সমুদ্র সৈকতের দূষণের পিছনে প্রধান দায়ী পর্যটন। ২০২২ সালের নভেম্বরে সমুদ্র সৈকতে মদ্যপান, রান্না করা, আগুন জ্বালানো নিষিদ্ধ করেছে গোয়ার পর্যটন দফতর।


সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গেলে চোখে পড়ে প্ল্যাস্টিকের স্তূপ, ভাঙা কাচের বোতল ইত্যাদি। কম বেশি এমনই অবস্থা দেশের বেশিরভাগ সমুদ্র সৈকতগুলোতে। কিন্তু তা বলে কি ভারতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকত নেই? অবশ্যই রয়েছে। আর সেই ‘সেরা’র তকমা পেয়েছে চেন্নাইয়ের তিনটি সমুদ্র সৈকত। তালিকায় রয়েছে এলিয়টস, তিরুভানমিউর এবং কোভালাম সমুদ্র সৈকত। এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ন্যাশানাল সেন্টার ফোর কোস্টাল রিসার্চ।



সম্প্রতি ন্যাশানাল সেন্টার ফোর কোস্টাল রিসার্চের তরফ থেকে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেখানে সমুদ্র সৈকতগুলোর দূষণ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। সেখানে যে পরিমাণ বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করা হয়েছে তার নিরিখে বিচার করা হয়েছে দেশের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকত। পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকতের তালিকায় রয়েছে চেন্নাইয়েরই এলিয়টস, তিরুভানমিউর এবং কোভালাম।

এই সমীক্ষাটি ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত করা হয়েছে। এই সময় দেশের ৩৩ টি সমুদ্র সৈকত পর্যবেক্ষণ করা হয়। ২০২২-এ দেশের ৭৫ টি সমুদ্র সৈকতে সমীক্ষা চালায় ন্যাশানাল সেন্টার ফোর কোস্টাল রিসার্চ। সেই ৭৫ টির মধ্যে তিনটি সমুদ্র সৈকতকে ‘very clean’ ঘোষণা করে এনসিসিআর।

ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সমুদ্র সৈকতে যে সব বর্জ্য পদার্থ, বিশেষত প্ল্যাস্টিক পাওয়া গিয়েছে তার প্রায় ৬০ শতাংশ। যদিও ২০২২ সালে এই সংখ্যাটা ৪০ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। তবু কোনওভাবেই উপেক্ষা করা যাচ্ছে না যে, প্ল্যাস্টিকের ব্যবহার, কাচের বোতল, বর্জ্য পদার্থ সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যকে নষ্ট করছে। পাশাপাশি ধ্বংসে দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য।

NCCR-এর বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভিযান চালানোয় এবং আবর্জনা সংগ্রহের কারণে চেন্নাইয়ের এই তিনটি সমুদ্র সৈকত দেশের অন্যান্য সমুদ্র সৈকতের তুলনায় পরিষ্কার। তিরুভানমিউরের বাসিন্দারা একটি স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করে সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে। যদিও তিরুভানমিউরের মতো আন্দামান এবং লক্ষদ্বীপের সমুদ্র সৈকতও পরিষ্কার।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours