এদিনই কাঞ্চন উৎসবের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বর্ধমানের একটি সভাস্থল থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি কাঞ্চন উৎসবের উদ্বোধন করেন।

বর্ধমানের কাঞ্চননগরে বৃদ্ধাশ্রমের কর্মকাণ্ড দেখে মুগ্ধ বিখ্যাত বলিউড তারকা সোনু সুদ (Bollywood Actor Sonu Sood)। এই বৃদ্ধাবাসের পরিচালনায় আছেন বিধায়ক (MLA) খোকন দাস ও অন্যান্যরা। খোকন দাস কাউন্সিলার হওয়ার পর থেকেই বর্ধমানের কাঞ্চননগরে শুরু করেন কাঞ্চন উৎসবের। এবারে কাঞ্চন উৎসব ১৫ তম বছরে পা দিল। প্রতিবছর বলিউড এবং টলিউডের একাধিক নামাজাদা অভিনেতা থেকে গায়ক সহ নানা ক্ষেত্রের সেলিব্রিটিদের আসতে দেখা যায় এখানে। আগে এসেছেন মাধুরী দীক্ষিত, সঞ্জয় দত্তের মতো বিখ্যাত তারকা। এসেছেন সোনু নিগম, অভিজিৎ থেকে উদিতনারায়ণ-সহ অনেক নামজাদা ব্যক্তিত্ব। এবার এলেন সোনু সুদ। প্রসঙ্গত, করোনাকালে পরিযায়ী শ্রমিক থেকে দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সকলের নজর কেড়েছিলেন সোনু। তাঁর সমাজসেবা দেখে মুদ্ধ হয়ে যায় গোটা দেশ। এবার সেই সোনু এলেন বাংলায়। তাঁর আগমণকে কেন্দ্র করে বিগত কয়েকদিন ধরেই বর্ধমানের কাঞ্চননগরে বৃদ্ধাশ্রমে ছিল সাজ সাজ রব। 


এদিনের অনুষ্ঠানে সোনু সুদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সুজিত বসু,স্বপন দেবনাথ, বিধায়ক খোকন দাস সহ এলাকার অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তিবর্গ। কাঞ্চন উৎসবে এসে নবনীড় বৃদ্ধাবাস ঘুরে দেখেন সোনু। তারপরেই খানিক আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, “এখানে আসতে পারাটা আমার কাছে একটা বড় আশীর্বাদ। খোকনবাবুরা অন্যের বাবা-মায়েদের জন্য যা করছেন তা প্রশংসার যোগ্য। আমি তাঁদের পরিবারের অংশ হতে পেরে গর্ববোধ করছি। এখানে আসতে পেরে আমার খুবই ভাল লাগছে। এখান থেকে ফিরে গিয়ে আমিও কিছু করতে চাই।” তিনি আরও বলেন, “অভিনেতাদের জীবন খুবই ছোট। সেখানে রূপোলি পর্দায় কিছু করলে তা কিছুদিন পরেই লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যায়। কিন্তু, বাস্তবিক জীবনে মানুষের জন্য কিছু করলে তার রেশ থেকে যায় গোটা জীবন। আমার মনে হয় নিজের থেকেও বেশি অন্য জন্য বাঁচতে শেখাটা খুব দরকার। আমার মা বলেছিলেন, সর্বদা তোমার হাতের মুঠো খোলা রেখো। সেই মুঠোয় যদি অন্যের খুশি ধরা থাকে তাহলে জীবন সার্থক।” 
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours