রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি, কংগ্রেস ও বামেদের এই জোট পঞ্চায়েত ভোটের আগে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের পর এবার এগরা। সমবায় সমিতির ভোটে জয় জয়কার বাম-বিজেপি জোটের। খাতাই খুলতে পারল না ঘাসফুল শিবির। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ ব্লকের সর্বদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের নস্করপুর সমবায় সমিতির ভোটে বিপুল জয় পেলেন প্রগতিশীল সমবায় জোটের প্রতিনিধিরা। নস্করপুর সমবায় সমিতির মোট ভোটার ৯২৪। ভোট পড়েছে ৮২৭টি। আসন সংখ্যা ছিল ৯টি। ৯টি আসনেই বিপুল ভোটে জয়ী বিজেপি, বাম ও জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। এদিন নির্বাচন উপলক্ষে সকাল থেকেই আটবাটি হাইস্কুলে ব্যাপক সংখ্যক এগরা থানার পুলিশ মোতায়েন ছিল। ভোটে জেতার পর গেরুয়া আবির মেখে জয় শ্রী রাম ধ্বনি তুলে উল্লাসে মাতেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। পাশাপাশি বামেদের তরফে একে অপরকে লাল তিলক লাগিয়ে ইনকিলাব স্লোগান তোলা হয়। বিরোধীদের দাবি, আগামী পঞ্চায়েত ভোটে এই ভাবেই তৃণমূল গোহারা হারবে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি, কংগ্রেস ও বামেদের এই জোট পঞ্চায়েত ভোটের আগে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটে শাসক দলকে হারাতে বিভিন্ন এই জোটকে মডেল করে এগোতেও পারে বিরোধীরা। তবে বিরোধীদের এই জোটকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ঘাসফুল শিবির।
নস্করপুর সমবায় সমিতির বাম সমর্থিত জয়ী প্রার্থী চন্দন চাটিয়াল বলেছেন, “শাসকদলের দুর্নীতি এবং মস্তানি সাধারণ মানুষ আর চাইছে না। যাঁরা আমাদের আশীর্বাদ করেছে তাঁদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানায়।” অপর জয়ী প্রার্থী অনিল পান্ডা বলেছেন, “প্রগতিশীলের পক্ষ থেকে আমরা ৯ জন নির্বাচিত হয়েছি। শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমরা মিলিতভাবে লড়াই করছিলাম। মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।”
এই জয় নিয়ে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি দেবব্রত আচার্য বলেছেন, “তৃণমূল সরকারের প্রতি মানুষের ঘৃণা দেখিয়ে দিল এই সমবায় সমিতির ভোট। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে সাফ করে দেবে।” কাঁথি জেলা বিজেপি সভাপতি সুদাম পন্ডিত বলেছেন, “তৃণমূল যত মানুষকে ভয় দেখাবে, তত মানুষ জবাব দেবে। তৃণমূলের অত্যাচার থেকে বাঁচতে সমিতির নির্বাচনে সব মানুষ এক হয়েছে।” সর্বোদয় অঞ্চল তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সত্যব্রত দাস বলেছেন, “পঞ্চায়েত ভোটের সঙ্গে সমবায় সমিতির ভোটের কোনও মিল নেই। সবাই মিলে ঝুলে জোট করেছিল। আমরা হয়তো বোঝাতে পারিনি সমিতির সদস্যদের।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours