক্ষোভের জেরে দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক যানজটে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সেই যানজটে আটকে পড়েছিল মন্ত্রী শশী পাঁজার গাড়িও। পরে অবশ্য মন্ত্রীর গাড়ি অন্য পথ দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। এবার সন্ধেয় চাকদহ স্টেশনের কাছে রেলগেটে অবরোধ শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours