তবে বিবেকানন্দরে জন্মদিনেও রাজনীতির তরজা থেকে দূরে রইল না এ রাজ্যের শাসকদল ও বিরোধী শিবির।

স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) ১৬১ তম জন্মতিথিতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেখেন, ‘স্বামী বিবেকানন্দকে জন্মদিনে প্রণাম। তাঁর দেশভক্তি, আধ্যাত্মিকতা, কর্মঠ জীবন সবসময় প্রেরণা দেয়। তাঁর মহান বিচার বিবেচনা ও আদর্শ দেশবাসীকে আজীবন অনুপ্রাণিত করবে।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লেখেন, ‘তাঁর অসীম জ্ঞান, বিচারবোধ যুগ যুগ ধরে যুবসমাজের প্রেরণার কেন্দ্রবিন্দু।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘বিবেকানন্দের জন্মদিনে আমার শ্রদ্ধা। তাঁর পথ চলার মন্ত্র, মানবিকতা প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করে।’ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেলুড় মঠে উদযাপিত হচ্ছে বিবেকানন্দের জন্মতিথি। যুবদিবস উপলক্ষে সকাল থেকেই জায়গায় জায়গায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বেরিয়েছে। বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়া অংশ নিয়েছে সেই শোভাযাত্রায়। বেলুড়মঠে সকাল থেকেই পুজো, মন্ত্রসঙ্গীত। ধ্বনিত হচ্ছে বিবেকানন্দের জীবনবাণী।


এদিন সকালেই কলকাতার সিমলা স্ট্রিটে স্বামীজীর বাড়িতে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা। সেই মুহূর্তের একটি ভিডিয়ো নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ারও করেন শুভেন্দু। অন্যদিকে ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডে পর্ণশ্রী এলাকার বিবেকানন্দ কাননে বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ছিলেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায়, বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ও।

তবে বিবেকানন্দরে জন্মদিনেও রাজনীতির তরজা থেকে দূরে রইল না এ রাজ্যের শাসকদল ও বিরোধী শিবির। শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, “এই শিক্ষা দেখলে স্বামীজি বাংলা থেকে পালাতেন। চারদিকে ফ্লেক্স লাগিয়েছে। স্বামীজীর ছোট ছবি আর কোনও একজনের বড় করে ছবি।” শ্যামপুকুরের বিধায়ক শশী পাঁজা শুভেন্দুর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, ফ্লেক্স লাগানোর অধিকার সকলেরই আছে।


অন্যদিকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বিবেকানন্দ দেশকে ধর্মনিরপেক্ষতা শিখিয়েছেন। সত্যিই যদি বিবেকানন্দের প্রতি বিজেপির ভালোবাসা থাকে তাহলে কোনও মুসলমানের ঘরে গিয়ে হুকা খেয়ে বলুক আমার জাত গেল না। যারা জাতপাত নিয়ে রাজনীতি করে বিবেকানন্দ তাদের জন্য নয়। বিবেকানন্দ বলেছিলেন, জীবে প্রেম করে যেইজন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর। মানুষকে মেরে ঈশ্বরকে সেবা করা যায় না। আজ বিবেকানন্দের জন্মদিন। তাঁর পরণের গেরুয়া চিরকাল ত্যাগের প্রতীক। বিজেপি এটা নিয়ে ভোগের প্রতীক তৈরি করে দিয়েছে। গেরুয়া বিজেপির রং নয়।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours