সুযোগ কাজে লাগান নাওরেম মহেশ। ৭৫ মিনিটে আরও একটা সুযোগ আসে সুহেরের কাছে। তাঁর শট ব্লক হলেও ফিরতি বল পান সুহের। অনেক ভালো পজিশনে উঠে আসছিলেন সেই মহেশই।


দু-দলের কাছেই নিয়মরক্ষার ম্যাচ। তবে ভিন্ন আঙ্গিকে। মুম্বই সিটি এফসির প্লে-অফ এবং লিগ শিল্ড জয়, দুটোই নিশ্চিত। প্লে-অফের প্রস্তুতিতেই নজর তাদের। রিজার্ভ বেঞ্চকে দেখে নেওয়ার সুযোগ। তেমনই ইস্টবেঙ্গলের কাছেও এই ম্যাচ ছিল মর্যাদা রক্ষার। প্লে-অফের দৌড় থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ডার্বির আগে পারফরম্য়ান্সে উন্নতি হলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়ার পর থেকেই ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন বার বার বলেছেন, মর্যাদা রক্ষার জন্য়ই লড়াই করবে তাঁর দল। পারফরম্য়ান্সে অবশ্য় সেই ছাপ ধরা পড়েনি। অবশেষে জয়ের মুখ দেখল ইস্টবেঙ্গল। শক্তিশালী মুম্বই সিটি এফসির ডেরায় ১-০ জয় অনেক দিক থেকেই ইতিবাচক দিক ইস্টবেঙ্গলের জন্য। বিস্তারিত 


গত ম্যাচের প্রথম একাদশ থেকে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে একটিই পরিবর্তন করেছিল ইস্টবেঙ্গল। জর্ডন ডো’হার্তির পরিবর্তে শুরু থেকে খেলানো হয় অ্যালেক্স লিমাকে। প্রথমার্ধে বেশ কিছু গোলের সুযোগ তৈরি করলেও কাজে লাগাতে ব্য়র্থ ইস্টবেঙ্গল। তেমনই প্রথমার্ধে গোল না খাওয়াও ইতিবাচক দিক লাল-হলুদ শিবিরে। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে বেশ কিছুটা চাপে পড়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তাদের ডিফেন্সের ভুলেই বল পায় মুম্বই সিটি এফসি। রওলিন বোর্জেস গোলে শট নিলেও ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার কমলজিতের হাতে ডিফ্লেকশনে তা পোস্টে আটকে যায়। না হলে গোলশূন্য় স্কোর লাইনে বিরতিতে যেতে পারতো না ইস্টবেঙ্গল।



দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অপ্রত্য়াশিত ঘটনা। লাল-হলুদের যা ধারাবাহিকতা, তাতে অপ্রত্যাশিতই বলা যায়। দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল অনেক বেশি আক্রমণাত্মক শুরু করে। বেশ কয়েকটি পজিটিভ আক্রমণ হয়। ৫২ মিনিটে লিগ শিল্ড জয়ী মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ বক্সের মধ্যে ভিপি সুহেরের পায়ে বল। অনেক ভালো পজিশনে ছিলেন নাওরেম মহেশ। দেরী না করে তাঁকেই পাস দেন সুহের। সুযোগ কাজে লাগান নাওরেম মহেশ। ৭৫ মিনিটে আরও একটা সুযোগ আসে সুহেরের কাছে। তাঁর শট ব্লক হলেও ফিরতি বল পান সুহের। অনেক ভালো পজিশনে উঠে আসছিলেন সেই মহেশই। সুহের গোলে শট না করে পাস বাড়ালে হয়তো লিড বাড়াতে পারতো ইস্টবেঙ্গল। সুহেরের শট গোলকিপারের হাতে। পরিসংখ্য়ান বলছে, এ মরসুমে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কোনও দল ক্লিন শিট রাখতে পারেনি! ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গলে এই রেকর্ড ভেঙে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিতেই পারে। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে মুম্বইয়ের যাবতীয় আক্রমণ আটকে যায় ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সে। গোলকিপার কমলজিত বেশ কিছু সেভও করেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours