প্যানেল থেকে নাম বাদ যাওয়া ওই মহিলা আইনজীবী বলেন, বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে, হাইকোর্টের স্টেট অ্যাডভোকেট (সিভিল সাইড, কলকাতা)-এর তালিকা থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।
কার্যত নজিরবিহীন পরিস্থিতি চলছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। প্রথমে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কট ঘিরে হইচই, বিক্ষোভ। এবার বিচারপতির এজলাসের বাইরে কেউ বিক্ষোভ না দেখালেও, কোনও সরকারি আইনজীবীই হাজির হলেন না তাঁর এজলাসের মামলায় অংশ নিতে। অন্যদিকে হাইকোর্টের এক মহিলা আইনজীবী চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন এদিন। ওই মহিলা আইনজীবীর বক্তব্য, তিনি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কটের পথে হাঁটেননি। এজলাস বয়কট করেননি। এরপরই প্যানেল থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার ঘটনা সামনে আসে। রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি ওই মহিলা আইনজীবীকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন ৩০টি মামলা হয়েছে। কিন্তু কোনও সরকারি আইনজীবীকে দেখা যায়নি শুক্রবার। আসানসোলের মূক বধিরকে ধর্ষণ মামলায় সরকারি আইনজীবী না আসায় পুলিশ নিজেই রিপোর্ট জমা দিল এদিন। ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি যে আইনজীবীরা বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কট করেছিলেন, তাঁদের সরকারি আইনজীবীরা সমর্থন জানাচ্ছেন? অধিকাংশ মামলার ক্ষেত্রেই সরকারি আইনজীবীকে শুনানিপর্বে থাকতে হয়। সরকারি আইনজীবী যদি অংশ না নেন, তাহলে শুনানি বন্ধ হয়ে যায়।
যদিও এদিন বিচারপতি মান্থার এজলাসে মামলার শুনানিতে হাজির ছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমার উপর মামলায় হাজির না হওয়ার কোনও নির্দেশ নেই। এই এজলাসে আমার যেসব মামলা রয়েছে, তাতে আমি অংশ নিচ্ছি। বাকি সরকারি আইনজীবীরা কেন যাচ্ছেন না তা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।” পদে রয়েছেন, এমন সরকারি আইনজীবীদেরও বক্তব্য, তাঁদের মামলার ক্ষেত্রে এমন কোনও নির্দেশ নেই। মামলার শুনানি থাকতে তাঁরাও যাবেন।
অন্যদিকে প্যানেল থেকে নাম বাদ যাওয়া ওই মহিলা আইনজীবী বলেন, বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে, হাইকোর্টের স্টেট অ্যাডভোকেট (সিভিল সাইড, কলকাতা)-এর তালিকা থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। ওই আইনজীবীর দাবি, “কোর্টরুমে ঢুকে যাওয়ার পর আমাকে বারণ করা হয়। বিচারপতির সামনে থেকে চলে আসা যায় না। এরপরই নাম বাদ। এছাড়া আর কোনও কারণ নেই বাদ দেওয়ার।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours