জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মৌমিতা মল্লিক রায় দেন, মন্ত্রীকে আর সশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে না। তাঁর আইনজীবী সোমশংকর দত্ত বিষয়টি দেখে নিতে পারবেন।
মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার আদালতে হাজিরা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। সোনার দোকানে চুরির অভিযোগে গত বছরের ১১ নভেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আলিপুরদুয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থার্ড কোর্টের বিচারক। এ দিন, মাত্র তিরিশ মিনিট ছিলেন আদালতে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মৌমিতা মল্লিক রায় দেন, মন্ত্রীকে আর সশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে না। তাঁর আইনজীবী সোমশংকর দত্ত বিষয়টি দেখে নিতে পারেন l
শুনানি শেষে আদালত চত্বর দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “বার বার মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে। রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নামে মিথ্যে মামলা দেওয়া হচ্ছে। এই অপসংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত। নেতাদের ভাবমূর্তি খারাপ হয়ে যায় এতে। এই কারণে প্রথম সারির ছাত্ররা রাজনীতিতে আসতে চাইছেন না।” একই সঙ্গে তিনি জানান, “এটা মিথ্যে মামলা। কয়েকদিনের মধ্যেই সবটা প্রমাণ হয়ে যাবে। এটা সাবজুডিস বিষয়। আইনজীবী বলবেন। তবে মিথ্যে মামলা দিয়ে কখনও আমাদের আন্দোলনকে দমিয়ে দেওয়া যাবে না।” মন্ত্রী আরও দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গের বুকে সনাতনী হিন্দুদের দু’টি শক্তিশালী কমিউনিটি আছে। একটি মতুয়া ও একটি রাজবংশী। বিভিন্ন সময়ে এই দুই কমিউনিটি একাধিক কর্মসূচি করেছে। সেই সময় বিভিন্ন নেতাদের নামে মিথ্যে মামলা করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “আমি একসময় রাজবংশীদের নিয়ে আন্দোলন করেছি। তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। অতুল রায় থেকে অনন্ত মহারাজ এদের নামেও মামলা হয়েছে। শান্তনু সেনকেও ৯০ দিন থাকতে হয়েছে জেলে।” নিশীথ জানান, সংসদে অধিবেশন থাকার জন্য তিনি আসতে পারেননি। আইনের প্রতি তাঁর যথার্থ ভরসা আছে।
এ দিন নিশীথের আইনজীবী সোমশংকর দত্ত জানান, গত ১১ নভেম্বর সেশন থাকার জন্য তাঁর মক্কেল আসতে পারেননি। অনুপস্থিত দেখিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। ২৩ নভেম্বর হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেয় এবং ৭ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে আলিপুরদুয়ার আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আজ আলিপুরদুয়ার আদালতে হাজির হন নিশীথ প্রামাণিক। যেহেতু উনি সাংসদ এবং মন্ত্রী, তাই ওনাকে আর আদালতে হাজির হতে হবে না। ওনার এফআইআর-এ নাম ছিল না। শুধু চার্জশিটে নাম এসেছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন দু’টি সোনার দোকানে চুরির অভিযোগে নাম জড়িয়েছিল কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের । এরপর আলিপুরদুয়ার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। পরবর্তীতে অর্থাৎ ২০১৯ সালে নিশীথ প্রামাণিক সাংসদ হওয়ার পর ওই মামলাটি বারাসত এমপি আদালতে স্থানান্তরিত হয়।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours