এর আগেও মেয়ের উপর শারীরিক অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে বাবার বিরুদ্ধে।
বিয়ে, পরপর সন্তান। তারপরও শারীরিক সম্পর্কে জোর স্ত্রীকে। বাধ্য হয়ে স্ত্রী স্বামীর ঘর ছাড়তেই আবারও বিয়ে। এইভাবেই তিন তিনটি বিয়ে করেছেন বলাগড় থানা (Balagarh PS) এলাকার এক ব্যক্তি। সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এবার। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার ধৃতকে চুঁচুড়া জেলা আদালতে তোলা হয়। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এই ঘটনায় ছি ছি পড়ে গিয়েছে এলাকায়। একজন বাবার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে নিন্দায় সরব এলাকার লোকজন। শুধু বাবা হিসাবেই নন, স্বামী হিসাবেই ওই ব্য়ক্তি অত্যন্ত খারাপ বলেই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের প্রথম বিয়ে ১৫ বছর বয়সে। তিনি তখন নাবালক। বিয়ের পরপরই দুই কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। অভিযোগ, সন্তানদের জন্মের পরও নিয়মিত স্ত্রীকে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করতেন স্বামী। তা মানতে না পেরে স্বামীর ঘর ছাড়েন ওই মহিলা। মেয়ে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান। বড় মেয়ে প্রণয়ঘটিত সম্পর্কে জড়িয়ে ঘর ছাড়েন। মহিলার সঙ্গে বাপের বাড়িতে থাকত ছোট মেয়ে।
অভিযোগ, সেদিন রাতেই প্রথমপক্ষের ছোট মেয়েকে হাত, পা বেঁধে ধর্ষণ করেন বাবা। জানাজানি হলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেন। এরপর থেকে মেয়েকে ঘরে বন্দি করতে রাখতেন বলেও অভিযোগ। যদিও এরইমধ্যে কোনওভাবে ওই মেয়ে পালিয়ে দিদার বাড়ি চলে যায়। তবে বাবা আবার মেয়েকে ফিরিয়ে আনে।
এরপর ভয়ঙ্কর আরও ভয়ঙ্কর অভিযোগ ওঠে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পেঁয়াজের জমিতে মেয়েকে নিয়ে গিয়ে আবারও ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সেই থেকে ফের ঘরে বন্দি করে রাখেন মেয়েকে। পরিকল্পনা ছিল মেয়েকে নিয়ে অন্য জায়গায় চলে যাবেন। যদিও তার আগেই মেয়ের চিৎকারে সবটা জানাজানি হয়ে যায়। খবর পেয়ে বাড়িতে আসেন অভিযুক্তের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। মেয়েটি সৎমাকে সবটা জানায়। বলাগড় থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। এদিকে গ্রামের লোকজন ফুঁসতে থাকেন এই ঘটনার পর। পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রামবাসীর হাত থেকে উদ্ধার করে। ওই ব্যক্তির দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours