চতুর্থ ইনিংসে মুম্বইয়ের জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২১২ রান। শুরু থেকেই একদিনের মেজাজে ব্য়াট করে মুম্বই। পৃথ্বী শ ১৭ বলে ১৫ রানে ফেরেন। যশস্বী জয়সোয়াল ৬০ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৩৭-৩ স্কোরে দিনের খেলা সমাপ্তি হয়, প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে ৩ পয়েন্ট মুম্বইয়ের।
রঞ্জি ট্রফিতে অঘটন! এমনটাই কি বলা যায়? কাগজে কলমে তুলনামূলক অনেক শক্তিশালী কেরল। তাদেরকে হারিয়ে দিল আন্ডারডগ গোয়া। মূলত দ্বিতীয় ইনিংসে ব্য়াটিং ব্য়র্থতার জেরেই কেরলের এমন ফল। অন্য দিকে, ছত্তিশগঢ়কে হারাল মায়াঙ্ক আগরওয়ালের নেতৃত্বাধীন কর্ণাটক। মুম্বই অবশ্য় জিততে ব্যর্থ। যশস্বী জয়সোয়ালের মরিয়া লড়াইও যথেষ্ঠ ছিল না মুম্বইয়ের সরাসরি জয়ের জন্য। তবে এ দিন শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে গোয়ার পারফরম্য়ান্সই। রঞ্জি ট্রফির আরও কয়েকটি ম্যাচের বিস্তারিত রিপোর্ট
কেরল বনাম গোয়া ম্য়াচ। প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রান করেছিল কেরল। শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন রোহন প্রেম। জবাবে প্রথম ইনিংসে গোয়া ৩১১ রান করে গুরুত্বপূর্ণ লিড নেয়। ওপেনার ঈশান গাদেকর ২০০ বলে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন। লোয়ার অর্ডারে গোয়াকে ভরসা দেন সিদ্ধেশ লাড ও অধিনায়ক দর্শন মিশাল। গোয়ার প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়া এবং দ্বিতীয় ইনিংসে কেরলকে মাত্র ২০০ রানে অলআউট করার পরই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল অঘটনের। জয়ের জন্য গোয়ার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫৫। দ্বিতীয় ইনিংসেও গোয়া ব্যাটিংকে ভরসা দেন ওপেনার ঈশান গাদেকর। অপরাজিত ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তেমনই মিডল অর্ডারে সিদ্ধেশ লাডের অপরাজিত ৩৩ রানের ইনিংস। ৭ উইকেটে জেতে গোয়া।
মায়াঙ্ক আগরওয়ালের নেতৃত্বাধীন কর্ণাটক ৭ উইকেটে হারাল ছত্তিশগঢ়কে। প্রথম ইনিংসে ৩১১ করেছিল ছত্তিশগঢ়। অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়ালের শতরানের সৌজন্য়ে প্রথম ইনিংসে ৩৬৬ রান করে লিড নেয় কর্ণাটক। দ্বিতীয় ইনিংসে কর্ণাটক মিডিয়াম পেসার বিজয়কুমারের সামনে কার্যত অসহায় আত্মসমর্পণ ছত্তিশগঢ়ের। পাঁচ উইকেট নেন তিনি। এ ছাড়াও স্পিনার কৃষ্ণাপ্পা গৌতম ২টি উইকেট নেন। ছত্তিশগঢ় মাত্র ১৭৭ রানেই অলআউট। কর্ণাটকের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৩ রান। দুই ওপেনার রবিকুমার সামর্থ এবং মায়াঙ্ক আগরওয়াল দ্রুত ফিরলেও ৫৯ বলে অপরাজিত ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন নিকিন জোসে। মণীশ পাণ্ডে করেন ২৪ বলে ২৭। ৩ উইকেট হারিয়েই জয় নিশ্চিত করে কর্ণাটক।
তামিলনাডুর বিরুদ্ধে ওয়ান ডে মেজাজে খেলেও জিততে ব্য়র্থ মুম্বই। অমীমাংসিতই থাকে ম্যাচ। প্রথম ইনিংসে তামিলনাডু মাত্র ১৪৪ রানে অলআউট হয়। জবাবে ৪৮১ রান করে বিশাল রানের লিড নেয় মুম্বই। দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ায় তামিলনাডু। অধিনায়ক বাবা ইন্দ্রজিৎ (১০৩), প্রদোষ রঞ্জন পাল (১৬৯) এবং বিজয় শঙ্কর (১০৩) তিনটি শতরান তামিলনাডু ইনিংসে। ৫৪৮ রান করে তারা। চতুর্থ ইনিংসে মুম্বইয়ের জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২১২ রান। শুরু থেকেই একদিনের মেজাজে ব্য়াট করে মুম্বই। পৃথ্বী শ ১৭ বলে ১৫ রানে ফেরেন। যশস্বী জয়সোয়াল ৬০ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৩৭-৩ স্কোরে দিনের খেলা সমাপ্তি হয়, প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে ৩ পয়েন্ট মুম্বইয়ের।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours