প্রথম ইনিংসে গ্রিন টপে মুখ থুবরে পড়েছিল বাংলার টপ অর্ডার। দ্বিতীয় ইনিংসে যে সময় ব্য়াটিং পেয়েছিল বাংলা, ব্য়াটারদের থেকে অনেক বেশি প্রত্যাশা ছিল। ওপেনিং জুটি ফের ব্য়র্থ। ফাইনালে অভিষেক হওয়া সুমন্ত গুপ্ত প্রথম ইনিংসে ১ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও ১ রানেই ফিরলেন।
ইডেন গার্ডেন্সে প্রত্য়াবর্তনের অনবদ্য় একটা উদারণ রয়েছে। টানা টেস্ট জিতে ইডেনে পা রেখেছিল অজিরা। সালটা ২০০১। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভিভিএস লক্ষ্মণ এবং রাহুল দ্রাবিড়ের সেই লড়াই আজও ইডেনের প্রতিটি ঘাসে অক্ষত। ফলোঅন খেয়েও অজি-ঔদ্ধত্য়কে চূর্ণ করেছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের ভারত। এমনই একটা প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখছে বাংলা। সম্ভব কী না, এখনই বলা কঠিন। তবে রঞ্জি ফাইনালে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিন বাংলার প্রাপ্তি অনেক। বোলিংয়ের দিক থেকে রান খরচ করলেও সৌরাষ্ট্রকে অলআউট করা গিয়েছে। প্রতিপক্ষর থেকে ২৩০ রানে পিছিয়ে থাকলেও দিনের শেষে অনেকটাই কাছে বাংলা। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি এবং ক্রাইসিস ম্যান অনুষ্টুপ মজুমদারের লড়াই। অভাবনীয় কিছুর ক্ষীণ স্বপ্ন দেখাচ্ছে। বিস্তারিত
তৃতীয় দিনের শুরুতে ব্যাকফুটে ছিল বাংলা। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি, কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা বারবার ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বললেও পারফরম্য়ান্সে তার ছাপ পাওয়া যাচ্ছিল না। তৃতীয় দিন শুরুতেই অর্পিত বাসভড়ার উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলা। প্রত্য়াশা করা হচ্ছিল, ২০০ রানের কম লিডেই সৌরাষ্ট্রকে অলআউট করার। সেটা অবশ্য় হয়নি। বাংলার নিয়ন্ত্রণহীন বোলিং এবং ফিল্ডিং-ক্য়াচ মিসে রাস্তা কঠিন হয়। সৌরাষ্ট্রর লোয়ার অর্ডারের অনবদ্য অবদান। ৪০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় সৌরাষ্ট্র। অবশেষে তাদের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪০৪ রানে। সবমিলিয়ে ২৩০ রানের লিড। মুকেশ কুমার ৪ উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসে গ্রিন টপে মুখ থুবরে পড়েছিল বাংলার টপ অর্ডার। দ্বিতীয় ইনিংসে যে সময় ব্য়াটিং পেয়েছিল বাংলা, ব্য়াটারদের থেকে অনেক বেশি প্রত্যাশা ছিল। ওপেনিং জুটি ফের ব্য়র্থ। ফাইনালে অভিষেক হওয়া সুমন্ত গুপ্ত প্রথম ইনিংসে ১ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও ১ রানেই ফিরলেন। প্রথম ইনিংসে কাঁধে চোট পাওয়া সুদীপ ঘরামি ভরসা দেন। তবে ১৪ রানের বেশি এগতে পারলেন না। প্রথম ইনিংসের মতো ব্যর্থ অভিমন্যু ঈশ্বরণও। বড় ম্যাচে রান করার হতাশা জারি রাখলেন ভারত এ দলে ধারাবাহিক খেলা অভি। বাংলাকে স্বপ্ন দেখাল অনুষ্টুপ মজুমদার-মনোজ তিওয়ারি জুটি। ক্রাইসিস ম্যান অনুষ্টুপের উইকেটের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সৌরাষ্ট্র। ৯৯ রানের জুটিতে বাংলার প্রত্য়াবর্তনের স্বপ্ন ধাক্কা খায় আরও এক বার। অনুষ্টুপকে ফেরান সৌরাষ্ট্র অধিনায়ক জয়দেব উনাদকাট। তাঁর সেলিব্রেশনই বলে দিচ্ছিল এই উইকেট কতটা দামী। ৬১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন রুকু।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours