কাকলি লিখিত অভিযোগ করেন, কাঁথির একটি রাস্তার কাজ শেষ না করে টাকা নেওয়া হয়েছে। ঠিকাদার রামচন্দ্র পাণ্ডার ঠিকাদারি করার শংসাপত্র নেই।

 কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় এবার তলব করা হল মূল অভিযোগকারিনী কাকলি পাণ্ডা। কাকলি কাঁথির ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু পাণ্ডার স্ত্রী। আগেই বাড়িতে গিয়ে কাকলির বয়ান রেকর্ড করেছিলেন সিবিআই তদন্তকারী আধিকারিকরা। কাকলির সঙ্গে এদিন তলব করা হয়েছে শান্তুকেও। বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় কাকলি পণ্ডা ও তাঁর স্বামীকে নিয়ে আসা হয়। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ফের তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে। এদিকে, টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় আজ ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে কাঁথি থানার সাব ইন্সপেক্টর অনির্বান রায়কে। জানা যাচ্ছে, কাকলি পণ্ডার সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে পুলিশ কর্তাকে।



গত ২৪ ডিসেম্বর কাঁথি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রী কাকলি। অভিযোগ ছিল শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ রামচন্দ্র পাণ্ডার বিরুদ্ধে।

কাকলি লিখিত অভিযোগ করেন, কাঁথির একটি রাস্তার কাজ শেষ না করে টাকা নেওয়া হয়েছে। ঠিকাদার রামচন্দ্র পাণ্ডার ঠিকাদারি করার শংসাপত্র নেই। ২৭ ডিসেম্বর রামচন্দ্রকে গ্রেফতার করে কাঁথি থানার পুলিশ। হাইকোর্টের নির্দেশে জানুয়ারিতে জামিন পান রামচন্দ্র।

নিঃশর্ত জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরই পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। প্রকাশ্যে এসে বিস্ফোরক দাবি করতে থাকেন তিনি। রামচন্দ্রের বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিতে তাঁর ওপর চাপ তৈরি করা হয়েছিল। রামচন্দ্রের কথায়, “আমাকে শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিতে মারাত্মক চাপ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা থেকে আধিকারিকরা এসে টেবিলে রিভলভার রেখে আমাকে জেরা করেছেন। নিরাপত্তারক্ষী বন্দুক দিয়ে আমার পেটে খোঁচা দিয়েছে। কলকাতার আধিকারিকরা হুমকি দিয়েছেন, শুভেন্দুর নাম না বললে ৩ বছর জেলে ভরে রেখে দেব।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours