সেখানে আগে থেকেই কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা অপেক্ষা করছিলেন। এলাকার কিছু বাসিন্দার কাছ থেকে আবাস নিয়ে অভিযোগপত্রও গ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ। কালো পতাকা দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনা ঘটেছে মালদার উত্তর চণ্ডীপুর গ্রামে। আবাস দুর্নীতি নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। মন্ত্রী পুরোপুরি কথা না শুনে চলে যাওয়ায়, তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয় বলে অভিযোগ। বিক্ষোভ দেখানো হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ঘিরেও। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই ‘বন্দে ভারত’এক্সপ্রেসে মালদায় পৌঁছন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাটিল। মালদা স্টেশনে নেমেই আবাস যোজনা নিয়ে উঠে আসা একাধিক দুর্নীতি প্রসঙ্গে কথা বলেন। বুধবার তিনি মানিকচকে উত্তর চণ্ডীপুর এলাকায় যান। সেখানে বিএস হাইস্কুলে ঢোকেন। সেখানে আগে থেকেই কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা অপেক্ষা করছিলেন। এলাকার কিছু বাসিন্দার কাছ থেকে আবাস নিয়ে অভিযোগপত্রও গ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
কিন্তু এই খবর চাউর হয় মুহূর্তের মধ্যেই। অভিযোগ জানাতে আরও গ্রামবাসী সেখানে জড়ো হয়ে যান। তাঁরা প্রত্যেকেই চেয়েছিলেন সরাসরি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অভিযোগ জানাতে। এরপর সরাসরি উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতরে ঢোকেন মন্ত্রী। গ্রামবাসীরা অভিযোগ জানাতে চেয়েও জানাতে পারেননি। মন্ত্রী আর কারোর সঙ্গেই কথা না বলে পঞ্চায়েত দফতরে ঢুকে পড়েন। কিন্তু সেখান থেকে তিনি বেরোতেই গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়েন। বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি কালো পতাকাও দেখান তাঁরা। এলাকায় সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়।
এক বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি বলেন, “অভিযোগ তো অনেক রয়েছে। আমরা সেগুলো জানাব বলেই এসেছিলাম। কিন্তু সেগুলো একটাও শোনেননি।” কালো পতাকা হাতে নিয়েই আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, “কেবলমাত্র ভোটব্যাঙ্কের জন্য এসেছে। আমাদের কোনও কথাই শোনেননি। আমাদের দাবি ছিল গঙ্গাভাঙন রোধ। সে ব্যাপারেও কোনও কথা শোনেননি।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours