তৃণমূল মুখপাত্রের মন্তব্যের পর টিভি নাইন বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল শুভাপ্রসন্নের সঙ্গে। তিনি অবশ্য নিজের 'ত্যাগের' কথাই শোনালেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের (International Mother Language Day) এক অনুষ্ঠানে ‘পানি’, ‘দাওয়াত’-এর মতো শব্দগুলি নিয়ে বেশ আপত্তি জানিয়েছিলেন শুভাপ্রসন্ন (Subhaprasanna)। সেই মঞ্চে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী নিজের বক্তব্যের শুরুতেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, শুভাপ্রসন্নের কথার সঙ্গে তিনি একমত নন। সেদিন অনুষ্ঠানে শুভাপ্রসন্ন আর কিছু না বললেও, পরে এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী নাকি ‘রাজনৈতিক অসুবিধার’ কারণে আপত্তি জানিয়েছেন। তথাকথিত তৃণমূলপন্থী বুদ্ধিজীবী শুভাপ্রসন্নর এমন ‘বাড়াবাড়ি’ দেখে বেজায় বিরক্ত তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বক্রোক্তি শানিয়ে বলেছেন, দলের খোঁজ নেওয়া উচিত ওনার কোনও জমি বা কমিটির পদ লাগবে কি না। তাহলেই নাকি ঝামেলা মিটে যাবে। তৃণমূল মুখপাত্রের এই মন্তব্যের পর টিভি নাইন বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল শুভাপ্রসন্নের সঙ্গে। তিনি অবশ্য নিজের ‘ত্যাগের’ কথাই শোনালেন।
শুভাপ্রসন্ন বললেন, ‘কুণাল আমার অতি কাছের ও পরিচিত। ওকে আমি আর কী বা বলব? আমি কী করেছি, বা কী পেয়েছি, তা সবাই জানে। এ বিষয়ে এর থেকে বেশি কিছু আর আমার বলার নেই।’ বৃদ্ধ বয়সে এসে এই ধরনের খোঁচায় যে বেশ মর্মাহত শুভাপ্রসন্ন, তাও ফুটে উঠল শিল্পীর কথায়। নিজের বয়সের কথা উল্লেখ করে বললেন, ‘৭৬ বছর বয়সে এসে আমি আর কী নেব? আমি যা ত্যাগ করেছি, তা সবাই জানে।’
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন শুভাপ্রসন্নের মন্তব্যে আপত্তি প্রকাশ করে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, দাওয়াত বা পানি এই শব্দ গুলি ওপার বাংলার। যাঁরা ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় এসেছেন, তাঁরা ওই ভাষাকেই গ্রহণ করেছেন। সেক্ষেত্রে কারও মাতৃভাষাকে বদলে ফেলা যায় না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এদিন কুণাল ঘোষও সাংবাদিক বৈঠকে বাংলাদেশে বসবাসকারী বাঙালিদের শব্দ ব্যবহার এবং এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দাদের শব্দের ব্যবহার ও উচ্চারণের ভিন্নতার কথা তুলে ধরেন। কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘শুভাপ্রসন্ন যদি সত্যিকারের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভানুধ্যায়ী হন, তাহলে তাঁর উচিত এই অবাঞ্ছিত মন্তব্যগুলি বন্ধ করা।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours