বাংলার ইনিংসে শুরুতেই ধাক্কা দেন চেতন সাকারিয়া। ইডেনের যে সবুজ উইকেটে বাংলার বোলাররা অর্পিত, হার্ভিক, চিরাগ, শেলডনদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেননি, সেখানে ফের ব্যর্থ সুমন্ত গুপ্ত, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, সুদীপ ঘরামিরা।



রঞ্জি ট্রফিতে কিছুটা হলেও লড়াই চালাল বাংলা। একপেশে ফাইনালে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেন মনোজরা। তৃতীয় দিনের সকালে সৌরাষ্ট্রকে আরও অল্পের মধ্যে বেঁধে ফেলতে পারলে, লড়াইটা কিছুটা হলেও সহজ হত অনুষ্টুপদের কাছে। ঈশ্বরণদের ক্যাচ মিসের সৌজন্যে শেষ উইকেটেও ৩৫ রানের পার্টনারশিপ করে গেল সৌরাষ্ট্র। আর তাতে ম্যাচে অ্যাডভান্টেজ উনাদকাটরা। বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৭৪ রানে। সৌরাষ্ট্রের প্রথম ইনিংস শেষ হল ৪০৪ রানে। ২৩০ রানের লিড অর্পিত, চিরাগদের স্কোরবোর্ডে। বাংলার হয়ে ৪ উইকেট নেন মুকেশ কুমার। ৩টে করে উইকেট সংগ্রহ করেন আকাশদীপ আর ঈশান পোড়েল। সর্বোচ্চ ৮১ রান করেন অর্পিত বাসভড়া। ৬০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন চিরাগ জানি। লাস্ট ডাউন ধর্মেন্দ্র জাডেজা ২৯ রানের মূল্যবান ইনিংস উপহার দিয়ে যান। বিস্তারিত 



তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সৌরাষ্ট্রের কোচ নীরজ ওদেদরা বলেন, ‘তৃতীয় দিনের শেষ কয়েক ঘণ্টা দেখে বলা যেতে পারে, বাংলা কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তবে এখনও ম্যাচে সিদ্ধান্তের কোনও জায়গা আসেনি। এখনও দুটো দিন বাকি আছে। এটাই রঞ্জি ট্রফির মজা। তিন দিন শেষেও বলা যায় না কে এগিয়ে বা কে পিছিয়ে। এখনও অনেক কিছু হওয়ার বাকি আছে।’


বাংলার ইনিংসে শুরুতেই ধাক্কা দেন চেতন সাকারিয়া। ইডেনের যে সবুজ উইকেটে বাংলার বোলাররা অর্পিত, হার্ভিক, চিরাগ, শেলডনদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেননি, সেখানে ফের ব্যর্থ সুমন্ত গুপ্ত, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, সুদীপ ঘরামিরা। অনুষ্টুপ মজুমদার আর মনোজ তিওয়ারি চতুর্থ উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। তবে ব্যক্তিগত ৬১ রানে অনুষ্টুপকে ফেরানোর পর উনাদকাটের সেলিব্রেশন বুঝিয়ে দিল এই উইকেটটারই লক্ষ্যে তাঁরা ছিল। ক্রিজে রয়েছেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি ও প্রথম ইনিংসে অর্ধশতরান করা শাহবাজ আহমেদ। হাতে এখনও ৬ উইকেট। যদিও দিনের খেলা শেষে সৌরাষ্ট্রের কোচ বললেন, ‘দুটো উইকেট তুলতে পারলেই আমরা আবার ম্যাচে ফিরে আসব।’
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours