138টি বেটিং অ্যাপ এবং 94টি ঋণ দেওয়ার অ্যাপে চিনা লিঙ্ক থাকার কারণে ব্যান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। এই 232টি অ্যাপ কীভাবে ভারতীয়দের ক্ষতি করছিল, জেনে নিন।
ফের একগুচ্ছ চিনা অ্যাপ ব্যানের সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার। সেই তালিকায় রয়েছে 138টি বেটিং অ্যাপ এবং 94টি ঋণ দেওয়ার অ্যাপ। চিনা লিঙ্ক থাকার কারণেই এই 232টি অ্যাপ-কে জরুরি ভিত্তিতে ব্যান করারর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। কেন্দ্রের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকে একটি বিশেষ সূত্র মারফত দাবি করা হয়েছে, সরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এই নির্দেশ আসার পরেই তড়িঘড়ি অ্যাপগুলিকে ব্যান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ, ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার প্রতি ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে অ্যাপগুলিতে। কেন্দ্রের আইটি আইনের 69 ধারার অধীনে তা নিশ্চিত করার পরে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। এই অ্যাপগুলি চিনের মানুষজনের মস্তিষ্কপ্রসূত এবং ভারতীয়দের নিয়োগ করে তারা নিজেদের মতো করে পরিচালনা করছিল।
কীভাবে কাজ করে অ্যাপগুলি?
সংবাদমাধ্যম ANI-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথমে হতাশ ব্যক্তিদের একটি ঋণ নেওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করা হয় এবং তারপরে বার্ষিক 3,000 শতাংশ পর্যন্ত সুদে ঋণের অফার দেওয়া হয়। ঋণখেলাপিরা যখন সুদ পরিশোধে করতে অপারগ হয়, তখন এই অ্যাপগুলির প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিরা ঋণগ্রস্তদের তাঁদের হয়রানি করতে শুরু করে। কখনও অশ্লীল বার্তা পাঠিয়ে, কখনও আবার ছবি মর্ফ করে তা অনলাইনে ছেড়ে দেওয়ারও হুমকি দেয় অ্যাপের প্রতিনিধিত্বকারীরা। শুধু তাই নয়। ঋণখেলাপিদের পরিচিত মানুষজনকেও ফোন করে বিরক্ত করা হয়।
কখন জানাজানি হয়?
ভয়ঙ্কর এই ঘটনা সম্পর্কে তখনই খুব হইচই শুরু হয়, যখন অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানার মানুষজন অ্যাপগুলি ব্যবহার করে ঋণ নেয় এবং তা পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করে। তারপরই দেশের বেশ কিছু রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গোয়ান্দা সংস্থাগুলি দেশের সরাষ্ট্রমন্ত্রককে এই অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে।
বিভিন্ন রাজ্যের কাছ থেকে রিপোর্ট এবং ইনপুটগুলি পাওয়ার পরে কেন্দ্রের সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মোট 28টি চিনা অ্যাপ সম্পর্কে বিশ্লেষণ করা শুরু করে, যেগুলি এইভাবে দেশের মানুষজনকে ঋণ দিয়ে আসছিল। তারপর তারা লক্ষ্য করে সংখ্যাটি আরও বেশি, 94টি অ্যাপ ই-স্টোরে উপলব্ধ এবং আরও বেশ কয়েকটি থার্ড পার্টি লিঙ্কের মাধ্যমে কাজ করছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours