রুশ আধ্যাত্মিক নেতা প্যাট্রিয়ার্ক কিরিলের অনুরোধে অর্থোডক্স ক্রিসমাস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি), ইউক্রেনে অস্থায়ীভাবে যুদ্ধবিরতির নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট

২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর কথা ঘোষণা করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে প্রায় এক বছর কেটে গিয়েছে। অবশেষে, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেন পুতিন। তবে, মাত্র দুই দিনের জন্য। ক্রেমলিন জানিয়েছে, ৬ ও ৭ জানুয়ারি – এই দুই দিন যুদ্ধ বন্ধ রাখবে রাশিয়া। রুশ আধ্যাত্মিক নেতা প্যাট্রিয়ার্ক কিরিলের অনুরোধে অর্থোডক্স ক্রিসমাস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি), ইউক্রেনে এই অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ক্রেমলিন থেকে এদিন এই বিষয়ে পুতিনের বিবৃতিতে প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, “প্যাট্রিয়ার্ক কিরিলের আবেদন বিবেচনা করে, আমি রুশ ফেডারেশনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে ৬ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে ৭ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত ইউক্রেন সীমান্ত বরাবর যুদ্ধবিরতির নির্দেশ দিচ্ছি।”

রাশিয়া এবং ইউক্রেনের বাসিন্দারা অধিকাংশই অর্থোডক্স খ্রিস্টান। অর্থোডক্স খ্রিস্টানরা ক্রিসমাস উদযাপন করে ৬-৭ জানুয়ারি। বৃহস্পতিবার, রুশ অর্থোডক্স চার্চের প্রধান মস্কোর প্যাট্রিয়ার্ক কিরিল এই ক্রিসমাস উপলক্ষে রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই পক্ষকেই যুদ্ধবিরতি পালনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিয়েভ বলেছিল এটা আসলে একটা ‘জঘন্য ফাঁদ’। প্যাট্রিয়ার্ক কিরিলের আবেদনের কয়েক ঘণ্টা পরই ভ্লাদিমির পুতিন এই আদেশ দেন। পুতিন বলেন, “অর্থোডক্সিতে বিশ্বাসী বিপুল সংখ্যক নাগরিক যুদ্ধ এলাকায় বসবাস করেন। ক্রিসমাসের আগের দিন এবং সেইসঙ্গে ক্রিসমাসের দিন তাঁদের গির্জার পরিষেবাগুলিতে যোগ দেওয়ার জন্য আমরা ইউক্রেনকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর থেকে এই প্রথম পূর্ণ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল রাশিয়া। এর আগে, ২৫ ডিসেম্বর ক্যাথলিক ক্রিসমাস এবং নববর্ষ উপলক্ষে, ছুটির দিনগুলিতে রাশিয়াকে যুদ্ধ বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছিল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু, সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি মস্কো। বদলে, ২৫ ডিসেম্বর নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল কিয়েভ, খারকিভ-সহ ইউক্রেনের প্রধান প্রধান শহরগুলিতে। বড়দিন উপলক্ষে ইউক্রেনে আলোর সাজও ছিল ম্রিয়মান। বৃহস্পতিবারই রুশ প্রেসিডন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান। সূত্রের খবর, তিনিও ইউক্রেনে একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার জন্য পুতিনকে অনুরোধ করেন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours