এমনও সূত্রের দাবি, পার্থর সঙ্গে কলকাতায় একান্তে দেখাও করেছেন বিভাগ অধিকারী। এই বিভাসকে নিয়ে বীরভূমে দলের অন্দরেই ক্ষোভ রয়েছে বলেও দাবি সূত্রের।


এবার ইডির স্ক্যানারে বিভাস অধিকারী (Bivash Adhikary)। সূত্রের খবর, এক সময় সক্রিয় তৃণমূল করতেন বিভাস। তবে “আমি কোনও সক্রিয় রাজনীতি করি না” বলেই এখন দাবি বিভাসের। এই বিভাসের সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেছেন গোপাল দলপতি। এমনও সূত্রের খবর, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘গুরুভাই’ তিনি। অর্থাৎ গোপালের পর এবার বিভাসকে ঘিরেও রহস্যের পরত বাড়ছে। এমনও সূত্রের দাবি, শিক্ষা ‘দুর্নীতি’র সূচনাপর্বে বিভাসই নাকি পার্থর ‘গুরু’ ছিলেন। বিভাস বীরভূমের নলহাটির তৃণমূল নেতা ছিলেন। সেখানে তাঁর ঘনিষ্ঠমহলের একাংশের মুখেই উঠে এসেছে এমন তথ্য। বীরভূমের রামপুরহাট পার হয়ে নলহাটি। সেই নলহাটি-২ ব্লকের শীতলপুর গ্রামপঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুর গ্রামে বাড়ি বিভাসের। সূত্রের দাবি, ধর্মীয় নামগানের আড়ালে দুর্নীতির ফাঁদ পেতেই বিভাসের হাত পাকানো শুরু। রাজ্যে পালাবদলের পর দ্রুত তৃণমূলের অন্দরে ঢুকে পড়েন। শিক্ষা সংক্রান্ত টুকটাক পরামর্শ দেওয়া, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করতেন বলেও সূত্রের দাবি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর দ্রুত তাঁর ঘনিষ্ট হয়ে ওঠেন। আস্থাভাজনও হয়ে ওঠেন বলেই তদন্তকারী সংস্থা জানতে পেরেছে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হয়ে যান।



এমনও সূত্রের দাবি, পার্থর সঙ্গে কলকাতায় একান্তে দেখাও করেছেন বিভাস অধিকারী। এই বিভাসকে নিয়ে বীরভূমে শাসকদলের অন্দরেই ক্ষোভ রয়েছে বলেও দাবি সূত্রের। মৌখিক ভদ্রতা রাখলেও জেলার নেতা-মন্ত্রীরাও এই বিভাসের পাত্তা পেতেন না বলেই সূত্র মারফত খবর। সবথেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য, প্রাথমিট টেটে একেবারে প্রথমপর্বে ২ হাজার ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগে এই বিভাসের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। আর সেই সূত্র ধরেই খোঁজ চালাচ্ছে ইডি।

যদিও এ নিয়ে বিভাস অধিকারী বলেন, “আমি চাই আসল সত্য প্রকাশ্যে আসুক। কোনও অবৈধ কিছু নেই। ১০০ বার ডাকলে ১০০ বার যাব। আমি কোনও সক্রিয় রাজনীতি করি না। আগামিদিনে ইডি বা সিবিআই ডাকলে অলওয়েজ ওয়েলকাম। প্রথম থেকে বলে আসছি। ইডি তদন্ত করেছে। আমার যাবতীয় কাগজপত্র যা চেয়েছিল, সবই জমা দিয়েছি। ওরা আজ পর্যন্ত কিছুই পায়নি।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours