একদিকে গোয়েন্দাদের একটি টিম পৌঁছে গিয়েছে তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষের বাড়িতে। অন্যদিকে তল্লাশি চলছে শান্তনুর বাড়িতেও।
নিয়োগ দুর্নীতিতে আবারও অস্বস্তিতে শাসক দল! অভিযোগ সামনে আসছে শাসক দলের আরও দুই নেতার বিরুদ্ধে। এবার হুগলির বলাগড়ে পৌঁছে গেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শুক্রবার সকালেই বলাগড়ের তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদ সদস্য শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে ইডি-র একটি টিম। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলেই সূত্রের খবর। বাইরে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ১১ জনের টিমে রয়েছেন ইডি-র মহিলা আধিকারিকরাও। এদিনই সকাল থেকে তল্লাশি চালানো হচ্ছে হুগলির আরও এক তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের ফ্ল্যাটে। চিনার পার্কের আবাসনে জোড়া ফ্ল্যাটে তল্লাশি চলছে।
মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাজ করে একের পর এক নাম এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে। তাঁদের মধ্যে শান্তনু অন্যতম বলে সূত্রের খবর। বর্তমানে তিনি হুগলি জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের স্থায়ী সদস্য।
জিরাট কলেজে পড়াশোনা শেষ করার পর ২০০৫ সালের দিকে জিরাট বাসস্ট্যান্ডে মোবাইলের সিম আর প্রসাধনীর দোকান চালাতেন এই শান্তনু। তাঁর বাবা ছিলেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী। বাবার মৃত্যুর পর শান্তনু বিদ্যুৎ দফতরের কাজে নিযুক্ত হন। সেই সময় থেকেই একটু একটু করে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন তিনি।
জিরাট কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দায়িত্ব পান প্রথমে। পরে ব্লকের পাশাপাশি জেলাতেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিলেন দীর্ঘদিন। এরপর যুব সংগঠনের জেলা সভাপতিরও দায়িত্বে ছিলেন কিছুদিন। তারপর রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ সভাপতির দায়িত্বও পেয়েছিলেন। হুগলি জেলার পাশাপাশি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যুব তৃণমূলের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours