প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে কলকাতার নজরুল মঞ্চে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যয়সঙ্কোচ, লোভ সংবরণের কথা বলেছিলেন। তারপরেও খোদ বিধায়কের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দেদার খরচ নিয়ে ওঠে প্রশ্ন।


আজ আমি ৬০ বছরে পা দিলাম। দুদিন পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) ৬৮ বছরে পা দিতে চলেছেন। আগামী ৫ তারিখ তাঁর জন্মদিন। ওই দিন ৬৮ পাউন্ড কেক কেটে আমরা তাঁর জন্মদিন পালন করব।” ৩ জানুয়ারি নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের মধ্যেই এ কথা বলতে শোনা গিয়েছিল ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন (Humayun kabir) কবিরকে। তবে কথা রাখলেন তিনি। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর ৬৮ তম জন্মদিন উপলক্ষে ৬৮ পাউন্ড কেক কেটে তা উদযাপন করলেন হুমায়ুন কবির। এদিনই আবার তাঁর এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি শুরু হয়। এই কর্মসূচির শুরুতেই চার চারটি বড় কেক কাতে দেখা যায় বিধায়ককে। উপস্থিত ছিলেন ভরতপুর ও সালারের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।
নিজের জন্মদিনে দিদির জন্মদিনের উদযাপনের ঘোষণা করতে গিয়ে বস্ত্র বিতরণের কথাও বলতে শোনা গিয়েছিল হুমায়ুনকে। সেই কথা রেখেছেন তিনি।এদিনের দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির পর বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রায় এক হাজার জনকে শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়। এদিকে আগের দিন নিজের জন্মদিনে যে কেক কেটেছিলেন দাম ছিল আনুমানিক ৪৫ হাজার টাকা। এমনকী জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এলাহি ভূরিভোজেরও আয়োজন করা হয়েছিল। আমন্ত্রিত ছিলেন কমপক্ষে ৫ হাজার মানুষ। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল জেলার রাজনৈতিক মহলে। 

তবে এদিনের কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, “আগেও আমাদের দলের তরফ থেকে দিদিকে বলো কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। তাতে আমাদের দল অনেক সাফল্য পেয়েছে। অনেক অবহেলিত-বঞ্চিত মানুষ সাহায্য পেয়েছে। এখন যে দিদির রক্ষাকবচ কর্মসূচি আনা হয়েছে তাতে মানুষের সঙ্গে আরও নিবিড় জনসংযোগ করা সম্ভব হবে।” এরপরই বিরোধীদের একহাত নিয়ে ভরতপুরের বিধায়ক বলেন, “আমার বিধানসভায় এখন বিরোধীদের দেখতেই পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্ষিপ্তভাবে অনেক কিছু বলছে। কিন্তু তৃণমূলের কংগ্রেস কর্মীরা এখানে যথেষ্ট শক্তিশালী। বিরোধীরা এখানে মাত্র ১০ শতাংশ।”



Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours