গোটা বিষয়টি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে হাওয়া সিটি পুলিশের উচ্চ-পদস্থ আধিকারিকরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল নেতা।
হাওড়ার (Howrah) নাজিরগঞ্জের একটি রঙের কারখানা থেকে মোটা টাকা তোলার অভিযোগ তৃণমূল নেতার (TMC Leader) বিরুদ্ধে। কাঠগড়ায় স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা (TMC Leader)। ঘটনায় আতঙ্কিত কারখানার অফিসার এবং কর্মচারীরা। গোটা বিষয়টি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে হাওয়া সিটি পুলিশের উচ্চ-পদস্থ আধিকারিকরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল নেতা।
১৫ জানুয়ারি ঘটনার সূত্রপাত। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা সাজ্জাদ আলি শেখ সংশ্লিষ্ট কারখানার সিকিউরিটি অফিসারকে ফোন করেন। এরপরই মোটা টাকা তোলা চান। যদি টাকা না দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে সম্পত্তি অথবা প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। কারখানা কর্তৃপক্ষের আরও অভিযোগ, ঘটনার পরের দিন সাজ্জাদ আলি শেখ নিজের দলবল নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় কারখানার ভিতরে ঢুকে নিরাপত্তাকর্মীদের হুমকি দেন। তাঁরা দাবি করে কারখানার যত কিছু বরাত তাঁদেরকে দিতে হবে। এমনকি লরি চালকদের কাছ থেকেও তোলা চাওয়া হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কারখানার অফিসার এবং কর্মীরা। সঙ্গে-সঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষ নাজিরগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। কারখানার কর্মচারীরা চাইছেন পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিক।
তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই তৃণমূল নেতা নিজেকে দক্ষিণ হাওড়া মাইনরিটি সেলের সহ সভাপতি দাবি করে বলেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। শালিমার পেন্টস কর্তৃপক্ষ কর্মচারীদের বকেয়া প্রাপ্য দেয়নি।কারখানার মালপত্র রাতের অন্ধকারে বিক্রি করে দিচ্ছে। সেই কারণে আমি কর্মচারীদের হয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আর টাকা চাওয়া কিংবা হুমকি দেওয়ার যে অভিযোগ উঠছে তার প্রমাণ দেখাক কর্তৃপক্ষ।” যদিও, রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় জানান, “দল এধরনের কাজ বরদাস্ত করে না। কেউ পদ নিয়ে বসে থাকবে অথচ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকবে তা কখনই মেনে নেওয়া হবে না।” পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযোগ তারা পেয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এ বিষয়ে ওই রঙ কারখানার কর্তৃপক্ষ কিছু জানাতে চায়নি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours