কলাবেড়িয়া সমবায়ে মোট ৯টি আসন। সূত্রের খবর, বিজেপি এখানে প্রার্থী দিতে পারেনি। তৃণমূলের দাবি, তাদের ভোটের শতাংশ বেড়েছে।

তৃণমূলকে হারিয়ে পদ্মগড়ে উড়ল লাল আবির (Left Candidate)। ভগবানপুরের কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচনে উড্ডীন লাল পতাকা। একুশের বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে জিতেছে বিজেপি। অন্যান্য সমবায়ে তৃণমূলের ফলও ভাল। তবে কলাবেড়িয়া কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে জয়জয়কার বাম সমর্থিত প্রার্থীর। রবিবার এই ভোটের ফলে আত্মবিশ্বাসী বামেরা। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিঃসন্দেহে বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে তাদের। তবে এই ভোটকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল-বিজেপি। তাদের দাবি, এ ভোটকে সামনে রেখে পঞ্চায়েত ভোটে বিশেষ লাভ হবে না। কলাবেড়িয়া সমবায়ে মোট ৯টি আসন। সূত্রের খবর, বিজেপি এখানে প্রার্থী দিতে পারেনি। তৃণমূলের দাবি, তাদের ভোটের শতাংশ বেড়েছে। তবে ৯’এ ৯ বামের প্রার্থীরা। বাম সমর্থক সরস্বতী বেরার কথায়, “বামফ্রন্টের তরফে ৯ জন প্রার্থী আমরা দিয়েছিলাম। প্রত্যেকেই আমরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছি। বিরোধীরা পরাস্ত হয়েছে। আমাদের দলের তরফে তো আনন্দ হচ্ছেই, একইভাবে সমবায় সমিতিতেও আমরা খুশি।”



এ বিষয়ে কলাবেড়িয়া সমবায় সমিতির বিদায়ী সম্পাদক পিনাকীরঞ্জন দাস বলেন, “আমরা বিপুল ভোটে জিতেছি। অসংরক্ষিত আসনে ৬ জন, মহিলা সংরক্ষিত আসনে ২ জন, তফশিলি জাতি উপজাতি আসনে ১ জন জয়ী হয়েছি। আমাদের মহিলা সংরক্ষিত আসনে সবথেকে বেশি ভোট পেয়েছে। সকলে আমাদের উপর ভরসা রেখেছেন। আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল।”

এই ফলাফল নিয়ে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, “ওই সমবায় সমিতি একটা নির্দিষ্ট সীমা। ওখানে নতুন কোনও সদস্যকে নেওয়া হয়নি। ওই সমবায় সমিতিটা বাম আমল থেকে বামপন্থী সমর্থকদের নিয়েই চলছে। কোনওভাবে ওখানকার শেয়ার হোল্ডার বা অন্য কোনও বিষয় আসেনি। ওটা একটা ছোট সমবায় সমিতি। মুষ্টিমেয় কিছু লোকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। স্বাভাবিকভাবে এই সমবায় সমিতির নির্বাচনকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। ওখানে নির্বাচন হয়ই না। ওখানে মানুষের ভোটের বিষয়ে অতটা আগ্রহও নেই। তাই ওটাকে গুরুত্ব দেয় না কেউ।

তবে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাসের কথায়, “কলাবেড়িয়া কৃষি উন্নয়ন সমিতির আজ ভোট ছিল। এটা আসলে বহু বছর ধরে বামেদের হাতেই। সমবায়ের ভোট অন্যরকমই হয়। একই পরিবারের সদস্যরা ভোটার হয়ে থাকে। বাবা, মা, ছেলে, বৌমা সকলেই ওদের ভোটার। তাই ফল খারাপ হয়েছে। তবে এ নিয়ে সমস্যার কিছু নেই। আমরা আগে থেকে অনেকটা এগিয়েছি এখানে। গত ভোটের তুলনায় এবার ভোটের শতাংশ বেড়েছে। তবে এই ভোট একটা পারিবারিক সমিতির। এক একটা পরিবারে সিপিএম ৫টা ৭টা ভোট তৈরি করে রেখেছে। আর সিপিএম বিজেপি একসঙ্গে লড়াই করেছে। তাই এই ফল। তবে ভগবানপুর-১ ব্লকের যতগুলো সমবায় সমিতির নির্বাচন হয়েছে, সব জায়গায় মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করেছে। একটা আধটা গিয়েছে, গণতান্ত্রিকভাবেই উদ্ধার হবে। তাতে আমরা হতাশও নেই, বলারও কিছু নেই।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours