দীর্ঘদিন ধরেই এই সেতুর দাবি জানিয়ে আসছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। নয়া সেতু তৈরি হলে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেকটাই উন্নতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
হাতে আর মাত্র কয়েক মাস। তারপরেই রাজ্যে বেজে যাবে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) দামামা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কাছে হেরে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, শাসকদল পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রামকে পাখির চোখ করেছে। হারানো জমি ফিরে পেতে ফের মরিয়া রাজ্যের শাসক শিবির। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নন্দীগ্রামবাসীর মন জয় করতে ফের চমক দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রাম ও হলদিয়ার মধ্যে সংযোগকারী সেতু তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা। ওই সেতুর জন্য ডিপিআর তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার টুইটারে এ খবর প্রকাশ করেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি তিনি বলেন, “ভোটের সময় মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছিলেন, সেটাই করে দেখালেন।”
বদলাবে অর্থনৈতিক অবস্থাও। প্রসঙ্গত, হলদি নদীর দুই পাড়ে নন্দীগ্রাম ও হলদিয়া। কর্মসূত্রে প্রায়ই দুই পাড়ের মানুষকেই অন্য তীরে আসা যাওয়া করতে হয়। দুই পাড়ের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হল ফেরি পরিষেবা। অনেক সময়ই ফেরি চলাচলের সময় যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রাখা হয় না বলে অভিযোগ। সড়কপথে এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে যেতে গেলে নন্দকুমার দিয়ে ঘুরে যেতে হয়। কিন্তু এতে সময় লাগে অনেকটা বেশি। সেই কারণে দুই পাড়ের মধ্যে সংযোগকারী সেতু তৈরি হলে তাতে এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে যেতে সময়ও কম লাগবে ও টাকাও বাঁচবে।
ব্যবস্থার অনেকটাই উন্নতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নয়া সিদ্ধান্তে খুশি এলাকাবাসী। গত বছর রাজ্য বাজেটের সময় সংশ্লিষ্ট সেতুর জন্য বরাদ্দ অর্থ ঘোষণা করা হয়েছিল। শুরু হয়েছে প্রকল্পের ডিপিআর তৈরির কাজ। তারপরই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে
Post A Comment:
0 comments so far,add yours